বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটছে। বাংলা ও বাঙালির জনপ্রিয় ফল তাল। ভাদ্র মাসের তাল না খেলে কালে ছাড়ে না বলে বাঙালি সমাজে প্রবাদও রয়েছে। তালগাছের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে পাঠানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তালগাছের চারা-আঁটি লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
দেশে সবুজায়ন বৃদ্ধি করতে গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বর্ষা ও সারা বছরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে আসছে পরিবেশবাদী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘ। বসুন্ধরা শুভসংঘ ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট শাখার আয়োজনে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও বজ্রপাত নিরোধে তালবীজ রোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দিন দিন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনাবৃষ্টি, বজ্রপাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশে প্রতিবছর শত শত লোক মারা যাচ্ছে। আর এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচতে বা দুর্যোগ মোকাবেলা করতে তালগাছের গুরুত্ব অপরিসীম।
উল্যেখ্য; বসুন্ধরা শুভসংঘ গত চার বছরে ক্ষেতলাল, কালাই, জয়পুরহাটে বিভিন্ন স্থানে প্রায় চল্লিশ হাজার তালের চারা-আঁটি লাগিয়েছে যা এখন দৃশ্যমান।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দিন দিন পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে এবং বজ্রপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে এলাকায় তাল গাছ আছে সে এলাকায় বৃষ্টিপাত তুলনামূলক বেশি হবে। এছাড়া তাল গাছ খরা মোকাবেলা ও বজ্রপাত নিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তালের চারা রোপণের মাধ্যমে এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। দেশের খরা প্রবণ এলাকায় অধিক পরিমাণে তালের চারা রোপণের ফলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয় এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ ক্ষেতলাল,জয়পুরহাট জেলার সভাপতি এম রাসেল আহমেদ, সাধারণ সদস্য আনোয়ার হোসেন, নাহিদ হোসেন, শামীম হোসেন, শাহিন ও রানা প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন