শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

আমি চিরতরে দূরে চলে যাব, তবুও আমারে দেবনা ভুলিতে

সুধীন দাশের শেষ সাক্ষাৎকার

আমি চিরতরে দূরে চলে যাব,  তবুও আমারে দেবনা ভুলিতে

উপমহাদেশের খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী, সুরকার ও স্বরলিপিকার সুধীন দাশ (১৯৩০-২০১৭)।  নজরুল সংগীতের আদি গ্রামোফোন রেকর্ডের বাণী ও সুর অনুসারে তার প্রণীত মোট ২১ খণ্ডের স্বরলিপি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তিনিই এ দেশে প্রথম লালনগীতির স্বরলিপি গ্রন্থ প্রকাশ করেন। সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ, নজরুল পদক ও একুশে পদক লাভ করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন— শেখ মেহেদী হাসান

 

আপনার জন্ম কুমিল্লায়। কেমন ছিল আপনার ছেলেবেলা?

কুমিল্লার তালপুকুর পাড়ে আমার জন্ম। বাবা নিশিকান্ত দাশ ও মা হেমপ্রভা দাশ। ১০ ভাইবোনের মধ্যে আমি সবার ছোট। আমার পূর্ব পুরুষের বাস ছিল ঢাকার বিক্রমপুরে। আমার বাবা বিক্রমপুর থেকে কুমিল্লায় বসতি গড়েন। ছেলেবেলায় আমাদের বাড়িতে চমৎকার এক সাংগীতিক পরিবেশ ছিল। আমার বড় ভাই সংগীতগুরু সুরেন দাশ। খুব ছোটবেলা থেকে আমি তার কাছে গান শিখতাম। বড়দা সুরেন দাশ থাকতেন কলকাতায়, তিনি কুমিল্লায় এলে আমাদের বাড়িতে গানের আসর বসত। স্থানীয় শিল্পীরা চলে আসতেন আমাদের বাড়িতে। কৈশোরে ঈশ্বর পাঠশালায় আমি ভর্তি হয়েছিলাম কিন্তু মন পড়ে থাকত গানে। আমি যখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। ওই সময় কুমিল্লায় বোমা পড়বে এমন আশঙ্কায় কুমিল্লা শহরের সব অফিস-কাচারি স্থানান্তরিত হয়ে যায়। তখন আমাদের স্কুল স্থানান্তরিত হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সেখানে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হলো না। পরে ভর্তি হলাম কুমিল্লা জিলা স্কুলে। আমাদের প্রধান শিক্ষক ইন্দুভূষণ বড়ুয়া ছিলেন তৎকালীন আইসিএস। তিনি ছিলেন সংগীত অন্তঃপ্রাণ মানুষ। তিনি যখন জানলেন আমি সংগীতচর্চা করি সেই থেকে তার বিশেষ স্নেহ পেতে শুরু করলাম।

 

ছেলেবেলায় কী একটু বাউণ্ডুলে টাইপের ছিলেন।

একটু বাউণ্ডুলে ছিলাম। দুই ভাই এক ক্লাসে পড়তাম, নিয়মমতোই স্কুলে যেতাম। খুব চঞ্চল ছিলাম তো, কিন্তু লেখাপড়ায় ফাঁকি দিতাম না। ম্যাট্রিকুলেশন পর্যন্ত কোনো পরীক্ষায়ই ফেল করিনি। মাইনর বোধ হয় তখন ক্লাস সিক্স পর্যন্ত ছিল, সে পর্যন্ত বৃত্তি পেতাম। দুষ্টুমি করেছি অনেক। কারও বাড়ির আম, জাম, ডাব পেড়েছি। শীতের সময় চুরি করে খেজুরের রস খেয়েছি। অঙ্ক ছাড়া সব বিষয়ে খুব ভালো রেজাল্ট করতাম। ক্লাসফ্রেন্ড অমল ছিল কুমিল্লা রেলস্টেশনের মাস্টার রাধিকামোহন রায়ের ছেলে। অমল আমাকে অঙ্ক শিখিয়ে দিত। ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় ফোর্থ সাবজেক্টের আগের দিন ছিল অঙ্ক পরীক্ষা। মনে আছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে সিট পড়েছিল। প্রশ্ন  পেয়ে ঠিক এক ঘণ্টার মধ্যে ৩০ নম্বর একদম কনফার্ম হয়ে গেল। কিছু অঙ্ক মুখস্থ করেছিলাম তা হুবহু লিখে দিলাম। ১৯৪৬ সালে ম্যাট্রিকুলেশনে সেকেন্ড ডিভিশন পেয়ে গেলাম। পরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হলাম। দুই বছর পর ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করলাম। ১৯৫০ সালে একই কলেজে বিএ পরীক্ষায় দুটি পরীক্ষা দিয়ে আর পড়াশোনা করলাম না। 

 

ওই সময় তো দেশ ভাগ হয়, দেশ ভাগের কোনো স্মৃতি মনে পড়ে?

দেশ ভাগের কথা এখনো স্পষ্ট মনে পড়ে। মনে পড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা। হিন্দু-মুসলিমের ভয়াবহ সে দাঙ্গায় অনেক নীরিহ মানুষের প্রাণ দিতে হয়েছে। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগে আমাদের এলাকার কেউ কেউ ভারতে চলে যায়। 

 

গত শতকের পঞ্চাশ দশকে আপনি একটি গানের স্কুল চালু করেছিলেন।

১৯৫০ সালে কুমিল্লার ঠাকুরপাড়ায় আমার একটি গানের স্কুল ছিল। নাম সুর মন্দির। তখন স্কুলে গান শেখাতাম আর পাশাপাশি দাবা খেলতাম। আমার গানের স্কুলে শিক্ষার্থীর ভিড় ছিল। দীর্ঘকাল আমার দাদার কাছে যেভাবে তালিম নিয়েছিলাম ছাত্রদের সেই শুদ্ধরূপে শেখানোর চেষ্টা করতাম। ১৯৪৮ সালে আমি রেডিওতে তালিকাভুক্ত হই। মনে পড়ে, কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে নাজিমউদ্দিন রোডের রেডিও সেন্টারে অডিশন দিয়েছিলাম। অডিশন বোর্ডে যারা ছিলেন আমার কাছে তারা ১০/১২টা গান শুনেছিলেন। রবীন্দ্র-নজরুল-আধুনিক সব গানেরই অডিশন দিয়েছিলাম। আমাদের সময় অডিশন অনেক কঠিন ছিল। একটি তানপুরা ছাড়া কোনো যন্ত্রপাতি থাকত না। আজকাল তো অডিশন অনেক সোজা হয়ে গেছে, হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান গায়। অর্ধেক গান গায় হারমোনিয়াম আর অর্ধেক গায় শিল্পী। অডিশন দিয়ে তো বাড়ি চলে গেলাম। কিছুদিন পরেই কন্ট্রাক্ট পেলাম। তারপর থেকে মাসে তিনবার ঢাকায় এসে গান করতাম। গানপ্রতি সম্মানী পেতাম ১০ টাকা। সারা দিন থেকে রেস্টুরেন্টে খেয়ে রাতে কুমিল্লা ফিরে যেতাম। এরপরও দেখতাম চার টাকা, সাড়ে চার টাকা পকেটে। পরে আমাকে ১২ টাকা দিত। ১৯৪৮ সালে ১২ টাকা একটি ছেলের পকেটে থাকা মানে সে তো প্রিন্সের মতো চলত।

 

তখন রেডিওতে অনেক বিখ্যাত শিল্পী যুক্ত ছিলেন। আপনি কার সান্নিধ্য পেয়েছেন।

ওই সময় সুরকার কম ছিল। শিল্পী আবদুল আহাদ, আবদুল হালিম চৌধুরী; আমার সমসাময়িক ছিলেন লতিফ ভাই (আবদুল লতিফ), সোহরাব হোসেন প্রমুখ। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। গান পরিবেশনের পাশাপাশি এক সময় সংগীত পরিচালনার সুযোগ এলো। তারপর নিয়মিত  বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিচালনা করেছি। তখন রেডিওর ছিল স্বর্ণযুগ।

 

আপনার সুর করা দু-একটি গানের কথা বলবেন?

কবি সিকান্দার আবু জাফর তখন রেডিওর স্টাফ রাইটার। খুব দেশপ্রেমী মানুষ। তিনি গান যে কি লিখতেন তা তো তোমরা জানি, ‘আমাদের সংগ্রাম চলবেই, জনতার সংগ্রাম চলবেই’— এ ধরনের অনেক দেশাত্মবোধক গান তো আছেই, আধুনিক গানও তার ছিল। তার একটি গান তখন হিট করেছিল, ‘আমার জানালা দিয়ে যখন তখন করত যাওয়া-আসা ছোট্ট দুটি চটুল চড়ুই পাখি।’ সে সময় ঠিক এ ধরনের লিরিক গান ছিল না। জাফর ভাই গানটি লিখে প্রখ্যাত সুরকার, সংগীতবিদ আবদুল আহাদকে দিয়েছিলেন। আহাদ ভাই দেখে বললেন, ‘এটা কি গান নাকি? কবিতা লিখে দিয়েছেন, এটার কি সুর হয় নাকি? বলে ফেলে দিয়েছেন।’ এসবের কিছু না বলে জাফর ভাই গানটি আমাকে দিয়ে বললেন, ‘গানটার সুর কইরেন তো।’ সুর করলাম, গানটি হিট হলো। পরে বললেন, আহাদ সাহেব এসব কথা বলেছিলেন। আরও অনেক গীতিকার তখন ছিলেন, তাদের অনেক গানে সুর করেছি। তখনকার শিল্পীরা সেসব গান গেয়েছেন।

 

টেলিভিশনের শুরু থেকে আপনি জড়িত, সেখানকার অভিজ্ঞতা জানতে চাই।

১৯৬৪ সালের ডিসেম্বর মাসে টেলিভিশন চালু হলো। তখন ডিআইটি ভবনে লাইভ অনুষ্ঠান হতো। শুরু থেকেই গান করছি। আমি, আমার স্ত্রী নীলিমা দাশও টেলিভিশনের নিয়মিত কণ্ঠশিল্পী। তবে রেডিওতে গান করছি ১৯৪৮ সাল থেকে। আসলে রেডিওতে গান করার জন্যই দেশের মানুষ আমার নাম জেনেছে। রেডিওতে আমরা সংগীত বিষয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেছি। তবে টেলিভিশনে কিন্তু আমাকে প্রথমে ডাকেনি, তোমার কাকিমাকে ডেকেছে। আমি তো ২০১০-২০১১ সাল পর্যন্ত টেলিভিশনে নিয়মিত নজরুল, রবীন্দ্র, অতুলপ্রসাদ, ডি এল রায়, রজনীকান্তের গান গেয়েছি। বর্তমানে শরীরের অবস্থা এত খারাপ, বসে থাকতে পারি না, চলতে পারি না। চোখেও তেমন দেখি না। বাড়ি থেকে কোথাও যেতে পারি না। এজন্য টেলিভিশনে যাওয়া হয় না।

 

আপনি প্রথমে রবীন্দ্রসংগীত ও লালনের গান করতেন, নজরুলের গানের সঙ্গে জড়ালেন কীভাবে?

আমি কিন্তু রেডিওতে নজরুল সংগীতশিল্পী ছিলাম না, শেষদিন পর্যন্ত রবীন্দ্রসংগীত গেয়েছি। তবে নজরুলের গানের বাণী ও সুরের যে চরম বিকৃতি চলছিল, তাতে বাধ্য হয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম। তারপর নিজ উদ্যোগে স্বরলিপি করতে আরম্ভ করলাম। এ ব্যাপারে কবি তালিম হোসেন সাহেব অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। কলকাতায় যারা ভুল স্বরলিপি করত তাদের অনেকবার সাবধান করেছি; কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি। আমার স্বরলিপি যখন চালু হয়ে গেল, কলকাতার বিকৃত স্বরলিপি বিক্রি তখন বন্ধ হয়ে যায়। নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে কয়েকটি বই কলকাতায় নিয়ে গিয়েছিলাম। নজরুল সংগীতের প্রাণপুরুষ জগৎ ঘটক, ধীরেন চন্দ্র মিত্রকে সেগুলো দিলে তারা পরিষ্কার মন্তব্য করলেন—পশ্চিমবঙ্গে শুদ্ধভাবে নজরুল সংগীত বাজবে না, বাজবে বাংলাদেশে। নজরুল ইনস্টিটিউট ১৬টি ও নজরুল একাডেমি পাঁচটিসহ মোট ২১ খণ্ডে আমি প্রায় এক হাজার নজরুল সংগীতের স্বরলিপি করেছি। স্বরলিপির ক্ষেত্রে আমি নজরুলের উপস্থিতিতে রেকর্ডকৃত, আদি গ্রামোফোনে রেকর্ডকৃত গান অনুসরণ করা হয়েছে। এতে কাজী নজরুলের গানের বাণী ও সুর বিকৃতি রক্ষা পাবে।

 

আপনি তো লালন সংগীতের স্বরলিপিও করেছেন।

লালনের স্বরলিপি কিন্তু অনেক পরে করেছি। যখন শিল্পকলায় চাকরি করতাম, সেখানে ক্লাস হতো। আমি, আহাদ ভাই, সোহরাব শিক্ষক। আর কারও নাম মনে করতে পারছি না...। আরেকজন শিক্ষক ছিলেন খোদাবক্স সাঁই। তিনি ছেউড়িয়া লালন আখড়া থেকে এসেছিলেন। লালনের গানও সেখানে শেখানো হতো। তার কাছে সে গান শুনতাম। ফরিদা পারভীন তখন টেলিভিশনে গাইতে আরম্ভ করেছে। তার গানগুলো চমৎকার লাগত। মনে মনে বাসনা ছিল, নজরুলের গান হারিয়ে যাচ্ছিল, তাই প্রতিরোধ করেছি। লালনের গানও তো আমরা সাঁইজির মুখে একরকম শুনি, কলকাতায় আরেকরকম। তখন লালনের গানের স্বরলিপি করলাম। আমার স্বরলিপি অনুযায়ী এক-দেড়শ গান রেকর্ড করা হয়েছে। যে কোনো গীতিকবির গান শুদ্ধরূপে টিকিয়ে রাখতে স্বরলিপি প্রণয়ন জরুরি।

 

আপনি গানের অ্যালবাম করেননি; কিন্তু অসংখ্য শিক্ষার্থীর মাঝে শুদ্ধ সুর ছড়িয়ে দিয়েছেন।

আমাদের সময় অতটা সুযোগও ছিল না, তখন ছিল কলের গান, ক্যাসেটের যুগ। নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে আমার একটি মাত্র নজরুল সংগীতের অ্যালবাম বেরিয়েছে। এই ইনস্টিটিউট যখন চালু হলো, তার মূল উদ্দেশ্যই ছিল নজরুল সংগীত শুদ্ধভাবে চর্চা এবং প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণের পুরো দায়িত্ব দিল আমাকে। কিন্তু অরগানোগ্রামে দুজন প্রশিক্ষকের পোস্ট ছিল। পরে বিশিষ্ট শিল্পী সোহরাব হোসেনকে আমরা যুক্ত করলাম। নজরুল সংগীতের শুদ্ধতা বজায় রাখতে তিনিও অশেষ অবদান রেখেছেন। আজকে দেশের নজরুল সংগীতের নামকরা শিল্পীর প্রায় সবাই আমাদের দুজনের সেই প্রশিক্ষণের ক্লাসের শিক্ষার্থী ছিল। অকাল প্রয়াত নীলুফার ইয়াসমীন, ফাতেমা-তুজ জোহরা, শাহীন সামাদ, ফেরদৌস আরা, এয়াকুব আলী খান, সাদিয়া আরফিন মল্লিকসহ সবাই নজরুল ইনস্টিটিউটে আমার ছাত্রী ছিল।

 

সংগীতবিষয়ক পরীক্ষক হিসেবেও কাজ করেছেন।

সরকার কর্তৃক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত ‘নজরুল সংগীত স্বরলিপি প্রমাণীকরণ পরিষদ’-এর সদস্য, নজরুল ইনস্টিটিউট, নজরুল একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি সংগীত মহাবিদ্যালয়ের সিলেবাস কমিটির সদস্য, পরীক্ষক হিসেবে কাজ করেছি। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের অডিশন বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করেছি। এ ছাড়া বাংলাদেশ নজরুল সংগীত শিল্পী সংস্থা ও রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।

 

আপনার পরিবারের কথা জানতে চাই।

আমার স্ত্রী নীলিমা দাশ কুমিল্লার মেয়ে। সে আমার বড় ভাই সুরেন দাশের কাছে গানের তালিম নিত। মাঝেমধ্যে আমি ওর গান তুলে দিতাম। এভাবেই নীলিমার সঙ্গে পরিচয়। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে আমার বিয়ে হলো। আমাদের একমাত্র পুত্র গিটারিস্ট নিলয় দাশ ও রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী কন্যা সুপর্ণা দাশ। নিলয় ২০০৬ সালে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে।

 

নতুন শিল্পীদের কাছে আপনার প্রত্যাশা কী?

নিয়মিত শুদ্ধ সুরের চর্চা। সারা জীবন মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এজন্য বলব, শিল্পী হওয়ার আগে একজন ভালো মানুষ হতে হবে। 

 

আপনার প্রিয় উক্তি কী?

আমি চিরতরে দূরে চলে যাব, তবুও আমারে দেব না ভুলিতে...।

সর্বশেষ খবর