২৪ এপ্রিল, ২০১৭ ১১:৪৮

গাড়ি তৈরি করতে চাইছে বাংলাদেশ, লক্ষ্য রফতানিও

অনলাইন ডেস্ক

গাড়ি তৈরি করতে চাইছে বাংলাদেশ, লক্ষ্য রফতানিও

বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও গাড়ি তৈরি করতে চাইছে। শুধু গাড়ি তৈরি নয়, রফতানি করার লক্ষ্যও আছে বাংলাদেশের।'গাড়ি তৈরি করতে চাইছে বাংলাদেশ, লক্ষ্য রফতানিও' শিরোনামে সম্প্রতি এমনই একটি প্রতিবেদন ছাপিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।

ওই শিরোনামে আরও বলা হয়,গাড়ির কদর বিশ্ববাজারে যথেষ্ট। ইউরোপ-আমেরিকায় গাড়ির প্রতিযোগিতা তীব্র। গুণে মানে একে অন্যকে বাজার থেকে ধাক্কা দিয়ে সরাতে চাইছে। পোশাক পাল্টানোর মতো লোকে গাড়ি বদলাছে। কী করবে গাড়ি শুধু যাতায়াতেরই বাহন নয়। শৌখিনতা বা শখই শুধু নয়। স্ট্যাটাস সিম্বলও।

অনেকের কাছে জীবনভর একই গাড়ি চড়াটা অসম্মানের। কেনার দু'দিনেই পুরোন। চাই নিত্য নতুন। গাড়ির চাহিদা বাড়ছে হু হু করে। কথাটা মাথাই রেখেই গাড়ি শিল্পে নবদিগন্ত উন্মোচন করতে চাইছে বাংলাদেশ। গাড়ি তৈরিতে নজর দিতে চাইছে বেশি। এমন গাড়ি হবে যা দেখে চমকাবে সবাই। যেমন গুণ তেমন গতি। এক বার নজরে এলে চোখ ফেরান যাবে না। 

বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশারা হোসেন জানিয়েছেন, দেশেই গাড়ি তৈরি হবে। যা স্বদেশি চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে রফতানি করা যাবে। মায়ানমার, ভুটানে ভাল মার্কেট পাওয়া যাবে। আস্তে আস্তে অন্য প্রতিবেশি দেশের বাজার ধরা হবে।

বিদেশ থেকে রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানি করেই বাংলাদেশের গাড়ির চাহিদা মেটান হয়। তার আর দরকার হবে না। এখন ৯০ শতাংশ গাড়ি আসে ভারত থেকে। আগে আসত ব্রিটেন, জাপান বা অন্য দেশের তৈরি গাড়ি। বাংলাদেশের বাজারে অশোক লেল্যান্ড, বাজাজ অটো, হিরো, হোন্ডা, মাহিন্দ্রা, মারুতি-সুজুকি, টাটা মোটরস, ইয়ামহা, টিভি এস মোটর সাইকেল ভালই চলে। 

বাংলাদেশ গাড়ি তৈরি শুরু করলে ছবিটা বদলাবে। নিজেরাই নির্মাণ করবে, নিজেরাই চড়বে। রফতানি করে মোটা অঙ্কের ডলারও ঘরে আসবে।

 

বিডি প্রতিদিন/২৪ এপ্রিল, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর