এখনও বাকি আরও ১১৮ বছর! তবেই নাকি একই বেতনধারী হবেন দুনিয়াজোড়া নারী ও পুরুষ কর্মীরা। এমনটাই জানাচ্ছে ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে’ (ডব্লিইইএফ)-র একটি সমীক্ষা। তা নারী-পুরুষে এই আর্থিক বৈষম্য কি আদৌ কোনও দিন মিটবে? প্রশ্নটা ফের উঠছে ওই রিপোর্ট সামনে আসার পর।
বিশ্বজুড়ে ডব্লিইইএফ-এর ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট’-এ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আর্থিক সক্ষমতা ও রাজনৈতিক ক্ষমতা— এই চারটি বিশেষ দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। যে সব দেশের উপর সমীক্ষা করা হয়েছে সে দেশগুলিতে ওই চারটি দিকে নারী-পুরুষে সমান সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে কি না, সমীক্ষায় তা-ও দেখা হয়েছে।
রিপোর্ট’ বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে পুরুষদের আয়ের সমান আয় করছেন একবিংশ শতকের নারী কর্মীরা। রিপোর্টে দাবি, নারী-পুরুষের এই বেতন-বৈষম্যে মিটবে আগামী ২১৩৩ সালে অর্থাৎ ১১৮ বছর পর। বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৫ কোটি নারী পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন। এক দশক আগেও অবশ্য ছবিটা এমন ছিল না। কিন্তু, প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই পুরুষ কর্মীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যখন নারীদের সংখ্যা বাড়ছে, তখন এই রিপোর্টের বক্তব্য কি যুক্তিযুক্ত? রিপোর্ট জানিয়েছে, এই ফারাকটা দ্রুত তো মিটছেই না, বরং বেতন-বৈষম্য কমার হার হঠাৎ-ই থমকে গিয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর ইউরোপীয় দেশগুলিতে তুলনামূলক ভাবে বেতন-বৈষম্য কম। রিপোর্টে প্রকাশিত তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে আইসল্যান্ড (এক নম্বর), নরওয়ে (২), ফিনল্যান্ড (৩) এবং সুইডেন (৪)। অন্যদিকে বৈষম্য বেশি ইয়েমেন, পাকিস্তান, সিরিয়া— এই দেশগুলিতে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা