শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সম্মিলিত সামাজিক প্রতিরোধ চাই

ইকবাল মাহমুদ

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সম্মিলিত সামাজিক প্রতিরোধ চাই

ছবি : রোহেত রাজীব

দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার তিন বছর পার করলেন এই মার্চে। এই তিন বছরে তাঁর নেতৃত্বে দুদকের আইনি প্রক্রিয়ায় বেসিক ব্যাংকের দেড় হাজার কোটি টাকাসহ ব্যাংকিং খাতের চুরি হওয়া সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ছোট বড় পদমর্যাদার ৭ শতাধিক ব্যক্তিকে। এই সময়ে দুদকের নিজস্ব হাজতখানা, সশস্ত্র পুলিশ ইউনিট, গোয়েন্দা ইউনিট, অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন-১০৬, ইনফোর্সমেন্ট ইউনিটসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন রয়েছে। ২০১৮ সালেই দুদকের হটলাইনে ১৭ লাখ ১৮ হাজার কল গেছে। দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে দুদক ক্রমেই আস্থার প্রতীক হয়ে উঠছে।
বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮১ ব্যাচের কর্মকর্তা দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সততা, দৃঢ়তা এবং নিষ্ঠার খ্যাতি ছিল চাকরিজীবনজুড়ে। তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ দেশ-বিদেশে ২৪টি দফতরে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) বিকল্প নির্বাহী পরিচালক, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে  তাঁর এ সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিমুল মাহমুদ 

 

বা. প্র. দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তিন বছর অতিক্রান্ত হলো আপনার। এই তিন বছরে আপনার অর্জন সম্পর্কে জানতে চাই।

ইকবাল মাহমুদ : বিগত তিন বছরে প্রতিটি মুহূর্ত আমরা দুর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের কিছু সফলতাও আছে। জনগণের মাঝে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে দুর্নীতিবিরোধী সচেতনতা বেড়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতি সংক্রান্ত অপরাধসমূহ অনুসন্ধান, তদন্ত এবং প্রসিকিউশনের মাধ্যমে অপরাধীদের যেমন বিচারের মুখোমুখি করছে, পাশাপাশি সুশীল সমাজ ও তরুণ প্রজন্মের মাধ্যমে নৈতিকতার উন্নয়ন তথা উত্তম চর্চার বিকাশে পরিকল্পিতভাবে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

এ ছাড়া কমিশন দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের লক্ষ্যে সমাজে সততা ও নিষ্ঠাবোধ জাগ্রত করা তথা উত্তম চর্চার বিকাশে পাঁচ বছর মেয়াদি (২০১৭-২০২১) কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে। ২০১৭ সাল থেকেই পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে কমিশন। কমিশন বিগত দুই বছরেই কর্মপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত ৮টি কর্মকৌশল বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই ৮টি কৌশলের মধ্যে রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা তৈরি, কার্যকর অনুসন্ধান ও তদন্ত, কার্যকর দুর্নীতি প্রতিরোধ কৌশল, কার্যকর শিক্ষা কৌশল, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ ইত্যাদি। এই কর্মকৌশলের অংশ হিসেবে এ বছরই কমিশনের নিজস্ব হাজতখানা, সশস্ত্র পুলিশ ইউনিট, গোয়েন্দা ইউনিট, দুদক অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন-১০৬, ইনফোর্সমেন্ট ইউনিট, রেকর্ড রুম, সম্পদ পুনরুদ্ধার ইউনিট গঠনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশে-বিদেশে কমিশনের প্রায় দেড় হাজারের বেশি কর্মকর্তাকে সাইবার ক্রাইম, ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশন, কেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কেস অ্যানালাইসিস, মানি লন্ডারিং, গোয়েন্দা কার্যক্রম, আইসিটি, ফরেন এইড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমসহ, দুর্নীতি প্রতিরোধের কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

দুর্নীতির উৎসমূলে আঘাত করার অন্যতম উপায় হচ্ছে ঘুষ গ্রহণকারী ব্যক্তিদের ঘুষের অর্থসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা। সাধারণত ফাঁদ মামলা পরিচালনার মাধ্যমেই এ জাতীয় অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই ২০১৭ সালের শুরুতেই কমিশন ঘোষণা করেছিল, ২০১৭ সাল হবে ঘুষ গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের আতঙ্কের বছর। কমিশন এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে। ২০১৭ সালে রেকর্ডসংখ্যক ২৪টি  ফাঁদ মামলা পরিচালনা করে ঘুষখোর কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কমিশনের কর্মকৌশল নিয়ে বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে আমরা যেসব মতবিনিময় সভা করেছি, সেখানে অনেক বক্তাই বলেছেন, বেপরোয়া ঘুষের প্রবণতা কিছুটা কমে এসেছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতিপ্রবণ দফতরসমূহের প্রতি নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। প্রায় প্রতিদিনই কমিশনের ইনফোর্সমেন্ট ইউনিটের সদস্যরা কমিশনের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন-১০৬ এর মাধ্যমে প্রাপ্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো না কোনো সরকারি দফতরে যাচ্ছে এবং সত্যতা যাচাই করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া তাৎক্ষণিক দুর্নীতি প্রতিরোধে সফল হয়েছে। কেবল ২০১৮ সালেই ১৪৪টি এ জাতীয় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

মামলা করে অপরাধীদের শাস্তি কার্যকর করা দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কমিশনের অন্যতম কৌশল যা কমিশনের আইনি ম্যান্ডেটও। কমিশনের প্রসিকিউশন সংক্রান্ত কার্যক্রমেও দৃশ্যমান গতিশীলতা অর্জিত হয়েছে। ২০১৮ সালে কমিশনের মামলায় বিচারিক আদালতে সাজার হার হয়েছে প্রায় শতকরা ৬৩ ভাগ। যদিও ২০১৭ সালে এই হার ছিল প্রায় ৬৮ শতাংশ। তবে বিজ্ঞ আদালতে বিচারকাজ শেষের সঙ্গে সাজার হারের বিষয়টি নির্ভর করে।

শতভাগ মামলায় সাজা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রসিকিউটিং এজেন্সি হিসেবে দুুদক কাজ করে যাচ্ছে। কমিশন ইতিমধ্যেই প্রতিটি মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং ধার্য তারিখে আইনজীবী ও সাক্ষীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। 

দুর্নীতির ঘটনা তাৎক্ষণিক প্রতিরোধের লক্ষ্যে কমিশন ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই দুদক অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন-১০৬ এর কার্যক্রম শুরু করে, যা এখন দেশের সাধারণ মানুষের অভিযোগ জানানো ও প্রতিকারের প্লাটফর্মে পরিণত হয়েছে। কেবল ২০১৮ সালেই ১৭ লাখেরও বেশি ফোনকল এসেছে। এ থেকেও বহুসংখ্যক অভিযোগ কমিশন গ্রহণ করেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রায় দেড়শ প্রতিরোধমূলক অভিযান চালানো হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুর্নীতি প্রতিরোধ করাও সম্ভব হয়েছে। তবে সমস্যা হচ্ছে যে, অধিকাংশ অভিযোগ কমিশন আইনের আওতাভুক্ত নয়।             

আগে কমিশনের কোনো নিজস্ব হাজতখানা ছিল না। তাই কমিশনের মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের সাময়িকভাবে নিরাপদে রাখার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হাজতখানা নির্মাণ করা হয়েছে। কমিশনের নীতিমালার আলোকে হাজতখানা পরিচালিত হচ্ছে।

দুর্নীতি, দীর্ঘসূত্রতা ও হয়রানিমুক্তভাবে জনগণের জন্য সরকারি পরিসেবা প্রাপ্তির পথ সুগম করতে কমিশন পদ্ধতিগত সংস্কার বা বিজনেস প্রসেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর অধিকতর দিয়েছে। কমিশন বিশ^াস করে, সরকারি সেবা প্রদানের পদ্ধতিগত সংস্কার ছাড়া হয়রানি, অনিয়ম, দুর্নীতি এবং দীর্ঘসূত্রতামুক্ত করা প্রায় অসম্ভব। এই লক্ষ্যে কমিশনের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ২৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানভিত্তিক প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠিত হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক টিম সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির উৎস ও কারণগুলো চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে সুস্পষ্ট সুপারিশ প্রণয়ন করে। এই প্রাতিষ্ঠানিক টিমের সদস্যরা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা, বিভিন্ন নথি পর্যালোচনা, সরেজমিন বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন, গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি এবং কমিশনের গোয়েন্দা উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি পর্যালোচনা করে এসব সুপারিশমালা প্রণয়ন করে। ইতিমধ্যে কমিশন আটটি প্রাতিষ্ঠানিক টিমের প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।

কমিশন দেশে উত্তম চর্চার বিকাশে বহুমাত্রিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। কমিশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, নগর ও মহানগর পর্যায়ে গঠিত দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি এবং দেশের প্রায় ২৭ হাজার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে গঠিত সততা সংঘের সদস্যদের মাধ্যমে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রায় দুই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গঠন করা হয়েছে বিক্রেতাবিহীন সততা স্টোর। তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা এবং সেবাপ্রত্যাশী জনগণের উপস্থিতিতে নিয়মিত গণশুনানি পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব কার্যক্রম উত্তম চর্চার বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বলে কমিশন মনে করে।

কমিশন পৃথিবীর যেসব প্রতিষ্ঠান স্ব-স্ব দেশে উত্তম চর্চা বিকাশে ভূমিকা রাখছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার প্রয়াসে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে  বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন ২০১৭ সালের জুনে ভুটানের দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরোধে পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এটি দুদকের সঙ্গে প্রথম কোনো বৈদেশিক রাষ্ট্রের সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর। পরে কমিশন ভারত এবং রাশিয়ার দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার সঙ্গেও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করে, বাংলাদেশ বৈশি^ক উন্নয়নে সক্রিয় অংশীদার হিসেবে সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে যে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছে, সে ধারাকে অব্যাহত রেখে জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনেও সক্ষম হবে। তবে সবাইকে মনে রাখতে হবে-এসব সাফল্য অর্জন করতে হলে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতেই হবে। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। দুর্নীতি দমন কমিশন চায়, দেশের সব স্তর থেকে সম্মিলিতভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠুক। দুর্নীতি নির্মূলে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি পদ্ধতিগত সংস্কার, প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার, সব আর্থিক লেনদেন ডিজিটালাইজড প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা, উত্তম চর্চার ব্যাপক প্রসারসহ দুর্নীতির বিরুদ্ধে তীব্র সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি করার কোনো বিকল্প নেই।

 

বা. প্র. অর্থ পাচারকারীদের বিষয়ে তথ্য চেয়ে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে চাই। 

ইকবাল মাহমুদ : বিভিন্ন গবেষণায় প্রতীয়মান হয় যে, বৈশ্বিক আর্থিক লেনদেনের যেসব বিধিবিধান রয়েছে তাতে হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণের অর্থ পাচার করা যায় না। তাই বলা যায়, দেশের সিংহভাগ অর্থ পাচার হয়ে থাকে ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে। এ কারণেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে ওভার ইনভয়েসিংয়ের এক মাসের তালিকা কমিশন থেকে চাওয়া হয়েছে। মূলত এই তালিকা পেলে কমিশন দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে। তবে কমিশন আজ পর্যন্ত এই তালিকা পায়নি। এই তালিকা পেলে প্রয়োজনে তালিকা ধরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বা. প্র. দুদকের ফাঁদ অভিযানের বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে জানাবেন।

ইকবাল মাহমুদ : দুর্নীতির উৎসমূল নির্মূল করার লক্ষ্যেই কমিশন ফাঁদ মামলা পরিচালনা করে। সাধারণত সরকারি সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী সেবার বিনিময়ে ঘুষ বা উপঢৌকন দাবি করলে কমিশন থেকে অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফাঁদ মামলা পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়, এ আলোকে ঘুষ দাবিকারী কর্মকর্তাদের হাতেনাতে ধরতে কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। গত তিন বছরে ৫২টি ফাঁদ মামলা পরিচালনা করে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের গ্রেফতার

করা হয়েছে।

 

বা. প্র. সেবা খাতের দুর্নীতি প্রতিরোধে বর্তমানে দুদক কী করছে?

ইকবাল মাহমুদ :  সেবা খাতের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কমিশন বহুমাত্রিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এক্ষেত্রে নিয়মিত মামলা-মোকদ্দমা, গ্রেফতার, ফাঁদ মামলা, প্রতিরোধমূলক অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। বিগত দুই বছরে সেবা খাতের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে প্রায় দুই শতাধিক প্রতিরোধমূলক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এর পাশাপাশি কমিশন ২০১৭ সালে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে যথাক্রমে : তিতাস গ্যাস, বাংলাদেশ রেলওয়ে, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ বিমান, কাস্টমস, ভ্যাট অ্যান্ড এক্সাইজ, আয়কর বিভাগ, ওয়াসা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, সাব রেজিস্ট্রার অফিসসহ রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন, গণপূর্ত অধিদফতর, মহাহিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, সমুদ্্র এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষসমূহ, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকা এর ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) ও রাজস্ব (এসএ) শাখা, পরিবেশ অধিদফতর, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর, স্বাস্থ্য অধিদফতর, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা অধিদফতর। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিধি নিয়ে গঠিত সব টিমের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যালোচনা করা হয়। সাধারণত মহাপরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা প্রাতিষ্ঠানিক টিমসমূহের কার্যক্রম মনিটরিং করে থাকেন। প্রতিটি টিমকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইন, বিধি, পরিচালনা পদ্ধতি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ/অপচয়ের দিকগুলো পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে এসব প্রতিষ্ঠানের জনসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সফলতা ও সীমাবদ্ধতা, আইনি জটিলতা, সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি ও দুর্নীতির কারণগুলো চিহ্নিত করে তা বন্ধে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনে প্রস্তাব পেশ করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৮টি প্রতিষ্ঠানের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

বা. প্র. সিবিএ নেতাদের অনিয়ম-দুর্নীতি বাড়ছে। তাদের সম্পদের হিসাব চাওয়া হবে কিনা।

ইকবাল মাহমুদ : কোনো নির্দিষ্ট গ্রুপকে টার্গেট করে কিছু করা হবে না এ কথা আমি আগেই বলেছি। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য থেকে সুনির্দিষ্ট এবং তথ্যবহুল অভিযোগ পাওয়া গেলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

 

বা. প্র. স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব কর্মকর্তা আলোচিত আবজালের সম্পদ জব্দ হয়েছে। এমন অনেক আবজাল আছে সরকারি দফতরগুলোতে। তাদের কী হবে?

ইকবাল মাহমুদ : কোনো ব্যক্তির নাম উচ্চারণ করতে চাই না। যে বা যারা দুর্নীতি করেন তাদের মনে রাখতে হবে দুর্নীতি সংক্রান্ত অপরাধ কখনো তামাদি হয় না। আজ বা কাল যেদিনই দুর্নীতির তথ্য উদঘাটিত হবে তখনই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুর্নীতি করে পার পাওয়ার পথ নেই বলেই আমি মনে করি।

 

বা. প্র. অনেক প্রতিষ্ঠিত দুর্নীতিবাজ দুদকের অনুসন্ধানে ছাড়া পেয়েছেন। এতে দুদকের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। মানুষের আস্থা ফেরাতে বর্তমান কমিশন কোনো ভূমিকা রাখবে কিনা?

ইকবাল মাহমুদ : কমিশনের অনুসন্ধান বা তদন্তের ক্ষেত্রে কাউকে অভিযুক্ত করার ভিত্তি হচ্ছে দালিলিক তথ্য-প্রমাণাদি, সাক্ষী-সাবুদ এবং দুদক আইনসহ প্রাসঙ্গিক আইনসমূহ। কাউকে জোর করে যেমন আসামি করা হবে না, আবার যার বিরুদ্ধে দালিলিক প্রমাণাদি পাওয়া যাবে তাকে ছাড়াও হবে না, এটাই আইনি বাস্তবতা।

কমিশনের মামলায় যদি আসামিদের শাস্তি নিশ্চিত করা যায় অথবা দুর্নীতি ঘটার আগেই তা প্রতিরোধ করা যায় তবেই তো জনআস্থা বাড়বে। বিগত তিন বছরে এই কাজগুলোই করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিগত পাঁচ বছরের দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বিচারিক আদালতের রায়গুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় ২০১৪ সালে সাজার হার ছিল ৪৬%, ২০১৫ সালে সাজার হার ছিল ৩৭%, ২০১৬ সালে সাজার হার ৫৪%, ২০১৭ সালে সাজার হার ৬৮% এবং ২০১৮ সালে সাজার হার ৬৩%। অর্থাৎ কমিশনের মামলার সাজার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনেক সচেতন হয়েছে। তা না হলে ২০১৮ সালে কমিশনের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন-১০৬-এ প্রায় ১৭ লাখ ১৮ হাজার ফোনকল আসে কীভাবে? দুর্নীতি সংঘটিত হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধে কমিশনের ইনফোর্সমেন্ট ইউনিটের মাধ্যমে নিয়মিত অভিযান চালানো

হচ্ছে। সেবা খাতের দুর্নীতি বন্ধ এবং স্থানীয়ভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং জনগণকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সংবেদনশীল করে তোলার জন্য কমিশন দেশব্যাপী গণশুনানি কার্যক্রম চালাচ্ছে। গণশুনানি টিআইবি, বিশ্ব ব্যাংক, জাইকা এবং কমিশনের নিজস্ব অর্থায়নে সম্পন্ন হচ্ছে। প্রতিটি গণশুনানিতে যেসব অভিযোগ পাওয়া যায় তা নিষ্পত্তি করা হয়। এসব কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।

 

বা. প্র. অভিযোগ রয়েছে, দুদক দীর্ঘ সময় নিয়ে অনুসন্ধান করে, মামলা করে। তদন্ত শেষে চার্জশিটও দেয়। কিন্তু পরে মামলাটি চূড়ান্ত বিচার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আন্তরিকতা দেখা যায় না। এ বিষয়টি আপনার পর্যবেক্ষণ ও বক্তব্য জানতে চাই।

ইকবাল মাহমুদ : এ প্রশ্নটি হয়তো পরিপূর্ণভাবে সঠিক নয়। বর্তমানে কমিশনের প্রসিকিউশন সংক্রান্ত কার্যক্রমের দৃশ্যমান গতিশীলতা অর্জিত হয়েছে বলে আমরা মনে করি। কারণ, কমিশনের মামলায় সাজার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে কমিশন এতে পরিপূর্ণ সন্তুষ্ট নয়। কারণ কমিশনের শতভাগ মামলায় আসামিদের সাজা হবে এটাই কিন্তু জনগণ প্রত্যাশা করে। এ লক্ষ্যেই প্রসিকিউটিং এজেন্সি হিসেবে দুুদক কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক এর আইন অনুবিভাগের কর্মকর্তারা প্রতিটি মামলায় সম্পৃক্ত আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং ধার্য তারিখে আইনজীবী ও সাক্ষীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করছেন। কমিশন প্রতিটি মামলাকে সমগুরুত্বের সঙ্গে মনিটরিং করে। কমিশন যোগ্য ও মেধাবী আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটরগণের নিয়োগের জন্য আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটরগণের সম্মানী/ভাতার হার পুনর্নির্ধারণ করেছে। এ পদক্ষেপ আইনজীবীদের মামলা পরিচালনার আগ্রহ বাড়িয়েছে। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির স্বার্থে আইন অনুবিভাগের মাধ্যমে প্রতি মাসে বিজ্ঞ পিপি ও আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে সভাসহ সারা দেশে বিচারাধীন মামলাগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে।

 

বা. প্র. দুদকের অভিযানে ছোট চাকুরে, কেরানি, স্কুলশিক্ষক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী গ্রেফতার হয়েছেন। অথচ ক্যাডার সার্ভিসের বহু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা থাকলেও তাদের কেউ গ্রেফতার হননি। বলা হয়ে থাকে, চুনোপুঁটিরা গ্রেফতার হচ্ছেন, রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিষয়টি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন।

ইকবাল মাহমুদ : দুর্নীতি দমন কমিশন গত তিন বছরে প্রায় ৭০০ ব্যক্তিকে আইন আমলে আনার জন্য গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের তালিকায় সচিব, যুগ্মসচিব, মহাপরিচালক, প্রধান প্রকৌশলী, উপসচিব বা সমমানের পদমর্যাদার অনেক কর্মকর্তা রয়েছেন। এককভাবে ব্যাংকিং সেক্টরে কমপক্ষে ১২০ জন ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান, এমডি, জিএমসহ উচ্চপদের কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আবার বিত্তবান ব্যবসায়ীদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অনেক ক্যাডার কর্মকর্তাও রয়েছেন। তাই শুধু চুনোপুঁটি গ্রেফতার করা হয়েছে সংক্রান্ত তথ্য সঠিক নয়, অনেক কথিত রাঘব বোয়ালও গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এ জাতীয় ভুলবার্তা দেওয়া মনে হয় সঠিক নয়। কারণ, রাঘববোয়াল হোক অথবা চুনোপুঁটি হোক কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আজ হোক কাল হোক অপরাধীদের আইনের আওতায় আসতেই হবে।

 

বা. প্র. বেসিক ব্যাংক দুর্নীতির ৫৬টি মামলার তদন্ত এখন কোন পর্যায়ে। এসব মামলায় শেষ পর্যন্ত কী দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দেওয়া সম্ভব হবে? লোপাট হয়ে যাওয়া টাকা উদ্ধার করা যাবে?

ইকবাল মাহমুদ : বেসিক ব্যাংকের ৫৬টি মামলার তদন্ত চলছে। তবে বলতে পারেন যে তদন্ত শেষ হয় না কেন? এর মূল কারণ হচ্ছে টাকার শেষ ঠিকানা কোথায় তা নির্ণয় করতে সময় লাগছে। তারপরও কমিশন মামলাগুলোর তদন্ত শেষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তবে ব্যাংকের টাকাটা কিন্তু জনগণের। জনগণের টাকা ব্যাংকে ফিরে আসুক এটা জনগণ চায়। তাই আমি বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাধ্যমে জানাতে চাই, দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পর বেসিক ব্যাংকের আত্মসাৎ হওয়া প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকা ব্যাংকে নগদ জমা হয়েছে। এছাড়াও এটাও সবার জানা উচিত, বর্তমান কমিশনের বিগত তিন বছরের আইনি কার্যক্রমের ফলে দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে চুরি হওয়া প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আমরা অপরাধীদের পেছনে নিরবচ্ছিন্নভাবে আইনি অভিযান অব্যাহত রাখব। কাউকেই ছাড় দেব না। অপরাধীদের অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।

 

বা. প্র. ভূমিমন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন। এই উদ্যোগকে কীভাবে দেখছেন।

ইকবাল মাহমুদ : স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সৃষ্টির যে কোনো উদ্যোগকেই কমিশন স্বাগত জানায়। তবে এ বিষয়ে এর চেয়ে বেশি বলার সময় হয়তো এখনই আসেনি, তবে নিঃসন্দেহে বলা যায় এটি একটি শুভ উদ্যোগ।

 

বা. প্র. দুদক আর্মস ইউনিট পেয়েছে। এতে আপনাদের কতটুকু সুবিধা হলো।

ইকবাল মাহমুদ : কমিশনের প্রতিরোধমূলক অভিযানে আর্মস ইউনিটের সদস্যরা সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া আসামি গ্রেফতার, ফাঁদ মামলা পরিচালনায় তারা অংশ নিচ্ছে। এই ইউনিটের মাধ্যমে অভিযানে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং গ্রেফতারকৃত আসামিদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করা হয়েছে।

 

বা. প্র. ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় জাহালমের সাজা নিয়ে দুদক প্রশ্নের মুখে পড়েছে। দুদকের কি কোনো ভুল ছিল। 

ইকবাল মাহমুদ : এ বিষয়টি যেহেতু উচ্চ আদালতে বিচারাধীন তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন হবে না, তবে সালেকের জায়গায় কীভাবে জাহালম আসামি হলেন, এ বিষয়ে কমিশন অভ্যন্তরীণভাবে জেলা জজ পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করছে। এই রিপোর্ট পেলেই সবকিছু জানা যাবে। 

 

বা. প্র. আপনি কি আমাদের পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চান।

ইকবাল মাহমুদ : আসুন, সম্মিলিতভাবে মানব সভ্যতার প্রাচীনতম অপরাধ দুর্নীতির বিরুদ্ধে তীব্র সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি।

সর্বশেষ খবর