২১ জুন, ২০১৭ ১৭:০৫

ইস্ট ওয়েস্টে কৃষিজাত পণ্যের সরবরাহ শৃঙ্খল বিষয়ক প্রতিযোগিতা

অনলাইন ডেস্ক

ইস্ট ওয়েস্টে কৃষিজাত পণ্যের সরবরাহ শৃঙ্খল বিষয়ক প্রতিযোগিতা

বেসকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ওয়েস্টে অনুষ্ঠিত হলো কৃষিজাত পণ্যের সরবরাহ শৃঙ্খল বিষয়ক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতা “ ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি সাপ্লাই চেইন চ্যালেঞ্জ ২০১৭”। বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রো ইন্ড্রাস্ট্রিয়ালাইজেশন ক্লাব আয়োজিত প্রতিযোগিতাটিতে দেশের ২৯টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২৯৫টি দল অংশগ্রহণ করে। 

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং সেন্টার লবিতে অনুষ্ঠিত হয় “এগ্রো বিজ সাপ্লাই চেইন ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক কর্মশালা। দিনব্যাপী কর্মশালায় মোট ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। কর্মশালায় প্রতিযোগিদেরকে পণ্যের সরবরাহ শৃঙ্খল সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেন মদিনা গ্রুপের স্ট্যাটেজিক ম্যানেজমেন্ট অব সাপ্লাই চেইনের প্রধান আদনান কবীর এবং ক্যারিয়ার সল্যুশনের ট্রেইনিং কনসালটেন্ট ফারিয়া হক। 

প্রতিযোগিতার প্রথম পর্বে প্রতিযোগিদেরকে পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা বিষয়ক কেস প্রদান করা হয়। বিচারকমণ্ডলীদের রায়ে ১০টি দল সমাপনী পর্বে উন্নীত হয়। ১৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের “নওশের আলী” লেকচার গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্ব। সেখানে সমাপনী পর্বে উন্নীত দলগুলো তাদের তৈরি কৃষিপণ্য সরবরাহের নতুন শৃঙ্খল উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে ছিলেন ক্লাবের মডারেটরবৃন্দ। 

বিচারকমণ্ডলীদের রায়ে প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের “টিম গ্রেজয়”। ১ম রানারআপ হয় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির “টিম টেসের‌্যাক্ট” এবং ২য় রানারআপ হয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল্সের “টিম ন্যাটিভস”। 

প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি লাউঞ্জে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এ জে এম শফিকুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম এম শহিদুল হাসান। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাইখ সিরাজ বলেন, সরবরাহ ব্যবস্থায় কৃষকদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করার জন্য বড় কোম্পনিগুলোকে নীতি গ্রহণ করতে বাধ্য করা প্রয়োজন। এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর আগামী দিনের কৃষির সাথে কৃষকদের যোগসূত্র স্থাপনে গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ এ জে এম শফিকুল আলম, দেশের কৃষির অজানা ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন। ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম এম শহিদুল হাসান। সবশেষে অতিথিরা বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও মেডেল তুলে দেন।


ডি-প্রতিদিন/২১ জুন, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর