রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপু হত্যার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেনি পুলিশ। জমা হয়নি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। আর উদঘাটনও হয়নি হত্যাকাণ্ডের রহস্য।
গত বছরের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয় লিপুর লাশ। ওই দিন লিপুর রুমমেট মনিরুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। তিন দিন পর হত্যা মামলায় মনিরুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়। কিন্তু ৮ নভেম্বর জজকোর্ট থেকে মনিরুল জামিন পায়।
জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের কিছু দিন পর তার কয়েকজন সহপাঠীকে লতিফ হলের প্রধান ফটকে লাগানো সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ দেখায় র্যাব। ফুটেজ থেকে কাউকে চিনতে পারছে কি না, তা লিপুর সহপাঠীদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু লিপুর সহপাঠীরা কাউকে চিনতে পারেনি। তবে লিপুর সহপাঠীদের দাবি, ভিডিও ফুটেজ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে তদন্ত করলে অপরাধীদেরকে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হবে।এদিকে, ছেলে হত্যার বিচার দেখার জন্য অধীর প্রতীক্ষায় আছেন লিপুর মা। মামলার তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিভাগের শিক্ষক ও লিপুর সহপাঠী এবং পরিবার।
লিপুর মা হোসনে আরা বেগম বলেন, আমার ছেলে হত্যার বিচার যেন পাই। আমি হত্যাকারীদের দেখতে চাই। আর কোনো মায়ের বুক যেন এভাবে খালি না হয়।
মামলার সার্বিক বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মো. মাহবুব বলেন, লিপুর রুমমেট মনিরুলের কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। ওই তথ্যগুলো ধরে মামলার তদন্ত চলছে। তবে মনিরুল এখন জামিনে আছে। তাকে আবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানানো হবে। আশা করছি, আগামী ফেব্রয়ারি মাসের মাঝামাঝি হত্যার মূল রহস্য জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/২০ জানুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা
