শিরোনাম
শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

নীরবতা মানে আতঙ্ক, পল বিটির ম্যান বুকার

আন্দালিব রাশদী

নীরবতা মানে আতঙ্ক, পল বিটির ম্যান বুকার

এ বছর সাহিত্যের সম্মানজনক ম্যান বুকার পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন লেখক পল বিটি। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো লেখক হিসেবে বিটিই প্রথম এই পুরস্কার পেলেন। ‘দ্য সেলআউট’ উপন্যাসের জন্য এ বছর বিটিকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। বর্ণবাদ নিয়ে এটি তার ব্যঙ্গাত্মক লেখা।

পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে ৫০ হাজার পাউন্ড এই ৫৪ বছর বয়সী মার্কিন লেখকের হাতে তুলে দেন ডাচেস অব কর্নওয়াল।

 

নীরবতা মানে হয় প্রতিবাদ, নয় সম্মতি। কিন্তু অধিকাংশ সময় নীরবতা মানে আতঙ্ক। নীরব মানে ভীত, সন্ত্রস্ত।—প্রথম আমেরিকান ম্যান বুকার বিজয়ী পল বিটির পুরস্কারপ্রাপ্ত উপন্যাস ‘দ্য সেলআউট’ থেকে উদ্ধৃত এই আতঙ্ক সভ্যতা। মৌনতার মানে যে সম্মতি দেওয়া নয়, মৌনতার মানে যে সন্ত্রাসের শাসনকে মেনে নেওয়া নয়, একটি ভিতকুটে কাহিনীতে উত্তর-বর্ণবাদ আমেরিকার ভেতরের একটি চেহারা তুলে এনেছেন পল বিটি।

আর একটি উদ্ধৃতি : আরে রাখো, তিনি কালো মানুষের দেখভাল করেন যেমন সাত ফুট লম্বা একজন মানুষ করেন ফুটবলের। তাকে তো দেখভাল করতেই হবে, এর চেয়ে ভালো তিনি কী আর করতে পারেন। পল বিটির অবলম্বন ভিতকুটে হাস্যরস।

এবারের ম্যান বুকার প্রতিযোগিতায় হ্রস তালিকায় যে উপন্যাসগুলো উঠে এসেছিল : যুক্তরাষ্ট্রের ওন্ডেসা মোশফেগ-এর ‘এইলিন’; কানাডার ম্যাডেলিন যিন-এর ‘ডু নট সে উই হ্যাভ নাথিং’; কানাডা-ব্রিটেনের ডেভিড জালের ‘অল দ্যাট ম্যান ইজ’; ব্রিটেনের গ্রায়েম বার্নেট-এর ‘হিজ ব্লাডি প্রজেক্ট’; ব্রিটেনের ডেবোরাহ লেভি-র ‘হট মিঙ্ক’; যুক্তরাষ্ট্রের পল বিটির ‘দ্য সেল আউট’ সবচেয়ে বেশি পরিচিতি ডেবোরাহ লেভির, ২০১২তে তার উপন্যাস সুইমিং হোম হ্রস-তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। পুরস্কৃত হলেন ‘সুন্থফিটয়ান স্যাটায়ারিস্ট’ পল বিটি।

ক্যামেরার সামনে পল বিটি বললেন, ‘আমি নাটকীয় কিছু বলতে চাই না, যেমন লেখালেখি আমার জীবন বাঁচিয়েছে... আমি বলব, লেখালেখি আমাকে একটি জীবন দিয়েছে। বিচারকরা ‘দ্য অলআউট’কে বলেছেন, আমাদের কালের উপন্যাস। উত্তর-বর্ণবাদ আমেরিকা— তাত্ত্বিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে সেখানে বর্ণবাদী পূর্ব ধারণা, বর্ণবাদী বৈষম্য ও বর্ণবাদী অগ্রাধিকার অবলুপ্ত। ১৯৭১ সালে প্রথম ‘পোস্ট-রেসিয়াল আমেরিকা’ তাত্ত্বিক আলোচনায় আসে; আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলের ৭০ জন রাজনীতিবিদ ও অধ্যাপক বিশ্বাস করেন সেখানকার ৬ কোটি নাগরিক এমন একটি যুগে প্রবেশ করেছে যেখান জনসংখ্যা বৃদ্ধি শিল্পায়ন এবং অর্থনৈতিক সামর্থ্যের হ্রাস বৃদ্ধি শিগগিরই বর্ণবাদের সমস্যার জায়গাটি অধিকার করে নেবে।

কালো বারাক ওবামা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়ে কালো বিদ্বেষের মিথ কিছুটা ভেঙেছেন এটা যেমন সত্যি, পুলিশের হাতে সাদা যুবকের তুলনায় কালো যুবকের মৃত্যুর সংখ্যা নয় গুণ বেশি এটাও সত্যি। কিছু মৃত্যু আমেরিকার বর্ণ-সম্পর্কের মুখোশটিকে ছিঁড়ে দিয়েছে। ভিন্ন আঙ্গিকে বর্ণবাদী উত্থান ঘটছে বলে মনে করা হচ্ছে।

পল বিটির সাহিত্যক্ষেত্র হচ্ছে উত্তর-বর্ণবাদ আমেরিকা। আর তা করতে গিয়ে তিনি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন দেঁতো হাসি, পিত্তবসন এবং তির্যক ঠাট্টা। তার বুকার পাওয়া উপন্যাস ‘দ্য সেলআউট’ সুখপাঠ্য কোনোক্রমেই নয়—ডিস্টার্বিং কারণ সত্য কদাচ সুন্দর এবং সুখকর। পল বেটির এই উপন্যাসটিকে দেখা হয়েছে মুখোশের আড়ালে কুঞ্চিত গেটিসবার্গ অ্যাড্রেস। উপন্যাসের শুরুটা এভাবে : এটা বিশ্বাস করা কঠিন আমি কালো মানুষদের ভেতর থেকে উঠে এসেছি কিন্তু আমি কখনো কোনো কিছু চুরি করিনি। আমার ট্যাক্স কিংবা কার্ড নিয়ে কোনো ধরনের প্রতারণা করিনি। ফাঁকি দিয়ে কখনো সিনেমা হলে ঢুকিনি, ওষুধের দোকানের ক্যাশিয়ারকে পাওনা খুচরা ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হইনি— যে ক্যাশিয়ার বাজারের কায়দা-কানুন আর ন্যূনতম প্রত্যাশিত বেতন সম্পর্কে নির্বিকার। আমি সিঁধ কেটে কোনো বাড়িতে ঢুকিনি মদের মভ্যুত করিনি। জনাকীর্ণ বাস কিংবা সাবওয়ে কম্পার্টমেন্টে উঠিনি। বয়স্কদের জন্য সংরক্ষিত আসনে বসে আমার অতিকায় শিশু বের করে তৃপ্তির সঙ্গে হস্তমৈথুন করিনি— তখন আমার বিকৃত ও পরাস্ত মানুষের অবয়ব আমার চেহারায়। কিন্তু আমি এখানে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টের গুহার মতো চেম্বারে, আমার গাড়ি অবৈধভাবে এবং এক ধরনের পরিহাস্যকর উপায়ে কমস্টিটিউশন অ্যাভিনিউতে পার্ক করা, আমায় দু’হাত পিঠের পেছন দিকে নিয়ে হাতকড়া লাগানো, এ দেশের মতোই কুশন লাগানো যে চেয়ারে আমি বসে আছি, দেখতে যেমন তেমন আরামদায়ক নয়, তখন থেকে আমার চুপ করে থাকার অধিকার উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তা আমাকে জানিয়েছে বিদায়।

পত্র বিটির জন্ম ১৯৬২ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে। ব্রুকলিন কলেজ ও ও বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃজনশীল লেখালেখি এবং মনোস্তত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। লেখালেখির শুরুতে কবিতা এবং প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বিগ ব্যাঙ্ক টেইকস লিটল ব্যাঙ্ক’ ১৯৯১ সালে পুরস্কৃত হয়। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘জোকার জোকার ডিউস’ (১৯৯৪)। তিনি আফ্রিকান-আমেরিকান হিসেবে পরিচিত হতে চাননি। বরং ব্ল্যাকই ভালো।

১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হলো তার প্রথম উপন্যাস ‘দ্য হোয়াইট বয় শাফল’, দ্বিতীয় উপন্যাস ‘টাফ’ (২০০০)। তিনি তার নিজস্ব স্বর খুঁজে পান কবিতায় নয়, ফিকশনে। তার তৃতীয় উপন্যাস ‘স্লাম্বারল্যান্ড’ (২০০৮), চতুর্থ উপন্যাস ‘দ্য সেলআউট’ (২০১৫) প্রথমে ন্যাশনাল বুক ক্রিটিকস সার্কেল অ্যাওয়ার্ড পায়, তারপর ম্যান বুকার ২০১৬। ‘দ্য সেল আউট’ আঠারটি প্রকাশনা সংস্থার কাছ থেকে গ্রত্যাখ্যাত হয়। সেসব প্রকাশনার সম্পাদকদের কেউ কেউ পল বিটিকে বলেছেন, ‘পাণ্ডুলিপিটি ভালো, কিন্তু দুঃখিত আমরা ছাপতে পারলাম না।’ এ কথার যে কী মানে তিনি খোলাখুলিই বলেছেন, বোঝেননি। প্রকাশকদের খটকা লাগারই কথা। কাহিনী বয়ানকারী বলছেন, ‘লস অ্যাঞ্জেলেসে বেড়ে আর সব কালো পুরুষ মানুষের মতো আমিও দ্বিভাষী— আমার ভাষার দৌড় এতটুকু যে আমি সব জাতিসম্প্রদায়ের নারীকে তার ভাষায় যৌন লাঞ্ছনা করতে সক্ষম। কাহিনীর কথক নিজে কালো হয়েও আমেরিকাতে আবার ক্রীতদাসত্ব চালু করতে চান— এই নিয়ে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের মামলা সুপ্রিমকোর্টে গড়িয়েছে।

পল বিটির লেখালেখির কথা : অন্য মানুষেরা কি করে? তারা কেমন করে লিখে? সহজ কোনো পথ আছে কি? না, আমি দুঃখিত, এর কোনো জাদুকরি চাল—ম্যাজিক ট্রিক নেই। আপনার নিতম্ব একটি আসনের ওপর রাখতেই হতো। নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে আমার একটি ছোট অ্যাপার্টমেন্ট আছে, বেডরুমে আছে একটা ডেস্ক, এটাই আমার লেখালেখির সবচেয়ে ভালো জায়গা। আমি ভাবি নিউইয়র্কের কথা বিবেচনা করলে অ্যাপার্টমেন্টটির আকার ভালোই—এত দীর্ঘসময় আমি এখানে কাজ করেছি যে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমি প্রায় পঁচিশ বছর এখানে, সময়টা একটু বেশি, কিন্তু আমাকে দিয়ে এ বাড়ি বদলানো একটি বড্ড কঠিন কাজ। এ রুম থেকে বাইরের কোনো সৌন্দর্য দেখা যায় না। একেবারে রাস্তার ওপর পাশে দমকলের স্টেশন, এখান থেকে উঠে গেছে একটি বড় ভবন। রুমটি সরু, গাদাগাদি করা। দেয়ালে কিছু নেই। আমার একটি প্রদীপ আছে। না, আমি আসলে প্রদীপ নিয়ে ঠাট্টা করছিলাম। লেখালেখির জন্য আমার কোনো ধর্মীয় আচার নেই।

আমার সকালের দিকেই লেখার প্রবণতা কখনো রাতেই লিখি। যখনই আমার মাথা ঠাণ্ডা থাকে আমি লিখি। আমি যদি কাজ করি, প্রতিদিনই করি। পাঁচ মিনিট না পাঁচ ঘণ্টা তা নির্ভর করে আমি কোথায় কোন কাজে আছি তার ওপর আমি আটকে গেলে থেমে পড়ি, একটু হাঁটি, দোকানে যাই। আমার হয়তো আধেক চিন্তা আছে যা আমাকে একটি চিন্তার দিকে নিয়ে যায় যা আমার থাকা দরকার। কিন্তু তা তো সব সময় হয় না। কখনো আটকা পড়ে গেলে আমি সংগীতের দিকে এগোই, কিন্তু সব সময়ই নয়। আমার কিছু মিউজিক আছে যা আমি দীর্ঘ সময় ধরে শুনে আসছি এটা ব্যক্তিগত দুঃখ। আমি চাই না আমার সংগীতের রুচি নিয়ে কেউ হাসি ঠাট্টা করুন। আমার ‘দ্য সেলআউট’ উপন্যাসে এর কিছুটা মিলবে।

আমি আবার ফিরে যাই, একটু একটু করে সম্পাদনা করি। একটা অংশ তুলে নিই এবং এর মধ্য দিয়ে এগোই, এই অংশটুকু আমি যেমন দেখতে চাই তার খুব কাছাকাছি না আসা পর্যন্ত আমি সামনে এগোতে পারি না। এটা ৫ পৃষ্ঠা হতে পারে ১০ পৃষ্ঠা হতে পারে যতটুকু যেতে পারি আমি যাই, তারপরও দম ফেলি। সুনির্দিষ্ট কিছু নেই যা আমাকে সন্তুষ্ট করবে। কখনো আবার যেটুকু কাজ করেছি তাই আমাকে বিস্মিত করে। এটা ঘূর্ণায়মান খুঁটির মতো, এটা ঘুরতে থাকবে, আপনাকেও চালিয়ে যেতে হবে, চলতে চলতে এক সময় সেই সময়টা এসে যাবে। আমার বেলায় এটা চতুর্থ উপন্যাস। প্রত্যেকটি বইয়ের ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি লেখার সময় টের পাই। ‘দ্য সেলআউট’ যখন লিখি এটাকে ভারী মনে হয়েছে।

যে সময়ের কথা কেউ বলে না সেটা হচ্ছে গবেষণা আর আমার বেলায় এটা একটা বড় অংশ। আপনি কিছু একটা চাইছেন, কোনো কিছুর জন্য একটা অনুভব করতে চাইছেন তা দীর্ঘ সময় নিয়ে নেয়। আমাকে ঠিক ঠিক তাল মিলিয়ে এগাতে হয় যাতে গবেষণা আমার লেখার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত না করে— এটা প্রক্রিয়ারই অংশ। কখনো কখনো আমি কেবল একটি শব্দের জন্য অপেক্ষা করি। কখনো কখনো ব্যাপারটা আমি যেমন ভেবেছি তার চেয়ে অনেক বেশি বিস্তৃত এবং দেখা যায় আমি একটি নতুন দরজা খুলে ফেলেছি। সে যা-ই হোক আগের অংশটুকু চূড়ান্ত না করে আমি সামনে যেতে পারি না।

আমি এলএ (লস অ্যাঞ্জেলস)’র কথা বলি, কিন্তু কখনো এলএ নিয়ে সত্যিই কিছু লিখিনি। লিখা হবে কিনা তাও জানি না, কিংবা লেখার সময় হয়তো খুব ঘনিয়ে এসেছে। দ্য সেলআউট উপন্যাসের জায়গাটা সত্যিকারের জায়গা নয়, তবে আমার চেনা-জানা জায়গার ওপর ভিত্তি করেই এগিয়েছি। মানুষ রাস্তাটাকে মনে করবে পরিচিত। প্রতিবেশী মহল্লাগুলোও সেখানে স্থাপন করা হয়েছে। জায়গার নামটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ আর যদি লস অ্যাঞ্জেলস আপনার চেনা হয়ে থাকে তাহলে তা পাঠককে অন্যকিছু কল্পনা করাতে পারবে। তবে এটা নিশ্চিত এলএ এই বিশেষ অংশ অনেকেরই অচেনা।

আমার কোনো ধারণা নেই মান বুঝার পুরস্কার আমার লেখালেখির জীবনের ওপর কী প্রভাব ফেলবে। তবে সেটা আমি খুঁজে বের করার পথে। আমাকে বলা হয়েছে আমাকে নতুন নতুন জায়গায় নিমন্ত্রণ জানানো হবে। কাজেই ভ্রমণকালে কেমন করে লেখালেখি করব তা আমাকে ঠিক করে নিতে হবে। একটা নতুন জায়গার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে আমাকে সাধারণত একটা লম্বা সময় ব্যয় করতে হয়। আমি কয়েকটি রেসিডেন্সি করেছি। কিন্তু এখানে চারপাশটা দেখা ছাড়া বেশি সময় কাটাইনি। এই মুহূর্তে পুরস্কারের মানে অনেক কিছু। আপনি যে কাজ করছেন কেউ যদি তা মূল্যায়ন করে। খুব ভালো কথা। কি ঘটবে কি ঘটবে না এটা খুঁজে পেতে আমি উত্তেজিত বোধ করছি। আমার জন্য এটা অস্বাভাবিক।

দ্য সেলআউট থেকে উদ্ধৃত : ডিজনিল্যান্ড যদি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখের জায়গা হয়ে থাকে তাহলে হয় এটাকে রাখুন অথবা বিনে পয়সায় এর ভেতরে ঢুকতে দিন। টিকিটের দাম ডেট্রয়েটের মতো একটি ছোট সাব-সাহারার দেশের মাথাপিছু বার্ষিক আয়ের সমান হতে পারে না।

আমার বাবার একটি তত্ত্ব আছে : গরিব মানুষই ভালো ড্রাইভার হয়। কারণ গাড়ি বিমার খরচ মেটাবার সাধ্য তার নেই। কাজেই বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট প্রতিরক্ষার দিকে নজর রেখে গাড়ি চালায়।

ইতিহাসের একটা সমস্যা—আমরা ভাবতে চাই। ইতিহাস একটি বই—যার পাতা উল্টানো যাবে। এর তো বারোটা বাজিয়েই ছেড়েছে। কিন্তু ইতিহাস ছাপা কাগজ নয়। ইতিহাস হচ্ছে স্মৃতি, আর স্মৃতি হচ্ছে সময়, আবেগ আর মন। ইতিহাস হচ্ছে সেই জিনিস যা মানুষের সঙ্গে রয়ে যায়।

তোমার বয়স অনুযায়ী কাজ কর, জুতার সাইজ অনুযায়ী নয়।

সর্বশেষ খবর