২৩ অক্টোবর, ২০১৭ ২৩:১৩

রাবিতে ভর্তিচ্ছুর কাছ থেকে ছাত্রলীগকর্মীর চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

রাবিতে ভর্তিচ্ছুর কাছ থেকে ছাত্রলীগকর্মীর চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ শামসুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মী বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রবিবার সন্ধ্যায় হলের বেশ কয়েটি স্থান থেকে ‘এক্সক্লুসিভ সাজেশন’ দেয়ার নামে ওই হলের ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করছেন তারা।

অভিযুক্ত শাওন ও ওয়ারেস ইনফরমেশন ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। তারা হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বেলায়েত মাহমুদ প্রিন্সের অনুসারী।

হল  সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার সন্ধ্যায় অবস্থানরত ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করা হয়।

হল সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা হলের মধ্য ব্লকের নিচতলা, গেমস রুম, অডিটেরিয়াম রুম, গেস্টরুমে অবস্থান করছেন। শাওন ও একই বিভাগের ওয়ারেস ভর্তিচ্ছুদের কাছে গিয়ে ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে তাদের ‘এক্সক্লুসিভ সাজেশন’ নিতে ২০ টাকা দাবি করে। এসময় প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তারা টাকা আদায় করে দুটি প্রশ্নপত্র হাতে ধরিয়ে দেয়।

কুড়িগ্রাম থেকে আসা এক ভর্তিচ্ছু জানান, ‘সন্ধ্যায় দুইজন ভাই এসে নিজেদের ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে আমাদের হাতে দুইটি কাগজ ধরিয়ে দেয়। তার বিনিময় আমাদের কাছ থেকে ২০ টাকা দিতে বলে। আমরা ভয় পেয়ে গেছিলাম। তাই টাকা চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে দিয়েছি।’

আরেক ভর্তিচ্ছু বলেন, ‘সন্ধ্যায় দু’জন আমাদের রুমে এসে দুটি কাগজ ধরিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক টাকা চায়। পরে আমরা তাদের নাম জানতে পারি, একজন ওয়রেস ও অরেকজন শাকিল।’

হল ছাত্রলীগের একপক্ষের দাবি, বেলায়েত হোসেন প্রিন্স ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে তার অনুসারীদের দ্বারা অন্যায়ভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। যা ঐতিহ্যবাদী সংগঠনটিকে কলঙ্কিত করছে। এসময় তারা দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানায়।

অভিযোগ অস্বীকার করে শাওন বলেন, ভর্তিচ্ছুদের কোন পরীক্ষাই নেয়া হয়নি। তাহলে টাকা নেয়ার প্রশ্ন আসছে কীভাবে। কেউ হয়তো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।
 
জানতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বরজাহান আলী বলেন, ‘ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে শাওন ও ওয়ারেস চাঁদা আদায় করছে বলে শুনেছি। তাদের নেতৃত্ব কে দিচ্ছে জানি না। তবে এমন কাজ করলে সেটা নিন্দনীয়।
 
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, এধরনের বাণিজ্য করার কোন অনুমতি রাবি শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দেয়া হয়নি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তারা ছাত্রলীগের কেউ না। ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে কেউ এমন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর