১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৬:২৪
খবর আনন্দবাজার পত্রিকার

মালদ্বীপ এখন ভারতের গলার কাঁটা

অনলাইন ডেস্ক

মালদ্বীপ এখন ভারতের গলার কাঁটা

সংগৃহীত ছবি

ভারত মহাসাগরের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপ। নিকটবর্তী দেশ হিসেবে ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল দীর্ঘ দিনের। কিন্তু অতি ঘনিষ্ঠ সেই মালদ্বীপই এখন ভারতের গলার কাঁটা!

এদিকে সম্প্রতি ভিয়েতনাম সফরে গিয়ে ভারত মহাসাগর সংলগ্ন রাষ্ট্রগুলির মধ্যে নিরাপত্তার দুর্গ গড়ার ডাক দিয়েছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। বিমসটেক সম্মেলনেও সমুদ্র নিরাপত্তা এবং বাণিজ্য সম্পর্ক চাঙ্গা করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সহযোগিতা দূরস্থান, এই সমুদ্র পথেরই একটি দ্বীপরাষ্ট্র কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বসে রয়েছে ভারতকে।

পরিস্থিতি এমনই যে, মালদ্বীপের বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে বেইজিং সামরিক ঘাঁটি তৈরির প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে। আর তা অনেকটাই এগিয়ে যাওয়ার পথে বলে মনে করা হচ্ছে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ক্ষেত্রে আর বিশেষ কিছু করারও থাকবে না নয়াদিল্লির।

এদিকে মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর দু’টি কপ্টার ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য তাড়া দিচ্ছে দেশটি। শুধু হেলিকপ্টার নয়, সেখানে উপস্থিত ৫০ জন ভারতীয় সেনাকর্মীকেও যাতে ভারত ফিরিয়ে নেয়, সে জন্যও চাপ বাড়াচ্ছে তারা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, এই চাপের কাছে নতিস্বীকার করে এখনই হেলিকপ্টার এবং সেনা ফেরাতে চাইছে না নয়াদিল্লি।

কূটনৈতিক শিবিরের মতে, ভারত মহাসাগরে নিজেদের প্রভাব বজায় রাখার জন্য মরিশাস, সিসিলিস ও মালদ্বীপের মতো দেশগুলিকে হেলিকপ্টার, টহলদারি বোট ও আরও অনেক কিছু দিয়ে সাহায্য করে ভারত-চীন। সাহায্যের মোড়কে নিজেদের কৌশলগত নজরদারি এবং ঘাঁটি তৈরিই প্রকৃত উদ্দেশ্য। কিন্তু এই কাজে মালদ্বীপে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে চীন। যে মালদ্বীপে ২০১১ সাল পর্যন্ত চীনের দূতাবাসও ছিল না, আজ সেখানকার রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক প্রতিটি পদক্ষেপে জড়িত বেইজিং। গত ডিসেম্বরে সাউথ ব্লকের রক্তচাপ দ্বিগুণ করে মালদ্বীপের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করেছে চীন। মালদ্বীপও চীনের ওবর প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিয়েছে। সে দেশের বিভিন্ন প্রকল্পে ভারতীয় সংস্থাগুলিকে হটিয়ে চীনা সংস্থাগুলি জায়গা করে নিয়েছে। ওই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিটির মাধ্যমে চীন মেগা-পরিকাঠামো প্রকল্প, আবাসন প্রকল্প, হোটেল এবং পরিবহণ প্রকল্পে একচেটিয়া লগ্নির অধিকার পেয়েছে।

মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আব্দুল গাইয়ুমের সমর্থক ছিল ভারত। তাঁকে বন্দী করে ক্ষমতায় এসেছেন আবদুল্লাহ ইয়ামিন। তাঁর আমলে দু’দেশের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মালদ্বীপকে আরও কাছে টানছে বেইজিং, এটাই আপাতত শঙ্কা ভারতের।

বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর