৬ এপ্রিল, ২০১৭ ১৬:০৫

অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রাবি শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রাবি শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকাল-দুপুর-রাতে যেসব খাবার খেয়ে থাকে তা 'অস্বাস্থ্যকর ও অপুষ্টিকর' এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। খোলা পরিবেশে ধূলাবালিতে তৈরি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্বর, আবাসিক হল, ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যান্টিনের অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে পেটের অসুখসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছে শিক্ষার্থীরা। 

এসব খাবার খেয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থী পেটের অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় সেসব খাবারের দোকান আছে তাতে সকাল ও দুপুরে খায় শিক্ষার্থীরা। এই সময়ে এসব দোকান ছাড়া অন্য কোথাও খাওয়ার সুযোগ থাকে না। এই সুযোগে দোকান মালিকরা অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করে। খাবারগুলো খোলা জায়গায় রাখার কারণে মশা-মাছি বসে। দোকানগুলো ঘেরা না থাকার কারণে চারপাশ থেকে ধূলাবালি এসে খাবারের উপর পড়ে। দোকানগুলোর উপরে কাগজের ছাউনি থাকার কারণে খাবারে ধূলাবালি ও গাছের পাতাও পড়ে। 

অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন হলের ডাইনিংয়ে পেঁপে, কুমড়া ও আলুর তৈরির সবজি, ছোট আকারের সিলভার কার্প, পাংগাস কিংবা তেলাপিয়া মাছ পরিবেশন করা হয়। যা পরিমাণে খুবই কম। ডিম দিলেও অর্ধেক দেয়া হয়।  আর যে ডাল দেয়া হয় তা তেল, লবণ আর শুকনা মরিচের গুঁড়ার ঝোল মনে হয়। রান্নাঘর পরিবেশ ভেজা, স্যাঁতস্যাঁতে অন্ধকার। খাবার পরিবেশনের সরঞ্জামও পরিষ্কার থাকে না। যেখানে সেখানে সবজির উচ্ছিষ্ট, আর্বজনা পড়ে থাকে। এছাড়াও খাবার পানি হিসেবে সাপ্লাইয়ের পানি ব্যবহার করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বাধ্য হয়েই তারা এসব খাবার খাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে খাবারের মান বাড়ানোর দাবি অনেক আগে থেকে করে আসলেও প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কথা কর্ণপাত করছে না।  

রাবি মেডিকেল সেন্টারের মেডিসিন বিভাগের উপ-প্রধান চিকিৎসক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, শিক্ষার্থীরা যেসব খাবার খাচ্ছে সেসব খাবার দিয়ে তাদের পুষ্টি চাহিদা পুরণ হচ্ছে না। ফলে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। 

তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে আরও বলেন, এ ধরনের খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীরা পেটের অসুখ, পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া, টাইফয়েড, আমাশয় ও ভাইরাসজনিত রোগ যেমন- হেপাটাইটিস-বি তে ভুগছে। এমন রোগের চিকিৎসা নিতে প্রতি মাসে ৩০০ থেকে ৪০০ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে আসছে।

 

বিডি প্রতিদিন/৬ এপ্রিল, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর