১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৫:০৭

জাবিতে ভাষা আন্দোলনের মাসে অমর্যাদায় শহীদ মিনার

নাহিদুর রহমান হিমেল

জাবিতে ভাষা আন্দোলনের মাসে অমর্যাদায় শহীদ মিনার

মহান ভাষা আন্দোলনের এ মাসেও ভালো নেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শহীদ মিনারটি। ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি সারা বছর অযত্ন আর অবহেলায় থাকলেও এ মাসেও মর্যাদা রক্ষার ব্যাপারে সচেতন নয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসনের অসচেতনায় প্রতিদিনই এখানে জুতা পায়ে মূল বেদীতে বসে আড্ডায় মগ্ন থাকেন দর্শনার্থীরা।  বিকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত চলে গান বাজনা আর হৈ-হুল্লোড়।

বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহীদ মিনারটির চার পাশে নোংরা পরিবেশ। সিঁড়িগুলোতে ময়লা আবর্জনা। আর জুতা পায়ে মূল বেদীর উপর বসে আড্ডা দিচ্ছেন ১০-১৫ জন দর্শনার্থী। শুধু আজ নয়, শীতকালীন মৌসুমেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটির এটি নিত্যদিনের চিত্র। অতিথি পাখি দেখতে আশা দর্শনার্থীদের অসচেতনতার কারণে প্রতিনিয়তই অবমাননার স্বীকার হচ্ছে শহীদদের স্মরণে নির্মিত এই মিনারটি। কখনোবা এখানে চলে উচ্চ স্বরে দেশী-বিদেশি গান বাজনা। আবার কেউ কাটেন জন্মদিনের কেক। আবার কেউ কেউ মজে থাকেন প্রেমে। 

প্রশাসনের অযত্ন অবহেলা আর অসচেতনতার কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এ ব্যাপারে কম সচেতন বলে দাবি সচেতন শিক্ষার্থীদের। শিক্ষকরা বলছেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে নির্মিত এ মিনারটির এমন অবমাননা আমাদের জন্য লজ্জাজনক ঘটনা। শুধু ভাষা আন্দোলনের এ মাসে নয় প্রতি মাসে প্রতি মুহূতেই এটির মর্যাদা রক্ষা করা উচিত। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সর্তক হওয়া উচিত। তবে বছরজুড়ে অবহেলা অমর্যাদায় থাকলেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নতুন রূপ প্রায় এ শহীদ মিনার। দিবসটির আগের দিন এটি ধোয়ামোছা আর সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত থাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

এ ব্যাপারে জানতে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপ আবুল হোসেনকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনকে ভিত্তি করে ৫২ ফুট ব্যাসের ভিত্তিমঞ্চের উপর এটা নির্মাণ করা হয়। এছাড়া ১৯৭১ সালে গৌরবময় স্বাধীনতা অর্জনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ৭১ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন এই স্থাপনাটি বহন করে চলেছে বাংলা ও বাঙ্গালী জাতির আরো অনেক গৌরবময় ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে।


বিডি-প্রতিদিন/ ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর