২ মে, ২০১৭ ০৯:২৩
খবর : কলকাতা২৪.কম

রেড-লাইট এরিয়ার চাপা কান্না!

অনলাইন ডেস্ক

রেড-লাইট এরিয়ার চাপা কান্না!

রাতের অন্ধকারে যখন নিশ্চুপ হয়ে আসে গোটা শহর। তখনই গভীর রাতের নিস্তব্ধতা পেরিয়ে জেগে ওঠে রেখার (ছদ্মনাম) মতন মেয়েরা। সারাদিন যে এলাকা ঘুমিয়ে থাকে। সেই এলাকাই রাতে খদ্দেরদের দর কষাকষিতে জেগে ওঠে। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ জন খদ্দেরের মন জয় করতেই ব্যস্ত থাকে এই সমস্ত মেয়েরা। 

‘ভার্জিন’ অর্থাৎ কুমারীত্বই এই সমস্ত মেয়েদের কাছে অভিশাপের সমান। কিন্তু কিভাবে কাটে দিনের পর দিন এই সমস্ত রেখাদের জীবন? কিভাবেই বা তারা এই যৌনকর্মী হয়ে ওঠেন?

কামাথিপুরা এলাকা মুম্বইয়ের সবচেয়ে পুরোনো এবং এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম রেড-লাইট জায়গা। আর এখানেই রেখার মতন বেড়ে উঠেছে একের পর এক মেয়ে। দিনের পর দিন তাদের অন্ধকার বাক্সের মধ্যে বন্ধ করে রাখা হয়। যাতে তারা পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে অক্ষম হয়ে পরেন। তাদের ইচ্ছা শক্তি যাতে একেবারেই হ্রাস পায় সেই চেষ্টাই করা হয়। একের পর এক শিশুপাচার চক্রের খোঁজ পাওয়া যায় খবরে চোখ রাখলেই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এদের প্রত্যেকের খোঁজ পাওয়াও যায় না। এমনই অন্ধকার জগতে তারা হয়তো এভাবেই হারিয়ে যায়।

রেখা কর্ণাটকের একটি ছোট্ট গ্রামের মেয়ে তিনি। মাত্র ১২ বছর বয়সেই তাকে এই নিষিদ্ধপল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয। তার পর থেকেই সে এই যৌনতায় লিপ্ত হয়। আর সেই শুরু। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত ধরে সহ্য করতে হয় এই যন্ত্রণা। আর তার মাঝে যদি কখনও বাড়ির নাম সে মুখেও আনে, তাহলেই তারপর শুরু হয় অত্যাচার।

ঘরে বসে আমরা ছেলেদের বডি শেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলি। আলোচনা করি। কিন্তু কামাথিপুরের এই ছোট্ট লেনটিতে কত কষ্টের মধ্যে কাটছে তাদের দিনের পর দিন। সেই খোঁজ আমরা হয়তো কেউই রাখিনা। ভার্জিন মেয়েদের বাছাই করে করে এখানে বিক্রি করা হয়। তারপর জোর করে ড্রাগ এবং তাদের চেহারা আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বিভিন্ন ওষুধের ইনজেকশন দেওয়া হয়। অত্যন্ত দারিদ্রের পরিবার থেকে তুলে আনা হয় এই সমস্ত মেয়েদের। টাকার লোভ দেখিয়ে এই অন্ধকার কলোনিতে নিয়ে এসে শুরু হয় যৌন হেনস্থা। বাধ্য করা হয় তাদের যৌনসঙ্গমে।

বিডি প্রতিদিন/০২ মে ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর