মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধু নিজেই এক ইতিহাস

সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত

বঙ্গবন্ধু নিজেই এক ইতিহাস

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকার গণভবনে বিকাল চারটা থেকে খবরের সন্ধানে বসে থাকতাম। হঠাৎ একদিন একা পেয়ে তাকে প্রশ্ন করেছিলাম, বঙ্গবন্ধু আপনার সম্পর্কে কী শুনছি? আমার প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগে তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তিনি আমার পেটে ঘুষি মেরে বলেছিলেন, আপনি বরিশালের পোলা। আর আমি জাতির পিতা। আমাকে মারবে কেডা, আপনি নিশ্চিত থাকেন, বাংলাদেশে কেউ আমারে মারবে না...

 

৪২ বছর আগে ৫ আগস্ট ছিল একটি অভিশপ্ত দিন। এদিন মধ্যরাতে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার আত্মীয়স্বজনকে হত্যা করে বাংলাদেশের তৎকালীন সামরিক বাহিনীর মেজর জিয়াউর রহমান এবং তার সাঙ্গোপাঙ্গরা ক্ষমতা দখল করে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য সামরিক বাহিনীর পোশাকের ওপর একটা আলখাল্লা চাপিয়ে তামাম বিশ্বকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, তিনি একজন গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ। এটা বিশ্বে এক নতুন নজির সৃষ্টি হলো বর্বরতা ও নৃশংসতার। জিয়া যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল তার যথেষ্ট প্রমাণ শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বের সামনে এসে গিয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র কোথায় কীভাবে হয়েছিল, এবার সেদিকে তাকানো যাক।

ষড়যন্ত্রের হেডকোয়ার্টার ছিল ওয়াশিংটন, রাওয়ালপিন্ডি এবং কলকাতার হো চি মিন সরণি। ২০১৭-এর বাংলাদেশ প্রতিদিন মুক্তিযুদ্ধের আরেক নেতা ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি’ নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, ২৪ মার্চ সামরিক বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে অত্যাচার শুরু করে। ইতিমধ্যে আমরা খবর পেয়ে গেছি যে, প্রতিদিন বিমানে পাকিস্তান থেকে সেনা আনা হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে আমরা খবর পেলাম পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ‘সোয়াত’ জাহাজে অস্ত্র এসেছে। বঙ্গবন্ধু হাজী গোলাম মোর্শেদের মাধ্যমে চট্টগ্রামে মেজর জিয়ার কাছে একটি নির্দেশ পাঠান। খবরটি ছিল, সোয়াত জাহাজ থেকে যেন অস্ত্র নামতে দেওয়া না হয়। এ ব্যাপারে মেজর জিয়া কোনো সক্রিয় ভূমিকা পালন না করায় পরবর্তীতে তার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। ২৩ মার্চ সকালে ঢাকা থেকে সব জেলা সদরে আওয়ামী লীগ সংগ্রাম কমিটির কাছে একটি নির্দেশ প্রেরণ করা হয়। নির্দেশে বলা হয়, যে কোনো সময় পাকবাহিনী আমাদের ওপর হামলা চালাতে পারে। ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম সাহেব আমার খুব পরিচিত বন্ধু। ’৭১ সাল থেকে তাকে আমি চিনি। তার কাছে আশা করেছিলাম, কেন জিয়া বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে খবর পৌঁছে দেননি। তার কাছে কি খবর ছিল? সে ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত বলবেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জিয়া সাহেব বেশ কয়েক মাস ত্রিপুরায় ছিলেন। ত্রিপুরায় তিনি পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরিবর্তে ব্যস্ত ছিলেন বারবার ঢাকায় দুজন চিকিৎসক ও আরও দুজনকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পাঠিয়ে তার স্ত্রীকে ত্রিপুরা নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু প্রত্যেকবারই তার স্ত্রী, বর্তমান বিএনপি নেত্রী, খালেদা জিয়া প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, সে খবরও বাংলাদেশে লুকানো ছিল না। এখনো নেই।  ৪২ বছর আগে ওই অভিশপ্ত রাতের ঘটনা স্তব্ধ করার জন্য জিয়া এবং খন্দকার জুটি মার্শাল ল জারি করে রাস্তায় ট্যাঙ্ক নামিয়ে যে গণতান্ত্রিক অধিকার বাংলাদেশের মানুষকে বঙ্গবন্ধু এনে দিয়েছিলেন, তা আইয়ুব, ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর ধাঁচে নিরীহ মানুষদের রাস্তায় রাস্তায় খুন করেছে। ভোর হওয়ার আগে সেই খবর প্রচার হতেই ঢাকার রাস্তায় ট্যাঙ্ক নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এসব তো ইতিহাস।

গভীর রাতেই ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এতই শোকার্ত হয়েছিলেন যে তিনি রাতে ঘুমানোর পোশাক পরেই তার ২ নম্বর মকদরজং রোডের লনে দাঁড়িয়ে ভাইয়ের শোকে মুহ্যমান ছিলেন। তার ছোট ছেলে সঞ্জয় গান্ধী ও তার স্ত্রী মেনকা গান্ধী (বর্তমান বিজেপি সরকারের মন্ত্রী) তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন। তিনি সঞ্জয়কে বলেছিলেন, এখনই আর কে ধাওয়ানকে বল মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকতে। কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রবীণ মন্ত্রীরা ইন্দিরা গান্ধীর বাড়িতে হাজির হয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। সেই বৈঠকে তিনি বাংলাদেশ যুদ্ধে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল শ্যাম মানেকশকেও ডেকে নেন। দীর্ঘ আলোচনার পর তিনি যখন জানতে পারেন তার দুই কন্যা এবং জামাতারা (বড় কন্যা বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী) বিদেশে, তাদের দিল্লিতে আনার জন্য তৎকালীন উপমন্ত্রী প্রণব মুখার্জিকে পাঠিয়েছিলেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ধ্বংস করার জন্য এবং পাকিস্তানের সঙ্গে একটা সমঝোতা করার জন্য ওয়াশিংটনের সঙ্গে জিয়ার আলোচনা আগেই হয়েছিল। তারাই এই হত্যালীলার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করেছিলেন। জিয়া বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার আগে তাজউদ্দীন আহমদকে অনুরোধ করেছিলেন, বঙ্গবন্ধুকে সরিয়ে তাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য। তাজউদ্দীন তা প্রত্যাখ্যান করে বঙ্গবন্ধুকে জানিয়েও দিয়েছিলেন।

১৫ আগস্টের ৮-৯ মাস আগে এই ষড়যন্ত্র আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাজউদ্দীন সাহেব অনুরোধ করেছিলেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিতে। তা দিয়েও ছিলাম। তার পরের ঘটনার দিকে তাকানো যাক। তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, আবু হেনা, কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে খন্দকার মন্ত্রিসভায় যোগদানের জন্য জিয়া তাদের বাড়িতে বাড়িতে সামরিক বাহিনীর প্রথম সারির অফিসারদের পাঠিয়েছিলেন। চারজনই হত্যাকারীর সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকার করায় তাদের চার মাস গৃহবন্দী করে রাখা হয়। তারপর তাদের নিয়ে আসা হয় ঢাকা সেন্টাল জেলে। সেখানে তাদের সঙ্গে জিয়া বারবার দূত পাঠিয়ে নানা প্রস্তাব দেন। তারা জেলে মরণ আসন্ন জেনেও সব প্রত্যাখ্যান করেন। ওই বছরই ২-৩ নভেম্বর রাতে চার জাতীয় নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই চার নেতার জন্যই মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি খুব ভালোভাবে হয়েছিল। তার সাক্ষী আমি নিজেও। কারণ মুক্তিযুদ্ধের সময় শিবিরে শিবিরে, কলকাতায় তাদের সঙ্গে আমার প্রতিনিয়ত দেখা হতো খবরের প্রয়োজনে।

এই চার জাতীয় নেতাকে হত্যার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হয়েছিল কলকাতার হো চি মিন সরণির মার্কিন দূতাবাসে। আর তার নেতৃত্বে ছিলেন জন বি নরটন। তিনি পাকিস্তান আমলে করাচিতেও সিআইয়ের হয়ে কাজ করেছেন। কলকাতায় এসেও নরটন নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকেন। জিয়া-খন্দকারের আস্থাভাজনরা কলকাতায় এসে কখনো কলকাতা ক্লাবে, কখনো পাঁচ-তারা হোটেলে সলাপরামর্শ করতেন। এই চারজনকে হত্যার নেপথ্যের কারণ এই চারজনই মুক্তিযুদ্ধের প্রধান কাণ্ডারি। এদের কেউ যদি বেঁচে থাকেন, তাহলে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ শুরু করতে পারেন। বর্বর সন্ত্রাসবাদীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে থেকেই জিয়ার বিরুদ্ধে উত্তরাখণ্ড থেকে যুদ্ধ করেছেন কাদের সিদ্দিকী। কাদের ভাইয়ের সঙ্গেও আমার ’৭১ সাল থেকেই সম্পর্ক। তার মুখে নানা কথাই শুনেছি। ১৬ আগস্ট ভারতে ছিল জরুরি অবস্থা। সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় ছিলেন তার অন্যতম নায়ক। তিনি ঢাকায় কী ঘটছে তা প্রকাশ করতে বাধা দিতেন। তার সেন্সর বিভাগের করণিকরা সাংবাদিকদের লেখাপড়ার পর পাতা কেটে দিয়েছেন। আমরা ’৭১ সালের মতো ’৭৫ সালেও সীমান্তে গিয়ে যারা জিয়ার ভয়ে পালিয়ে আসছেন, তাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। সব খবর তখন প্রকাশ করতে পারিনি। নরটনের ব্যাপারটা তখনই শুনেছিলাম। নরটন তখন পত্রিকার অফিসে ঘুরে ঘুরে চাপ সৃষ্টি করতেন। কিন্তু সেই চাপের কাছে আনন্দবাজারের সম্পাদক অশোক সরকার নতিস্বীকার করেননি। কিন্তু নতিস্বীকার করতে হয়েছিল সেন্সরের কাছে।

ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো (স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরেও) আওয়ামী লীগ বা মুজিব পরিবারের কোনো নেতানেত্রীকে সহ্য করতে পারছেন না। ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ যেমন শোকার্ত হয়েছিল কিন্তু জিয়ার ট্যাঙ্ক বাহিনীর দাপটে কিছু করতে পারেনি। ভারত ছিল স্তব্ধ। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। এটাও নতুন কথা নয়। সে কথাও সবাই জানতেন। ঢাকার গণভবনে বিকাল চারটা থেকে খবরের সন্ধানে বসে থাকতাম। হঠাৎ একদিন একা পেয়ে তাকে প্রশ্ন করেছিলাম, বঙ্গবন্ধু আপনার সম্পর্কে কী শুনেছি? আমার প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগে তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তিনি আমার পেটে ঘুষি মেরে বলেছিলেন, আপনি বরিশালের পোলা। আর আমি জাতির পিতা। আমাকে মারবে কেডা, আপনি নিশ্চিত থাকেন, বাংলাদেশে কেউ আমারে মারবে না। তিনি এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে কোনো বাঙালি তাকে মারতে পারে, তা তিনি বিশ্বাসই করতেন না। জেলে যেভাবে চার স্বাধীনতা সংগ্রামীকে মারা হয়েছে তা জানতে পারলে স্বয়ং হিটলারও লজ্জিত হতেন। এই চারজনের হত্যার পর পর মেজর ডালিম রেডিওতে বলেছিলেন, আর ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নয়। এবার থেকে স্লোগান হবে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’।

এবার ফিরে তাকানো যাক ২০০১ সালের নির্বাচনে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পরাস্ত করার জন্য ওয়াশিংটন ইসলামাবাদ গভীর ষড়যন্ত্র করেছিল। তা তারা কার্যকর করে অটল বিহারি বাজপেয়ির আমলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রজেশ মিশ্রকে দিয়ে। ব্রজেশ মিশ্রর সঙ্গে আমেরিকানদের সখ্য ছিল। বিদেশ মন্ত্রণালয়ের অফিসার হিসেবে তিনি আমেরিকার একাধিক শহরে কাজ করেন। এমনকি তিনি জাতিসংঘেও ভারতের পক্ষ থেকে কাজ করেছেন। খালেদা জিয়া যখন ২০০১ সালে ব্রজেশ মিশ্রর বদান্যতায় ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখন তিনি ঢাকায় উড়ে গিয়ে বেগম খালেদাকে অভিনন্দন জানিয়ে এসেছিলেন। সেদিন ব্রজেশ কেন ঢাকায় গিয়েছিলেন, প্রসঙ্গটি কথা প্রসঙ্গে তুলেছিলাম তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদভানির কাছে। তিনি আমাকে হাতজোড় করে বলেছিলেন— স্যার কুচ নেহি বাতাউঙ্গা। এই বলে তিনি উঠে গিয়েছিলেন। ব্রজেশের ভূমিকা চাউড় হয়ে যেতেই অটল বিহারি তাকে নাকি ভর্ত্সনা করেছিলেন। কারণ খালেদা ক্ষমতায় এসেই উত্তর-পূর্ব ভারতে সন্ত্রাসবাদী পাঠিয়ে অশান্ত করে তুলেছিলেন।

পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রচুর অস্ত্র এনে উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যকে অশান্ত করে তুলেছিলেন খালেদা। এ ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য ভারতীয় রাজধানী নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকের অফিসে। পাওয়া যায় ঢাকার সেগুনবাগিচার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসেও। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সে কথা আজও মনে রেখেছে। সম্প্রতি শেখ হাসিনা আকার-ইঙ্গিতে সে কথা বুঝিয়েও দিয়েছিলেন।

৪২ বছর আগের ঘটনা এখনো আমাদের নাড়া দিয়ে যায়। যারা স্বাধীনতার জন্য ৯ মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে তাদের হত্যার মূল উদ্দেশ্যকেই অস্বীকার করতে চেয়েছিল। তাই বর্তমান জামায়াত-বিএনপি, আল-শামস-রাজাকার— যারা পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে আছে, তারা সীমান্ত এলাকায় স্লোগান দিচ্ছে—

এগিয়ে চলো এগিয়ে চলো

ঝাঁপিয়ে পড়, ঝাঁপিয়ে পড়

বাংলাদেশে ঝাঁপিয়ে পড়

হাসিনাকে ফাঁসিতে তোল

হাসিনার গলায় দড়ি টানো।

এ এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে জামায়াতরা। এখনকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, মমতাকে বুঝিয়ে প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে এই দুষ্কৃতদের বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দেওয়া প্রয়োজন। হাসিনাকে হত্যা করে তাদের কী লাভ হবে। কারণ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ সবাই হাসিনার পক্ষে।

 

লেখক : ভারতীয় প্রবীণ সাংবাদিক।

সর্বশেষ খবর