শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ওয়াইস করনি রহমতুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম

আধ্যাত্মিক প্রেমে মগ্ন এক মনীষী

তানিয়া তুষ্টি

আধ্যাত্মিক প্রেমে মগ্ন এক মনীষী

যুগে যুগে এই পৃথিবীতে এসেছেন অসংখ্য মুসলিম মনীষী। তারা আল্লাহ ও নবী রাসুলের প্রতি প্রেমে থেকেছেন মগ্ন। দীন প্রচার ও ইবাদত বন্দেগিতে স্থাপন করেছেন অনন্য সব দৃষ্টান্ত। তাদের জীবনের লক্ষ্য ছিল একটিই, আর তা হলো অন্তরে আল্লাহকে ধারণ করা। তাদের ডাকে সৃষ্টিকর্তাও সাড়া দিয়েছেন, তৈরি হয়েছে অনন্য উপাখ্যান। আল্লাহর কাছ থেকে তারা পেয়েছেন অনেক অলৌকিক ক্ষমতা। এমনই এক আধ্যাত্মিক প্রেমে মগ্ন আশেক ওয়াইস করনি। বাহ্যিক দৃষ্টিতে তিনি ছিলেন রাস্তার পাগল। তাকে নিয়ে আজকের রকমারি আয়োজন।

 

হজরত ওয়াইস করনি

পুরো নাম সুলতানুল আশেকে রাব্বানি হজরত ওয়াইস করনি (রহ.)। তিনি বিশ্বের কাছে ইয়েমেনের প্রখ্যাত একজন মুসলিম মনীষী, সুফি, দার্শনিক ও শহীদ হিসেবে পরিচিত। ওয়াইস করনি ৫৯৪ খ্রিস্টাব্দে ইয়েমেনের করণ শহরে জন্ম নেন। জাতিসত্তায় ছিলেন আরব। পিতার নাম আবদুল্লাহ এবং মার নাম বেদউরা। তার পদবি ছিল সুলতানুল আশেকিনে রাব্বানি, আল্লাহ ও রাসুলের নয়নমণি। জীবদ্দশায় তিনি অনুসারীদের ওয়াইসি মতে প্রভাবিত করতেন। সুন্নি, সুফি ও শিয়াদের কাছে সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। আলি ইবনে আবু তালিবের পক্ষে লড়াই করে ৬৫৭ খ্রিস্টাব্দে ওয়াইস করনি সিফফিনের যুদ্ধে শহীদ হন। তারপর তাকে সিরিয়ার রাক্কাহতে দাফন করা হয়। এক সময় কিছু চরমপন্থি ইসলামী গোষ্ঠী এটি গুঁড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে তার সম্মানে তুরস্কের সির্ত প্রদেশের বায়কানে একটি মাজার নির্মাণ করা হয়।

 

আল্লাহ ও রাসুলের প্রেমে মগ্ন

ওয়াইস করনি ছিলেন আল্লাহ রাসুলের প্রেমে মগ্ন এক মনীষী। অথচ তিনি প্রথম জীবনে হজরত মুসা (আ.) এর অনুসারী ছিলেন। অর্থাৎ পারিবারিকভাবে তিনি ছিলেন ইহুদি। তার পিতা আবদুল্লাহ ছিলেন এলাকার খ্যাতিমান ইহুদি আলেম। তবে পরবর্তীতে আসমানি কিতাবে শেষ পয়গম্বর মহানবী হজরত মুহম্মদ মুস্তফা (সা.) এর আগমনের খবর পেয়ে ওয়াইস করনি এক মুসলিম আউলিয়ার কাছ থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার সঙ্গে মা বেদউরাকেও ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেন। এভাবে সারা জীবন আল্লাহ ও রাসুলের প্রেমে নিজেকে উজাড় করে দেন তিনি। ওয়াইস করনি জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ইসলামের কল্যাণে।

 

তার সুফিবাদ

সুফিজমে বহুল প্রচলিত চর্চাকে ইংরেজিতে বলে মিস্টিসিজম। এর অর্থ হলো মরমি সাধক বা মরমিয়া, সুফি, মুর্শিদ, দরবেশ, সাধু, সন্ন্যাসি, গুরু ইত্যাদি। গ্রিক শব্দ মিসটেস থেকে আসা শব্দটির অর্থ চোখ বন্ধ করা। মরমি সাধকরা চোখ বন্ধ করে অন্তর্দৃষ্টি ও গভীর চিন্তা-ভাবনার মাধ্যমে সত্য ও সুন্দরকে উপলব্ধি করতে সক্ষম। সুফিবাদেরও মর্মকথা হলো হৃদয়ে তোমার চলে যেন আলিফের (আল্লাহ) খেলা।

পবিত্র দৃষ্টি দিয়ে যদি তুমি জীবনকে দেখতে শেখ, তুমি জানবে আল্লাহর নামই যথেষ্ট। আল্লাহতে অনুগত বা লিন হওয়া সুফি সাধকের চরম লক্ষ্য। আর এই কাজই সাধন করেছেন ওয়াইস করনি। হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন বিশ্বাসী আল্লাহর নূরকে খোঁজ করবে, কেউ তা অন্তরচক্ষু দিয়ে দেখবে, যা চর্মচক্ষু দিয়ে পাওয়া যাবে না। জ্ঞান হলো আলো বা নূর যা আল্লাহ যাকে খুশি দান করেন। শারীরিকভাবে কাছাকাছি না থাকলেও সিদ্ধি লাভ হয়। হজরত ওয়াইস করনি তারই উদাহরণ। যেহেতু তিনি কখনই নবীজী (সা.) কে চর্মচক্ষু দিয়ে দেখেননি কিন্তু তার পরও তার সব শিক্ষাই তিনি পেয়েছিলেন।

আধ্যাত্মিক সাধনায় বিভোর

ওয়াইস করনি (রহ.) আল্লাহর ইবাদতে এতই মশগুল থাকতেন যে নিজের দেহের প্রতি কোনো খেয়ালই করতেন না। নিজের সৌন্দর্য নিয়ে কখনো ভাবতেন না। জানা যায়, তিনি দেখতে ছিলেন উজ্জ্বল ফর্সা মাঝারি আকৃতির, নীল সমুদ্রের মতো ছিল চোখ দুটি, মাথার চুল ছিল আলু-থালু, উষ্কখুষ্ক। তিনি দিনরাত এতই ইবাদত করতেন যে খাওয়া, ঘুম বলে কিছু জানতেন না। এত কঠোর ইবাদতের ফলে তার পেট পিঠের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল। পুরো শরীর বেঁকে গিয়েছিল ধনুকের মতো। সারা দেহে মাংস বলতে কিছুই ছিল না, ছিল শুধু হাড়। দূর থেকে তার দেহের সব হাড় একটি একটি করে গোনা যেত। তিনি শত ছিন্ন তালি দেওয়া কাপড় পরতেন। সাধারণ মানুষ দেখে তাকে রাস্তার পাগল বলে উপহাস করত, পাথর ছুড়ে মারত। পাথরের আঘাতে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হতো। তবুও ওয়াইস করনি কখনো কাউকে অভিশাপ দিতেন না। ধৈর্য ধরে থাকতেন। তার ধৈর্যের নমুনা এমনই ছিল যে, তিনি শুধু এই কথাই বলতেন যে— ভাই দয়া করে আমাকে ছোট ছোট পাথর মারুন। ছোট পাথরের আঘাতে যে রক্ত গড়িয়ে যাবে তাতে আমার অজু নষ্ট হবে না। কখনো সাধারণ মানুষের আচরণে বিরক্ত হতেন না। ওয়াইস করনি (রহ.) দিন-রাত প্রায় সব সময় আল্লাহর ইবাদত করতেন। দেখে মনে হতো নামাজই ছিল তার দিনরাতের প্রধান কাজ। এরই সঙ্গে তিনি ছিলেন ভীষণ মাতৃভক্ত।

 নবীর আদর্শে সাদামাটা জীবন

ওয়াইস করনির মাত্র ১০ বছর বয়সে পিতাকে হারান। সংসারের সব দায়িত্ব এসে পড়ে ছোট্ট শিশু ওয়াইস করনির ওপর। পর্যাপ্ত আর্থিক সংস্থান করা তার জন্য ছিল কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাই স্বভাবতই তার আর তার মায়ের অভাব অনটনে দিন যেতে থাকে। কখনো এমন হয়েছে যে, শুধু পানি খেয়ে দিন অতিবাহিত করতে হয়েছে। এর মধ্যে আবার তিনি বছরের অধিকাংশ দিনই রোজা রাখতেন। ইফতার করতেন শুধু একটি খেজুর দিয়ে। যেদিন বেশি খেজুর কিনতে সমর্থ হতেন সেদিন দুই একটি খেজুর রেখে বাকি সবই ফকির মিসকিনদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। এমন ধার্মিক ওয়াইস করনির এরই মাঝে বহু আমির ভক্ত তৈরি হয়ে যায়। তার এমন জীর্ণশীর্ণ দশা দেখে ভক্তরা দামি দামি কাপড়, টাকা পয়সা দিয়ে ওয়াইস করনিকে সাহায্য করতে চাইতেন। কিন্তু ওয়াইস করনি তা ফিরিয়ে দিতেন নির্দ্বিধায়। তাদের উদ্দেশ্যে শুধু বলতেন, আমার দয়াল নবী (সা.) ই যখন উম্মতের জন্য সব আরাম-আয়েশ ছেড়ে দিলেন, তখন আমি তার গোলাম হয়ে কীভাবে আরাম-আয়েশ করতে পারি। কোনো সুখ স্বাচ্ছন্দ্য তাকে টানত না। যখন ওয়াইস করনির খ্যাতি বাড়তে থাকে তখন তিনি নিজের মাকে নিয়ে জঙ্গলে আত্মগোপন করেন। যাতে মানুষের অতিরিক্ত সমাদর পেয়ে নিজের ইবাদত করতে কোনো প্রকার অসুবিধা না হয়। দিনের বেলায় মাঝে মাঝে মরুর বুকে উট চরাতে বের হতেন। এতেই তার আর্থিক সংস্থান হয়ে যেত।

নবীর গায়ের জুব্বা প্রাপ্তি

হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর ওফাতের আগে হজরত ওমর (রা.) ও হজরত আলী (রা.) কে বলেন, আমার গায়ের জুব্বাটা আমার মৃত্যুর পর শ্রেষ্ঠ আশেক ওয়াইস করনিকে পৌঁছে দিও। তাকে আমার সালাম জানিয়ে বলবে, তিনি যেন আমার উম্মতের গুনাহ মাপের জন্য তাকে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করে। নবীজীর এই আদেশ পালিত হয় যথাসময়ে। হজরত ওমর (রা.) এর শাসনকালে হযরত আলী (রা.) কে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন কুফার পথে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওয়াইস করনিকে পেলেন। তখন ওয়াইস করনি নামাজ পড়ছিলেন। নামাজ শেষে অতিথিদের সালাম দিলেন। অতিথিরা ওয়াইস করনির পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তার হাতে চুমু দিলেন। তারা নবীজী (সা.) এর নির্দেশ মতো ওয়াইস করনির হাতে জুব্বা তুলে দিলেন। তাকে নবীর আহ্বান জানালেন। ওয়াইস করনি তখনি জুব্বাটি নিয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা করলেন উম্মতদের গুনাহ মাফ করার জন্য।

হাসতেন না কখনো

লোকালয় ছেড়ে জনবিরল এলাকায় বাস করতেন ওয়াইস করনি। দিনরাত আল্লাহর ধ্যান আর মায়ের সেবা নিয়ে তিনি ব্যস্ত থাকতেন। দিনের বেলা উট চরিয়ে রুটির ব্যবস্থা করতেন। জীবনে বাড়তি সঞ্চয় বা বিলাসিতার ধার দিয়েও চলতেন না এই মানুষটি। তাকে কখনো মানুষ হাসতে দেখেননি। লোকে যখন হাসত তিনি তখন কাঁদতেন। শুধুমাত্র নবীজীর জুব্বা প্রাপ্তির সময় এক চিলতে হাসির রেখা দেখা গিয়েছিল তার ঠোঁটের কোণে। সবার কাছে তিনি খাপছাড়া মানুষ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।

 

নবীর প্রেমে দাঁত ভাঙেন

ওহুদের যুদ্ধে মহানবী হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা.)-এর একটি দাঁত ভেঙে যায় শত্রুর আঘাতে। সে সময় ওয়াইস করনি ইয়েমেন থেকে ২০০ মাইল দূরে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকেই জাহেরি এবং বাতেনি জ্ঞানের মাধ্যমে তিনি হজরতের দাঁত হারানোর বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন। এটা সরাসরি হজরত মোহাম্মদ (সা.) থেকে প্রাপ্ত শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত। নবীর প্রেমে বিভোর হয়ে আল্লাহকে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া মাবুদ আমার দয়াল নবীর কোন দাঁত শহীদ হয়েছে দয়া করে একটু জানান। আল্লাহ তায়ালা ওয়াইস করনিকে পরীক্ষা করার জন্য সেদিন নবী (সা.)-এর শহীদ দাঁত সম্পর্কে জানান দেননি। কিন্তু ওয়াইস করনি নবীর ব্যথায় পূর্ণ ব্যথিত হয়েছেন। এ ঘটনায় সেদিন পাথর দিয়ে একে একে নিজের ৩২টি দাঁত ভেঙে ফেলেন। ওয়াইস করনির নবীর প্রতি এমন প্রেম দেখে সেদিন আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছিল। প্রমাণ হয়েছিল নবীর ধ্যানে মগ্ন এক মনীষীর ভালোবাসা। প্রিয় নবীর প্রতি ওয়াইস করনির শ্রদ্ধা, ভক্তি ও ভালোবাসা ছিল অতুলনীয়।

 

বিশ্বে তার সাত রওজা

ওয়াইস করনি বেঁচে থাকা অবস্থায় অনেক বেশি অলৌকিক ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন। মৃত্যুর পরও রেখে গেছেন এমন অনেক উদাহরণ। তিনি এমন একজন মানুষ যার পৃথিবীজুড়ে রয়েছে ৭টি রওজা শরিফ। প্রথম রওজা শরিফ আছে সিফফিনে, দ্বিতীয় রওজা শরিফ দেখা যাবে আজারবাইজানে, তৃতীয় রওজা শরিফ আছে ইয়েমেনে, চতুর্থ রওজা শরিফ রয়েছে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে, পঞ্চম রওজা শরিফ মদিনার দক্ষিণে জোবায়দায়, ষষ্ঠ রওজা শরিফ গজনিতে ও সপ্তম রওজা শরিফ বাগদাদে রয়েছে। ওয়াইস করনি একদিন আল্লাহ পাকের কাছে প্রার্থনা করেন, হে আল্লাহ আমাকে দুনিয়া ও আখিরাতে গোপন রাখ। কেউ যেন আমার সঠিক পরিচয় জানতে না পারে।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার এই দোয়া কবুল করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কুদরতে একজন ওয়াইস করনি থেকে সাতজন সৃষ্টি হয়ে সাত দেশে চলে যান। পরবর্তীতে এই সাতজন সাতভাবে সাত জাগায় ইন্তেকাল করেন। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো যে ৭টা রওজা শরিফেই অলৌকিক অনেক ঘটনা পরিলক্ষিত হয়। ওয়াইস করনির রওজা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে আজও রহস্যের বিষয় হয়ে আছে। চিরকাল এটি রহস্য হয়ে থাকবে বলে ধারণা করা হয়।

 

মা ভক্তির অনন্য উদাহরণ

স্বল্প আহার, রোজা রাখা ও অন্ধ মায়ের সর্বপ্রকার সেবা-শুশ্রূষা করাই ছিল তার জীবনের ব্রত। তিনি ছিলেন মাতৃভক্তের অনন্য উদাহরণ। মায়ের আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেন।

শুধু তাই নয় তিনি যেখানেই যেতেন মাকে ঘাড়ে বসিয়ে নিয়ে যেতেন। এক মুহূর্তের জন্য তার মাকে মাটিতে পা ফেলতে দিতেন না। অন্ধ মায়ের সেবায় ব্যাঘাত হওয়ার ভয়ে ওয়াইস করনি (রহ.) কখনো কোথাও যেতেন না। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবদ্দশায় ওয়াইস করনি জীবিত ছিলেন। তার আশা ছিল প্রিয় নবীজীর সঙ্গে একবার দেখা করবেন। কিন্তু অন্ধ ও অসুস্থ মাকে রেখে প্রাণপ্রিয় নবীজীর সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয়নি। কারণ ওয়াইস করনি সব সময় ধর্ম সাধনায় মগ্ন থাকতেন এবং মাকে দেখাশোনা করতেন। পরবর্তীতে তার মায়ের মৃত্যুর পর হজরত আলী (রা.) এর সঙ্গে দেখা করার জন্য বের হয়েছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যে তিনি সিফফিনের যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেন। ইসলামের বিজয়ের জন্য সিফফিন যুদ্ধে ওয়াইস করনি শাহাদাত বরণ করেন।

 

সব বিশ্বাসীর হেফাজতকারী

ঐতিহাসিক বর্ণনা মতে, রাসুল্লাহ (সা.) বলেন, আমার সাহাবিদের মাঝে এমন একজন আছে যিনি শেষ বিচারের দিনে সব বিশ্বাসীকে হেফাজতের ক্ষমতা রাখেন। এমন কথা শুনে সাহাবাগণের মনে প্রশ্ন আসল। তারা নবীর কাছে জিজ্ঞেস করলেন, কে সেই ব্যক্তি? তিনি বলেন সে আল্লাহর বান্দা। তারা বলেন, আমরা সবাই আল্লাহর বান্দা। কিন্তু তার নাম কী? রাসুলে পাক (সা.) বলেন, ওয়াইস। তারা আবার বলেন, তিনি কোথায়? উত্তরে প্রিয় নবী জানিয়েছিলেন, ইয়েমেনে। সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করেন, সে যদি আপনাকে ভালোবাসে, তাহলে কেন আপনার খেদমতে হাজির হন না? রাসুলে পাক (সা.) জবাবে বলেছিলেন, সে আমার দর্শন গ্রহণ করেছে এবং সে একজন বিশ্বাসীর অন্তর্ভুক্ত। শারীরিকভাবে তার এখানে উপস্থিত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

সর্বশেষ খবর