৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৯:০৮

ইবিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে কম প্রশ্ন, বিপাকে ভর্তিচ্ছুরা

ফটোকপি করে প্রশ্ন সরবরাহ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

ইবিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে কম প্রশ্ন, বিপাকে ভর্তিচ্ছুরা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের বি সেটে প্রশ্নপত্রে ১৯টি প্রশ্ন কম আসে। এতে চরম বিভ্রান্তির শিকার হয় ভর্তিচ্ছুরা। বিষয়টি সামাল দিতে পরীক্ষা শুরুর অনেক পরে ফটোকপি করে বাকি প্রশ্নগুলো সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

 
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকাল ৪ টা থেকে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের ২য় শিফটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের এ সেট ও বি সেটের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। পরীক্ষা শুরুর পর ভর্তিচ্ছুরা প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে বি সেটের প্রশ্নে রসায়ন ও ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন কম দেখে হল পরিদর্শকদের অবগত করেন। হল পরিদর্শকরা ইউনিট সমন্নয়কারীকে অবগত করলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ইউনিটের সদস্যদের নিয়ে বৈকঠ করেন। পরে প্রশ্নপত্রে যে প্রশ্নগুলো কম ছিল তা ফটোকপি করে সরবরাহ করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বি সেটের প্রশ্নে রসায়ন বিষয়ে ৩০ টি প্রশ্ন আসার কথা থাকলেও সেখানে ২১টি প্রশ্ন আসে এবং বাকী ৯টি প্রশ্ন পত্রে ছিল না। আর ইংরেজিতে ১০ টি প্রশ্নের একটিও আসেনি। রসায়নের ২১টি প্রশ্ন দুই বার এসেছে। এতে সর্বমোট ১৯টি প্রশ্ন কম আসে। যে প্রশ্নগুলো আসেনি সেগুলো পরীক্ষার ২০ থেকে ২৫ মিনিট পরে ফটোকপি করে প্রত্যেক কেন্দ্র সরবরাহ করা হয়। তবে অরক্ষিত ভাবে শিক্ষক, কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কেন্দ্রে এ প্রশ্ন পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার প্রশ্নে ভুলের জন্য সবোর্চ্চ ২০ মিনিট পর্যন্ত সময় দেওয়ার কথা বলা হলেও কয়েকটি কক্ষে এর ব্যতিক্রম হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভর্তিচ্ছুরা।

এদিকে প্রশ্নপত্রে এ অসঙ্গতির কারণে বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। আবার কেউ বি সেট পূরুণ করে পরে প্রশ্ন পরিবর্তন করে এ সেট নিয়ে পরীক্ষা দেয়।
 
ফলিত বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে বি সেটে পরীক্ষা দেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রশ্ন কম আসার পর স্যারকে বললে তিনি আমাদের পরে পূরুণ করতে বলেন। তার কিছুক্ষণ পরে আবার পূরুণ করতে বলেন। এতে আমি চরম বিপাড়ে পড়ি। তবে পরে ২০ মিনিট বেশি দেওয়ার কথা বললেও তার কম সময় দিয়েছেন।’

ডি ইউনিটের সমন্বয়কারী প্রফেসর ড. শামসুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের অজান্তেই ভুলটি হয়ে গেছে। কম্পিউটারে একটি কপি ছিল। পরে ওই কপি থেকে প্রিন্ট করে পরীক্ষার্থীদের সংশোধিত প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়।’  

এদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহাকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘ঘটনাটি জানতে পেরে আমি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মিসটেক অংশ প্রিন্ট করে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করা হয়। তবে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। ঘটনা তদন্তে কমিটি হয়েছে।’


বিডি প্রতিদিন/৬ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর