১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ১৪:৪৭

অনিরাপদ হয়ে উঠছে রাবির আবাসিক হলগুলো

রাবি প্রতিনিধি

অনিরাপদ হয়ে উঠছে রাবির আবাসিক হলগুলো

চাঁদাবাজি, মাদক সেবন, নিয়মিত ল্যাপটপ চুরি, বহিরাগতদের অবাধে হলে প্রবেশ বৃদ্ধি পাওয়ায় অনিরাপদ হয়ে উঠছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলগুলো। হলগেটের প্রহরায় পুলিশ থাকলেও তারা মুঠোফোনে কিংবা নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতায় ব্যস্ত থাকেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, হলগুলোতে চাঁদাবাজি করছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শিক্ষার্থীদের হলে তোলার পর প্রতি মাসে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা চাঁদা নিচ্ছে তারা। মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার আগেই কক্ষগুলো দখল করে রাখছে ছাত্রলীগ। ফলে হলে সিট বরাদ্দ পেয়েও উঠতে পারছে না সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

এদিকে, গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ছাদ কিংবা কক্ষগুলোতে চলছে মাদক সেবন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ, হবিবুর রহমান, জিয়া, ও শাহ মখদুম হলে এই মাদক সেবন বেশি চলে বলে জানা গেছে। এসব ঘটনার বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষরা অবগত থাকলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয় না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

তবে ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, এসব ঘটনা আমার জানা নাই। এরকম ঘটনার সঙ্গে কোনো ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অন্যদিকে গত তিন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ, জিয়াউর রহমান, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শহীদ শামসুজ্জোহা, মতিহার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শের-ই- বাংলা ফজলুল হক হল থেকে মোট ১৮টি ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে সাইকেল ও মোবাইল চুরির ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, হলগুলোতে হকার ও রিকশা চালকরা ঢুকছেন অবাধে। কেন, কখন, কোথায় যাচ্ছে তার কোনো জবাবদিহিতার ব্যবস্থা নেই। 

২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর নবাব আব্দুল লতিফ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী লিপু খুন হন। চার মাসেও অভিযুক্তরা শনাক্ত না হওয়ায় আবাসিক হলে অনিরাপদ বোধ করছে শিক্ষার্থীরা। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলছেন, শিক্ষার্থীদের প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করতে হবে। তারপর অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর