১ জুন, ২০১৭ ১০:৪৬
খবর জি নিউজের

নেতাজির মৃত্যুরহস্য এবারও কাটলো না, ক্ষোভ পরিবারের

অনলাইন ডেস্ক

নেতাজির মৃত্যুরহস্য এবারও কাটলো না, ক্ষোভ পরিবারের

সাত দশকের রহস্য শেষ এবারও হলো না। ভারতের কেন্দ্র সরকার জানালো, তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়েছিল। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই ঘোষণার পরও অবশ্য শেষ হল না বিতর্ক। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছে নেতাজি পরিবারের একাংশ। খবর জি নিউজের।

বিমান দুর্ঘটনাতেই কি নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল? নাকি তিনি পালিয়ে যান রাশিয়ায়? গুমনামি বাবার (অনেকে তাকে নেতাজি মনে করেন) আসল পরিচয়ই বা কী? সাত দশক ধরে এই সব প্রশ্নে আলোড়িত দেশ। দ্বিধাবিভক্ত গবেষকরা। এমনকি নেতাজির পরিবারও। সরকারের ঘোষণায় অবশেষে পড়ল যবনিকা।

১৯৪৫ সালের ১৮ই অগাস্টের পর নেতাজি কোথায় ছিলেন সে বিষয়ে কি সরকারের কাছে কোনো তথ্য আছে? তথ্যের অধিকার আইনে তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণলায়ের কাছে জানতে চান কলকাতার বাসিন্দা সায়ক সেন। উত্তরে কেন্দ্র জানিয়েছে, ১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজির মৃত্যু হয়। বলা হয় শাহনওয়াজ কমিটি, খোসলা কমিশন ও মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকার এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।

তথ্যের অধিকার আইনে গুমনামি বাবা ওরফে ভগবানজি সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়। কেন্দ্রের উত্তর, গুমনামি বাবা ওরফে ভগবানজি যে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু নন, সে বিষয়ে মুখার্জি কমিশনই সিদ্ধান্তে পৌছেছে। তবে কেন্দ্রের এমন রিপোর্টে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র বসু।

সম্প্রতি, নেতাজি সংক্রান্ত গোপন ফাইল প্রকাশ করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। এই ফাইলে নেতাজির মৃত্যু রহস্য সমাধানের ইঙ্গিত মিলতে পারে বলে কোনো কোনো মহলে আশা প্রকাশ করা হয়। যদিও তেমন কিছু পাওয়া যায়নি বলেই জানান বিশেষজ্ঞরা। এবার কেন্দ্রের ঘোষণাই সাত দশকের রহস্যময়তায় ইতি টানল। তবে শেষ হল না বিতর্ক।

বিডি-প্রতিদিন/০১ জুন, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর