১৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ১৫:০৮

ইবির বায়োটেকনোলজি বিভাগে সন্ধ্যার সূর্যমুখী

ইকবাল হোসাইন রুদ্র, ইবি

ইবির বায়োটেকনোলজি বিভাগে সন্ধ্যার সূর্যমুখী

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে উদ্ভাবন করা হয়েছে ইভিনিং প্রিমরোজ নামে নতুন জাতের সূর্যমুখী ফুল। শীত প্রধান দেশে চাষের উপযোগী এই ফুলটি বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যৌথ গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশে চাষের উপযোগী করতে সক্ষম হয়েছেন। এর নামকরণ করা হয়েছে ইভিনিং প্রিমরোজ।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হল্যান্ড থেকে কাট ফ্লাওয়ার হিসেবে সূর্যমূখীর বীজ এনে বাংলাদেশে চাষের উপযোগী করতে দেড় বছর গবেষণা করা হয়। বিভাগটির অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক, বিভাগীয় সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. নিলুফা আক্তার বানুর ব্যবস্থাপনায় ড. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে মোস্তফা শাকিল, যুবায়ের হুসাইন, সদরুল হাসান চৌধুরী, জহুরুল ইসলাম, জুলকার নাইনসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীর একটি টিম বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইভিনিং প্রিমরোজ নামের এই সূর্যমুখী ফুল উদ্ভাবনে সক্ষম হয়। 

ইভিনিং প্রিমরোজ নামের এই ফুলটি কাট ফ্লাওয়ার (যেসব ফুল তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় না) হিসেবে ব্যবহারিত হবে। ফুল নিয়ে গবেষণারত শিক্ষার্থীরা জনান, বাংলাদেশে তৈলবীজ ও বাগানের শোভা বর্ধনের জন্য নানা জাতের সূর্যমুখী চাষ করা হলেও কাট-ফ্লাওয়ারের কোনো অনুমোদিত জাত নেই। ইভিনিং প্রিমরোজ কাট ফ্লাওয়ার হওয়ার কারণে এটি ফুলদানীতে অনেকদিন পর্যন্ত টাটকা থাকে এবং শুকানোর পরও সুবাস ছড়াবে। এজন্যই সাধারণ সূর্যমুখীর সঙ্গে এর বিস্তর পার্থক্য। কাট ফ্লাওয়ার হিসেবে ইভিনিং প্রিমরোজ ফুলের চাহিদা বিশ্বজুড়ে।

শুধু উদ্ভাবনই নয়, টিস্যু কালচারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে অধিক রোগমুক্ত চারা উৎপাদন এবং ফুল ও ফলের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে কাজ করে যাচ্ছে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গবেষণা টিমের প্রধান ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এসব কাজের জন্য প্রচুর অর্থ ও সময়ের প্রয়োজন। শীত প্রধান দেশের ফুল হলেও প্রাথমিকভাবে আমরা বাংলাদেশের আবহাওয়ায় গাছটি অভিযোজন বা জন্মাতে সক্ষম হয়েছি। এরপর ফুল ধরাতেও সক্ষম হয়েছি। কিন্তু আমাদের জন্মানো গাছ এবং ফুল প্রকৃত আকার থেকে সামান্য ছোট। টিস্যু কালচারের মাধ্যমে আমরা গাছটির ফুলের আকার এবং মান উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সীমিত সুযোগ-সুবিধা ও স্বল্প-অর্থায়ন সত্ত্বেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ টিস্যু কালচার গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে। ইভিনিং প্রিমরোজ ছাড়াও জারবেরা, স্ট্র ফ্লাওয়ার, টিউলিপসহ আরও বেশ কিছু ফুলের জাত নিয়ে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

বিডি প্রতিদিন/১৬ জানুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর