শীত আসতে এখনো দুই মাস বাকি। এর মধ্যেই শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন জয়পুরহাটের কৃষকরা। অনেক কৃষকের খেতের চারা বড় হয়ে গেছে। তারা এসব পরিচর্যা করছেন। শীত নামার আগেই এসব সবজি বাজারে আসবে, বলছেন চাষিরা। কৃষি বিভাগের আশা শীতের আগাম সবজিতে লাভবান হবেন কৃষকরা। জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছর জেলার পাঁচ উপজেলায় শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১১৫ হেক্টর। এ বছর ১২০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন আগাম সবজি চাষ হচ্ছে। উৎপাদন হবে প্রায় ৩ হাজার ২২০ মেট্রিক টন।
সদর উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের কৃষক সুমন রহমান বলেন, আগেই শীতকালীন সবজি বাজারে তুলতে পারলে ভালো দাম পাওয়া যায়। এ সময় সবজির চাহিদা বেশি থাকে। তাই আগাম চাষাবাদ শুরু করেছি। ৩০ শতাংশ জমিতে ফুলকপির চারা লাগিয়েছি। দুই সপ্তাহের মধ্যে ফুল আসবে। আশা করি এক মাসের মধ্যেই বাজারে বিক্রি করতে পারব।
পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা রসুলপুর গ্রামের আনিছুর রহমান বলেন, সবজি চাষ করে সংসারে সচ্ছলতা এসেছে। আমরা এখন স্বাবলম্বী। শাক-সবজি বিক্রির জন্য বাজারে যেতে হয় না। খেত থেকেই পাইকাররা কিনে নেন। দামও ভালো পাওয়া যায়। এখানে প্রায় সব ধরনের সবজি চাষ হয়।
আক্কেলপুর উপজেলার মাতাপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম বলেন, ৩০ শতাংশ জমিতে লালশাকের বীজ বুনেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে তুলতে পারব। সদর উপজেলার আউশগাড়া গ্রামের মহসীন আলী বলেন, আমরা মৌসুমের আগে শীতের সবজি আবাদ করি। খরচ একটু বেশি পড়ে। বাজারে দাম ভালো পাওয়া যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম জানান, আগাম জাতের সবজি চাষ লাভজনক হওয়ায় জয়পুরহাটে প্রচুর চাষ হয়। কৃষকরা আগাম টম্যাটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, লাউ, বেগুন এবং লালশাক আবাদ শুরু করেছেন। সঠিক সময়ে ও সঠিক পদ্ধতিতে সুষম সার, জৈব সার এবং কীটনাশক ব্যবহারের জন্য তাদের নানা পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই