মোবাইল ফোনে কোরআনের আয়াতকে রিংটোন বা কলার টিউন করা হলে তা হারাম বলে মানা হবে৷ সৌদি আরবের মুফতিরা এটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন৷ সৌদি মুফতিদের দেওয়া এই ফতোয়ার দেওবন্দী মুফতি-একরমও এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেছে কোরআনের আয়াতকে যদি মোবাইলে রিংটোন বা কলার টিউন হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে, সেটিকে হারাম বলে মানা হবে৷
সৌদি কাউন্সিল বা মুফতির জারি করা এই ফতোয়া কারণ কি সেটাও বলে দেওয়া হয়েছে৷ মুফতি-একরম থেকে জানানো হয়েছে মোবাইলে কোরাআনের আয়াতকে রিংটোন বা কলার টিউন করাটাকে হারাম বলার কারণ ফোন আসলে কলার টিউন বা রিংটোন যখন বাজতে থাকে সেটিকে মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে তাঁরা ফোন রিসিভ করে নেন৷ ফলে আয়াত পুরো শোনা হয়না৷
মুফতি-একরাম মোতাবিক কোরআন পুরো শুনতে হবে৷ কারণ কোরআনের আয়াত যদি পুরো না শুনে মাঝপথে তা বন্ধ করে ফোন রিসিভ করা হয় তাহলে আয়াত অসম্পূর্ণ থেকে যায়৷ এটা করা অপরাধ৷ কারণ আয়াত অসম্পূর্ণ থাকার ফলে তার অর্থ পাল্টে যায়৷ যা ইসলামে অপরাধ বলে মানা হয়৷ এই জন্যই কোরআনের আয়াতকে মোবাইল কলার টিউন বা রিংটোন করা যাবেনা৷ যে করবে তাকে অপরাধী হিসেবে ধরা হবে৷ এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে দেওবন্দী আলিম মুফতি আতহার কাসমি বলেছেন, মোবাইলে কলার টিউন বা রিংটোন হিসেবে কোরআনের আয়াত, নাত-এ-পাক এবং আজান ব্যবহার করা অবৈধ৷ তিনি সৌদি মুফতিদের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেছেন, প্রায়ই পকেটে রাখা মোবাইল সেই ব্যক্তির সঙ্গে শৌচাগারেও চলে যায়৷ এবং সেখানে এই কলারটিউন বেজে ওঠা বা তা শোনা বৈধ নয়৷তিনি আরও বলেন “সৌদি আরব থেকে কোরআনের আয়াতকে মোবাইলের রিংটোন বা কলার টিউন করা হারাম বলে যে ফতোয়া জারি হয়েছে আমরা তার পূর্ণ সমর্থন করছি৷ এর কারণ আছে৷ কোরআন কারিমকে দূষিত জায়গায় পড়া যায়না৷যেমন কোরআন যদি শৌচাগারে থাকা কোনও ব্যক্তির মোবাইলের রিংটোনে বেজে ওঠে সেক্ষেত্রে সেটি কোরআনকে অপমান করা হল বলে ধরা হবে৷ এই কারণেই এটিকে হারাম বলা হয়েছে৷”
সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর সেভেন
বিডি প্রতিদিন/২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/হিমেল