২৫ জুলাই, ২০১৭ ১৭:৫১
তৃতীয় দিনেও তালা ঝুলিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

ববি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নতুন মোড়

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

ববি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নতুন মোড়

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ভিন্ন মাত্রায় রূপ নিয়েছে। গত দুই দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তেমন সম্পৃক্ততা না থাকায় এবার আন্দোলনের পরিধি বাড়াতে নেতৃত্বদানকারীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কিছু মৌলিক দাবি যুক্ত করেছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণসহ শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য ২২ দফা দাবি তুলে ধরেছে তারা। এই দাবি পূরণে ভিসি অপারগ হলে আন্দোলনকারীরা তার পদত্যাগের আন্দোলনে নামবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।

গত দুই দিনের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার তৃতীয় দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক এবং একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে ক্লাশ-পরীক্ষা বর্জন করে। পরে তারা একাডেমিক ভবনের সামনে সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা শ্লোগানে তাদের দাবিগুলো তুলেন। এছাড়া ভিসি বিরোধী নানা শ্লোগান দেন তারা।  

এই আন্দোলনের ফলে শিক্ষা কার্যক্রমে ক্ষতি হচ্ছে স্বীকার করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের মৌলিক দাবিগুলো দ্রুত পূরনের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। শিক্ষার্থীরা বলেন, তারা আন্দোলন চান না। তারা ক্লাশে ফিরতে চান। কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের দাবি মেনে নিলে শিক্ষার্থীরা ক্লাশে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছেন। 

এদিকে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের অন্যতম ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজুল ইসলাম নয়ন বলেন, আগের দাবির সাথে শিক্ষার্থীদের আরো কয়েকটি মৌলিক দাবি যুক্ত করে তারা কর্তৃপক্ষের কাছে ২২ দফা দাবি তুলে ধরেছেন। এই দাবি পূরণ না করতে পারলে তারা ভিসি অপসারণের ‘একদফা’ আন্দোলনে যাবেন। 

এদিকে শিক্ষার্থীদের মৌলিক দাবিগুলোর প্রতি সমর্থন জানিয়ে আজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সমিতির সভাপতি এমএ কাইউম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

যদিও ভিসি প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হকের দাবি, স্বার্থ হাসিল না হওয়ায় বরিশাল আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার ইন্ধনে আন্দোলন হচ্ছে। সরকারের উচ্চ মহল থেকে ওই নেতাকে নিবৃত্ত করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় শান্ত হয়ে যাবে। 

তিনি অভিযোগ করেন, গত দুইদিন ধরে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নগরীতে এক আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় ডেকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে তাদের কাছ থেকে জোড় করে স্বাক্ষর আদায় করা হয়েছে। এভাবে একটা দেশ, বিশেষ করে একটা বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারেনা বলে তিনি মনে করেন। 

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান নিয়োগ পক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরন না করার অভিযোগ তুলে গত সপ্তাহে বরিশাল নগরীতে মানববন্ধন করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের কয়েকটি সংগঠন। এরপর পরই এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে। 

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭টি পদের বিপরীতে ৩৯জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রক্রিয়া এখনও চলমান। 

 

বিডি প্রতিদিন/২৫ জুলাই ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর