দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশির স্নিগ্ধতা আর শাপলা-পদ্ম ফুলে ভরে উঠেছে বাফলা বিল। সূর্যের সোনালি আভা পানিতে প্রতিফলিত হয়ে সৌন্দর্য বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। মনোমুগ্ধকর এই বিলটির অবস্থান নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে রণচন্ডি ইউনিয়নের বাফলা গ্রামে।
প্রায় ১০৬ একরের এই বিলটিতে বর্ষা মৌসুমে ফোটে হরেক রঙের ফুল, যা শরতে ছড়িয়ে যায় বিলজুড়ে। বর্তমানে এই বিলের পানিতে ফুটেছে অসংখ্য সাদা শাপলা। এমন নান্দনিক এই বিলে পদ্ম আর শাপলা দেখে মন জুড়িয়ে নিতে প্রতিনিয়ত সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকে দর্শনার্থীদের ভিড়।
ঘুরতে আসা দর্শনার্থী দেলোয়ার হোসেন বলেন, দৃষ্টিনন্দন এই বিলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে উপকরণ বৃদ্ধি, আশপাশে ভালোমানের খাবারের হোটেল স্থাপনসহ বিলটিকে আরও উন্নত করা দরকার।
ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, এ বিলে বর্ষা মৌসুমে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন কয়েকশ মানুষ। ঐতিহ্যবাহী এ বাফলার বিলে শীত মৌসুমে অতিথি পাখিতে ভরে যায়। আবার গ্রীষ্ম মৌসুমে পানি শুকিয়ে গেলে স্থানীয়রা বোরো ধান আবাদ করেন।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান বলেন, ঐতিহ্যবাহী বাফলার বিল। এখানে সৌন্দর্য যেন অপরূপ মহিমা প্রকাশ করে। স্থানীয়রা এ বিলে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন অনেকে। শীতের সময় এখানে অতিথি পাখিদের কোলাহলে মুখরিত হয় চারপাশ। আর এখন শাপলা ফুলে বিলটির সৌন্দর্য আরও বেড়ে গেছে। বিলে স্থানীয়দের নৌকা আছে, কেউ ঘুরতে চাইলে মাঝিরা নৌকায় ঘোরায়। প্রত্যেকদিন কমবেশি অনেক মানুষ এখানে ঘুরতে আসে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী হক বলেন, বিলটি আরও সমৃদ্ধকরণসহ দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই