২৬ নভেম্বর, ২০১৫ ১৬:৪৯

...জন্মেছি এই দেশে

অনলাইন ডেস্ক


...জন্মেছি এই দেশে

গোড়াতেই একটা কথা স্পষ্ট করে বলি। প্রথমত, আমি বা আমার স্ত্রী কিরণ, কারও দেশ ছাড়ার কোনও ইচ্ছে নেই। আমরা কখনও এমন করিনি, ভবিষ্যতেও করব না। যারা এর উল্টো মানে করছেন, তারা হয় আমার সাক্ষাৎকারটি দেখেননি। নয়তো আমি যা বলেছি, উদ্দেশ্যপূর্ণ ভাবে তার বিকৃতি ঘটানোর চেষ্টা করছেন। ভারত আমার দেশ, আমি দেশকে ভালবাসি। এ দেশে জন্মেছি বলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। এ দেশেই আমি থাকব।

দ্বিতীয়ত সাক্ষাৎকারে আমি ঠিক যা যা বলেছি, এখনও তা-ই বলছি।

যারা আমায় ভারত-বিরোধী আখ্যা দিচ্ছেন, তাদের জানাচ্ছি, আমি ভারতীয় বলে গর্বিত। তার জন্য কারও অনুমোদন বা সিলমোহরের প্রয়োজন নেই আমার।

মনের কথা বলার অপরাধে যারা আমার বিরুদ্ধে কটূক্তি করছেন, দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি, তারা আসলে আমার বক্তব্যকেই সত্যি প্রমাণ করছেন।

যারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ। আমাদের এই অনন্য সুন্দর দেশের যা কিছু সত্যিকার অভিজ্ঞান, সেই সব কিছু আগলে রাখতে হবে। এ দেশের সংহতি, এ দেশের বৈচিত্র্য, অন্যকে আপন করে নেওয়ার ঐতিহ্য, অসংখ্য ভাষা-সংস্কৃতি-ইতিহাস, এ দেশের সহিষ্ণুতা, একান্তবাদের ধারণা, এ দেশের ভালবাসা, সংবেদনশীলতা আর হৃদয়ের শক্তিকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কবিতা দিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি।

এটা সত্যিই প্রার্থনা:

চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির,
জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর
আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী
বসুধারে রাখে নাই খণ্ড ক্ষুদ্র করি,
যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে
উচ্ছ্বসিয়া উঠে, যেথা নির্বারিত স্রোতে
দেশে দেশে দিশে দিশে কর্মধারা ধায়
অজস্র সহস্রবিধ চরিতার্থতায়—
যেথা তুচ্ছ আচারের মরুবালুরাশি
বিচারের স্রোতঃপথ ফেলে নাই গ্রাসি,
পৌরুষেরে করে নি শতধা; নিত্য যেথা
তুমি সর্ব কর্ম চিন্তা আনন্দের নেতা—
নিজ হস্তে নির্দয় আঘাত করি, পিতঃ,
ভারতেরে সেই স্বর্গে করো জাগরিত।
জয় হিন্দ।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা 


বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর