২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৪:২০

ভারতকে টক্কর দেওয়াটা বাংলাদেশের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে: আনন্দবাজার পত্রিকা

অনলাইন ডেস্ক

ভারতকে টক্কর দেওয়াটা বাংলাদেশের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে: আনন্দবাজার পত্রিকা

এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে শেষ বলে হেরে আরও এক স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে টাইগারদের। তবে ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেভাবে লড়াই করেছেন মাশরাফিরা, তা দেখে মুগ্ধ বাংলাদেশকে খোঁচা মারা ভারতীয় ক্রিকেটাররাও এখন প্রশংসা করছেন। বাদ যায়নি ভারতীয় গণমাধ্যমও। দেশটির জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা বাংলাদেশের এই উত্থান এশিয়ার ক্রিকেটের জন্য ভালো খবর বলে উল্লেখ করেছেন।

প্রতিবেদনের শুরুটা করেছে এভাবে, এক সময় ১২০-০। সেখান থেকে ২২২ রানে অলআউট! এ যেমন বাংলাদেশের একটা দিক, তেমনই ২২২ রান তুলেও ভারতের ৭ উইকেট ফেলে দিয়ে শেষ বল পর্যন্ত জেতার লড়াইয়ে থাকা। এটা বাংলাদেশের আরেকটা দিক। শুক্রবার দুবাইয়ে এশিয়া কাপে যে বাংলাদেশকে দেখল ক্রিকেটবিশ্ব, তা এক নতুন বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মতো বিশ্বকাপজয়ী দল যখন ক্রমশ ব্যর্থতার অন্ধকারে ঢেকে গেছে, তখন বাংলাদেশের এই উত্থান এশিয়ার ক্রিকেটের পক্ষে অবশ্যই ভালো খবর।

খবরে আরও বলা হয়, শুক্রবারের এই এশিয়া কাপ ফাইনাল নিশ্চয়ই ক্রিকেটবিশ্বের কাছে এই বার্তা দিল যে, ভারত কোন পরিস্থিতিতেই হার না মানা দল। সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটাররা এটাও বুঝলেন যে, কোনও প্রতিপক্ষকেই কম গুরুত্ব দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কয়েক মাস আগে শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফির ফাইনালেও এই বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই শেষ ওভারে ভারতকে যেভাবে শেষ বলে উদ্ধার করেছিলেন দীনেশ কার্তিক, শুক্রবার সেভাবেই শেষ বলে ভারতকে জেতালেন কেদার যাদব। এই দুই ঘটনায় এটাই বোঝা যায়, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ কিন্তু ক্রমশ ভারতের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে দিয়েছে। সমানে সমানে টক্কর দেওয়াটা এখন তাঁদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। শুধু অভিজ্ঞতার অভাবে এই চাপ কাটিয়ে জিততে পারছে না তারা, এই যা। অভিজ্ঞতার অভাবেই হয়তো সেটা হচ্ছে। এই সমস্যাটা কাটিয়ে উঠতে তাঁদের খুব বেশি সময় লাগবে না বোধহয়। যেভাবে ভারতকে এ দিন শুরু থেকেই চাপে ফেলে দেন মাশরফি মর্তুজারা, তার পরে একথা স্বীকার করতেই হচ্ছে। ১৭ ওভারের মধ্যেই শিখর ধওয়ন, অম্বাতি রায়ডু ও রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে মর্তুজারা যে চাপটা তৈরি করেছিলেন, ৩০ ওভারের পরে দীনেশ কার্তিক ও মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে ফিরিয়ে তা আরও বাড়িয়ে তোলেন। যা শেষ বল পর্যন্ত রেখেছিলেন তাঁরা। 

ওপেনাররা ছাড়া বাংলাদেশের অন্য ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও ওদের বোলারদের নিখুঁত স্টাম্প টু স্টাম্প বোলিং আর অনবদ্য ফিল্ডিংই ওদের জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে চলে এসেছিল। কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাবই ওদের শেষ বলে জয় পেতে দেয়নি। 

বিডি-প্রতিদিন/২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮/মাহবুব

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর