২৩ অক্টোবর, ২০১৭ ১১:৩৩
খবর আনন্দবাজার পত্রিকার

রোহিঙ্গা নিয়ে ঢাকার পাশেই দাঁড়াল দিল্লি

অনলাইন ডেস্ক


রোহিঙ্গা নিয়ে ঢাকার পাশেই দাঁড়াল দিল্লি

নির্যাতনের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থানকেই সমর্থন জানালো ভারত। ঢাকা সফরের প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ রবিবার বলেছেন, ‘‘রোহিঙ্গারা মায়ানমারের বাসিন্দা। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নিতেই হবে।’’

মিয়ানমারের রাখাইন (সাবেক আরাকান) প্রদেশে রোঙিঙ্গা সমস্যা নিরসনে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি করেছে বাংলাদেশ। সুষমা শেখ হাসিনাকে জানান, ভারতও তাই চায়।

রোহিঙ্গাদের সব ধরনের মানবিক সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় দু’দেশই যে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলতে বদ্ধপরিকর, সে কথাও এদিন ফের ঘোষণা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ঢাকায় জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশন-এর বৈঠকে যোগ দিতে সুষমার এই সফর হলেও, দু’দেশই তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এদিন দুপুরে বিশেষ বিমানে ঢাকা পৌঁছলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলি তাঁকে স্বাগত জানান। এরপর হোটেলে এসে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠকে বসেন। পরে বিকেলে সুষমা যান প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘গণভবন’-এ। সেখানে শেখ হাসিনা তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। সুষমার শরীরের খোঁজ খবর নেন। এরপর তাঁদের আনুষ্ঠানিক বৈঠকে অনেকটা সময় ধরেই কথা হয় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে। সুষমা বলেন, এই সমস্যায় দিল্লি সর্বতোভাবে ঢাকার পাশে থাকবে। ভারতও চায় সব রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মায়ানমার ফিরিয়ে নিক। জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলিও এ ব্যাপারে চাপ তৈরি করুক। 

সুষমা বলেন, মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের জাতিগত সমস্যার নিরসন না হলে শরণার্থী সমস্যাও রয়ে যাবে। কফি আনান কমিশনের সুপারিশ মেনেই সে সমস্যা সে কাজ সম্ভব। বাংলাদেশও আগে এই দাবি করেছে।

বাংলাদেশ সরকারের হাতে ১৯৭১-এর যুদ্ধে ব্যবহৃত ২৫টি অস্ত্র, একটি হেলিকপ্টার ও দু’টি ট্যাঙ্ক তুলে দেন সুষমা। বাংলাদেশের দু’টি জাদুঘরে এগুলি রাখা হবে। প্রতীকী হিসাবে শেখ হাসিনার হাতে একটি ৩৮ ক্যালিবারের পিস্তল তুলে দেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


বিডি-প্রতিদিন/২৩ অক্টোবর, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর