নিজ শহরের মাঠে প্রথম ম্যাচে দর্শকদের হতাশা উপহার দিয়েছে সিলেট সিক্সার্স। বিপিএলে মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে মাত্র ৬৮ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে।
চলতি বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে এ নিয়ে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে তৃতীয় জয়ে ৬ পয়েন্ট অর্জন করল ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন কুমিল্লা।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে ডেভিড ওয়ার্নারের দল।বল হাতে ধ্বংসজজ্ঞে কুমিল্লার মূল নায়ক মেহেদি হাসান। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং স্পর্শ করে এই অফ স্পিনার নিয়েছেন ২২ রানে চার উইকেট। তিনটি ও দুটি করে উইকেট নিয়ে ওয়াহাব রিয়াজ ও লিয়াম ডসন।
মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের মেডেন ওভারে সিলেটের ইনিংসের শুরু। পরের ওভারে মেহেদি বোল্ড করে দেন আন্দ্রে ফ্লেচার ও ডেভিড ওয়ার্নারকে, এলবিডব্লিউ হন আফিফ হোসেন। নিকোলাস পুরান এসে ঠেকান হ্যাটট্রিক। পরের ওভারে তিনিও শিকার সাইফের। উইকেট শিকারে এরপর যোগ দেন লিয়াম ডসনও। এই বাঁহাতি স্পিনার ফিরিয়ে দেন লিটন দাস ও সাব্বির রহমানকে। মেহেদি দ্বিতীয় ওভারে ফিরে ফেরান সোহেল তানভিরকে।
সিলেটের রান তখন ৭ উইকেটে ২২। টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন দলীয় রানের বিশ্বরেকর্ড ৩০, বিপিএল রেকর্ড ৪৪। কিন্তু লজ্জার সেই রেকর্ড থেকে দলকে উদ্ধার করেন অলক কাপালি। অষ্টম জুটিতে তাসকিন আহমেদের সঙ্গে গড়েন ২৩ রানের জুটি। শেষ উইকেটে আল আমিন হোসেনের সঙ্গে তোলেন ২১ রান।
অলক কাপালি শেষ পর্যন্ত চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩১ বলে অপরাজিত থাকেন ৩৩ রানে। সিলেট ১৫ ওভারের আগেই মাত্র ৬৮ রানে গুটিয়ে যায়।
জবাবে ৬৯ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে মাত্র ১০ রানে এনামুল হক বিজয় ও তামিম ইকবালের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে কুমিল্লা। কিন্তু স্মিথের দেশে ফিরে যাওয়া দলের নেতৃত্ব পাওয়া ইমরুল কায়েস তৃতীয় উইকেট জুটিতে শামসুর রহমান শুভকে সঙ্গে নিয়ে ৮ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। শামসুর রহমান ৩৪ ও ও ইমরুল ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম