১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ১০:০১

জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার পদকে ভূষিত হলেন আসাদুজ্জামান নূর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার পদকে ভূষিত হলেন আসাদুজ্জামান নূর

নাট্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় 'জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার' পদকে ভূষিত হলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। রবিবার রাত সাড়ে আটটায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সেলিম আল দ্বীন মুক্তমঞ্চে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার আয়োজিত নাট্য পার্বণের শেষ দিনে তাকে এই পদকে ভূষিত করা হয়।

জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম আসাদুজ্জামান নূরের হাতে তার পদকটি তুলে দেন।

আসাদুজ্জমান নূর তার বক্তব্যে বলেন, আমরা যারা নাট্য শ্রমিক তারা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াই। আমাদের লড়াইটা মূলত ১৯৪৭ এর সঙ্গে ১৯৭১ এর লড়াই। '৭১ এ আমরা স্বাধীনতা পেলেও আমাদের মধ্যে '৪৭ এর সাম্প্রদায়িকতার কিছুটা প্রভাব রয়ে গেছে। যার জ্বলন্ত উদাহরণ হলি আর্টিজানের ঘটনা। আমরা নাট্য শ্রমিকরা যদি ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর এই দায়িত্ব পালন না করি তবে বনের মোষগুলো আমাদের সোনার বাংলাকে ধ্বংস করে দেবে। এছাড়া আমাদের শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির স্বমন্বয় ঘটাতে হবে। তা না হলে এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব নয়। হাজার বছরের বাঙালির সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে সংস্কৃতি রয়েছে, তা চর্চা বাড়াতে হবে। তবে এজন্য সবাইকে যে কবি, লেখক, গায়ক বা নাট্য শ্রমিক হতে হবে এমনটা নয়। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির উপর শ্রদ্ধাবোধ বাড়িয়ে তাকে ভালবেসে গ্রহণ করার জন্য সকলকেই উদার মন-মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

বক্তৃতা শেষে আসাদুজ্জামান নূর মুক্তমঞ্চের দর্শকদের অনুরোধে সৈয়দ শামসুল হকের লেখা 'নুরূলদীনের সারাজীবন' কবিতাটি আবৃত্তি করে শোনান। এরপর জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের প্রযোজনায় মঞ্চস্থ হয় ১৯৪৭ এর দেশ বিভাগের উপর রচিত খুশবন্ত সিংয়ের উপন্যাস 'ট্রেইন টু পাকিস্তানের' নাট্যরূপ। নির্দেশনায় ছিলেন মঈনুল হক তারিফ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবুল হোসেন, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক আফসার আহমদ, ইতিহাস বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আনিছা পারভীন (জলী)।

এ বছর 'আলোক কুমার রায় স্মৃতি পদক' প্রদান করা হয় তরুণ অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক বাকার বকুলকে।

বিডি প্রতিদিন/১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর