২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ১৮:১৫

অযত্ন, অবহেলায় অস্তিত্বহীন রাবির প্রথম শহীদ মিনার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

অযত্ন, অবহেলায় অস্তিত্বহীন রাবির প্রথম শহীদ মিনার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ১৯৬৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি শহীদুল্লাহ্ কলা ভবনের সামনে নির্মিত হয় প্রথম শহীদ মিনার। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাতের অন্ধকারে বোমা মেরে গুড়িয়ে দেয় সেটি। মুক্তিযুদ্ধের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হলের সামনে নির্মাণ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। এরপরই মনযোগ হারায় রাবির প্রথম শহীদ মিনার।

দীর্ঘ দিনের অযত্ন আর অবহেলায় ইট-পাথরের বেদি ছাড়া মিনারের নেই কোনো স্মৃতিচিহ্ন। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এই স্থাপনাটি সম্পর্কে জানেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শহীদ মিনারটির ধ্বংসাবশেষ ছেলে মেয়েরা না জেনেই বেদীর উপর বসছে, জুতা পায়ে মাড়িয়ে যাচ্ছে। ক্ষুন্ন হচ্ছে শহীদ মিনারের মর্যাদা।

সংস্কৃতিকর্মীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জায়গাটাকে ঘিরে সংরক্ষণ করার জন্য কয়েকবার বলা হলেও তারা কোনো গুরুত্বই দেইনি। জায়গাটি সংরক্ষণ করা হলে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শহীদ মিনারটি সম্পর্কে জানবে।

জানা যায়, আব্দুল হামিদ, আব্দুর রাজ্জাক, বায়েজিদ আহমেদ, আবুল হোসেন, সাইদুর রহমান, একরামুল হক খুদ, নজরুল ইসলামসহ একদল শিক্ষার্থী শহীদ মিনারটি নির্মাণ করেন। শহীদুল্লাহ্ কলা ভবনের সামনের আম বাগানে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীরা আড্ডা দেন। পাশের ইট বিছানো রাস্তা দিয়ে হেঁটে যান অনেকে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীই জানেন না এখানে একটি শহীদ মিনার আছে। 

বছর খানেক আগে বাংলা বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী স্বউদ্যোগে শহীদ মিনারটির চারপাশ বাঁশ-দড়ি দিয়ে ঘিরে দিয়েছিল। কিন্তু এখন আর তাও নেই। প্রতি বছর আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শহীদ মিনারটিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংগঠন স্বনন। দীর্ঘদিন ধরে শহীদ মিনারটি সংরক্ষণ করার দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।

 

বিডি প্রতিদিন/২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর