২৭ এপ্রিল, ২০১৭ ২১:০৭

নওগাঁয় একযোগে চলবে ৬৬২ কমিউনিটি রিডিং ক্যাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নওগাঁয় একযোগে চলবে ৬৬২ কমিউনিটি রিডিং ক্যাম্প

নওগাঁ জেলার ছয়টি উপজেলায় ৬৬২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাংলা পঠন দক্ষতা ও পাঠ্যাভাস বৃদ্ধির জন্য কমিউনিটি রিডিং ক্যাম্প (সিআরসি) নামে একটি নতুন উদ্ভাবনী কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

আর্ন্তজাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এর কারিগরি সহযোগিতায়, ইউএসএইড এর আর্থিক সহযোগিতায় এবং জাতীয় সংস্থা আর ডি আর এস বাংলাদেশের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নওগাঁ সদর, রানীনগর, মহাদেবপুর, সাপাহার, পোরশা ও ধামুইরহাট উপজেলায় এসব সিআরসি পরিচালিত হবে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬১৫৫৩ শিক্ষার্থী সরাসরি উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।

সেভ দ্যা চিলড্রেন এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নওগাঁ সদর উপজেলার ৩৩ নং দূর্গাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কমিউনিটি রিডিং ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এ্যাড. এ. কে. এম ফজলে রাব্বী (বকু), বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম. আবু রায়হান, সেভ দ্য চিলড্রেন এর ম্যানেজার অপারেশনস মো: শফিকুল ইসলাম এবং এস. এম. সি সভাপতি এ. কে. এম নজমুল হক মন্টু এবং শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, এসএমসি সদস্যরা, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং আরডিআরএস বাংলাদেশ এর কর্মকর্তাবৃন্দ।

কর্মকর্তারা জানান, সিআরসি মূলত রিড প্রকল্পের আওতাভুক্ত নির্ধারিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট স্থানে ১ম থেকে ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা পঠন দক্ষতা ও পাঠ্যাভাস বৃদ্ধির জন্য এই কমিউনিটি রিডিং ক্যাম্প। রিডিং ক্যাম্পে সাধারণত সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের নিকটবর্তী কোনো বাড়ির আঙ্গিনা বা কোনো উন্মুক্ত ও নিরাপদ স্থান, যা এসএমসি কর্তৃক নির্ধারিত হয়ে থাকে। রিডিং ক্যাম্পের পরিবেশ অনানুষ্ঠানিক। এখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা ছুটির পরবর্তী সময়ে আনন্দের মাধ্যমে গান গেয়ে এবং গান শুনে, গল্প শুনে ও পড়ে, নিজে গল্প বলে, খেলার মাধ্যমে, হাতে কলমে কাজ করে ও বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করার মাধ্যমে শেখার সুযোগ পায়।

প্রতিটি রিডিং ক্যাম্প পরিচালনার দায়িত্বে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে ২ জন কমিউনিটি লিটারেসি ভলান্টিয়ার বা সিএলভি নির্বাচিত ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হন। রিডিং ক্যাম্প বা সি আর সিতে ১২৪ আইটেমের বাংলা সহায়ক পঠন উপকরণ হিসেবে স্তর ভিত্তিক গল্পের বই ও অন্যান্য শিখন শেখানো সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। বইগুলো শিক্ষার্থীরা বাড়িতেও পড়ার সুযোগ পায়। এছাড়াও অভিভাবক ও এসএমসি সদস্যদের মতামত গ্রহণের জন্য মাসের একটি নির্দিষ্ট দিনে সভা অনুষ্ঠিত হবে।

গবেষনা অনুসারে, সিআরসিতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতির মাধ্যমে তাদের কার্যকরী বাংলা পঠন দক্ষতা ও পাঠ্যভাস তৈরি করবে যা মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এই সিআরসির মাধ্যমে শিশুর শিখন টেকসই হবে, শিশুর মধ্যে স্কুল ভীতি কমবে; পড়া ভীতি থাকবে না, একে অন্যের সাথে ভালো সর্ম্পক গড়ে উঠবে, সমবয়সী এক শিশু অপর শিশুর নিকট থেকে শিখবে, উপকরণ ব্যবহার করে পড়া শিখতে পারবে ও সৃজনশীল হবে। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজন সকলের একান্ত সহযোগিতা।

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর