চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত জমিতে রোপা-আমন ধান চাষাবাদ হয়েছে। আমনের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকরা এখন জমিতে সার ও কীটনাশক দেওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
চাষিরা বলছেন, এখন জমিতে পানি দেওয়া জরুরি, তাই যেন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। পাশাপাশি সার ও কীটনাশকের দাম কমানোর দাবি তাদের। এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, এই বছর জেলায় ৫২৪ হাজার ৪১৫ হেক্টর জমিতে রোপা-আমনের চাষাবাদ হয়েছে। কিন্ত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৩ হাজার ৯৫০ হেক্টর। বর্তমানে আমনের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকরা জমিতে সার ও কীটনাশক দেওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষকদের দাবি, সার ও কীটনাশকের দাম কমানো হোক। কারণ অতিরিক্ত মূল্যে সার ও কীটনাশক কিনে উৎপাদিত ধান বিক্রি করে আশানুরূপ লাভ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার কথাও বলেছেন তারা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, প্রয়োজনের তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাওয়ায় নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগকে।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, এবার মাঠে আবাদ ভালো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে ফলনও ভালো পাওয়া যাবে। কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তাসহ ধান কাটার আগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই