আক্রান্ত হলে অস্ত্রাগারে যত রকমের অস্ত্র রয়েছে, সেই সব রকমের অস্ত্রকে ভারতের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক পদস্থ কর্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সামনেই এমন মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকায়। তবে পাকিস্তানি ওই কর্মকর্তার কোনো পরিচয় পত্রিকাটিতে প্রকাশ করা হয়নি।
এতে বলা হয়, ‘‘বিদেশি শক্তির আগ্রাসনে যদি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, তা হলে আত্মরক্ষার স্বার্থে পাকিস্তান তার হাতে থাকা সব অস্ত্র প্রয়োগ করবে, আক্ষরিক অর্থেই সব অস্ত্র প্রয়োগ করবে।’’ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক পদস্থ কর্মকর্তা একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এমনই বলেছন। ‘আক্ষরিক অর্থেই সব অস্ত্র প্রয়োগ’ বলতে ওই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ওই কর্মকর্তা কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা ওয়াকিবহাল মহলের কাছে স্পষ্ট। পাকিস্তান একটি পরমাণু শক্তিধর দেশ। আক্রান্ত হলে ভারতের বিরুদ্ধে ‘সব অস্ত্র’ প্রয়োগের হুমকি দেওয়ার অর্থ যে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের হুমকি, তা বুঝতে কোনো মহলেরই সমস্যা হয়নি।
সমর বিশেষজ্ঞদের বরাত আনন্দবাজার জানায়, ভারতীয় সেনা সম্প্রতি পাকিস্তানকে যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তাতে ইসলামাবাদ যথেষ্ট চাপে পড়েছে। চাপ কাটাতেই ভারতকে পরমাণু অস্ত্রের ভয় দেখাতে চাইছে।ভারতের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত সম্প্রতি ভারতের ‘কোল্ড স্টার্ট’ রণকৌশলের কথা ঘোষণা করেছেন। চলতি মাসের শুরুতেই তিনি পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, যেকোনো রকম নাশকতার অত্যন্ত কড়া জবাব দেবে ভারত। ভারতীয় বাহিনী জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে বসে রয়েছে বলে তিনি জানান। ভারতে কোনো সন্ত্রাসী হানা হলে এত দ্রুত ভারতীয় সেনা পাল্টা হামলা চালাবে যে পাকিস্তান তা রোখার প্রস্তুতিও নিতে পারবে না। অনেকটা এমনই হুঁশিয়ারি ভারতীয় সেনাপ্রধানের।
বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, যথেষ্ট প্রস্তুতি নেয়ার পরই ভারতের সেনাপ্রধান এই মন্তব্য করেছেন। পাকিস্তানও সে কথা জানে। সেই কারণেই ইসলামাবাদ নাকি হুমকি দিচ্ছে। সন্ত্রাসী হানার জবাব দিতে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকলেই নিজেদের অস্ত্রাগারে থাকা সব অস্ত্র ভারতের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করবে পাকিস্তান— এমনই একটা বার্তা আগেভাগে ছড়িয়ে দিতে চাইছে পাকিস্তান।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ জানুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব
