২৪ অক্টোবর, ২০১৭ ১৪:৫৭

রাবির ভর্তি পরীক্ষায় ভবনের নাম নিয়ে বিভ্রান্তি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

রাবির ভর্তি পরীক্ষায় ভবনের নাম নিয়ে বিভ্রান্তি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে একটি ভবনের নাম নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। পরীক্ষার প্রবেশপত্রে নাম ‘রবীন্দ্র কলাভবন’ লেখা থাকলেও ভবনে গায়ে লেখা রয়েছে ‘রবীন্দ্র ভবন’।

ভবনে লেখা নামের সঙ্গে প্রবেশপত্রে লেখা নামের মিল না থাকায় এ বিভ্রান্তির শিকার হতে হচ্ছে ভর্তিচ্ছু ও তাদের সঙ্গে আসা অভিভাবকদেরও। রবিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ পরীক্ষা চলবে আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত।

ভর্তিচ্ছুদের অনেকেই হেল্প ডেস্কের সাহায্যে রবীন্দ্র ভবন সামনে আসতে পারলেও প্রবেশপত্রে রবীন্দ্র কলাভবন দেখে তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। এতে অনেকের ওই ভবনে পরিক্ষা পড়লেও সময়মত পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে পারেনি- এমন অভিযোগ করছেন ভর্তিচ্ছু ও তাদের অবিভাবকেরা।

রবীন্দ্র ভবনের সামনে হেল্পে ডেস্কে বসা রাবির শিক্ষার্থী আবিদ হাসান বলেন, অনেক ভর্তিচ্ছু ও তার সাথে আসা অবিভাবক রবীন্দ্র ভবনের সামনে এসেও রবীন্দ্রকলা ভবন লেখা থাকায় তার বিভ্রান্তিতে পড়ে আবার জিজ্ঞাসা করছে এ ভবন কোথায়? তখন আমাদের আবার বলতে হচ্ছে ‘এই তো এটাই। এটাই রবীন্দ্র কলাভবন।’

ভর্তিচ্ছু নাজনিন সুলতানার অভিভাবকের অভিযোগ, আমরা এখানে খুব বেশি চিনি না। ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনেক দূর থেকে এসেছি। এখানকার ভবনগুলোর অবস্থানের সঙ্গেও পরিচিত নই। ভবনের নামগুলোর সঙ্গে প্রবেশপত্রের নামের মিল থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে ভবনে লেখা ‘রবীন্দ্র ভবন’ কিন্তু প্রবেশপত্রে আছে ‘রবীন্দ্র কলাভবন’।”

মঙ্গলবার যশোর থেকে ভর্তি পরিক্ষা দিতে আসা সাব্বির হোসেন বলেন, “হেল্প ডেস্কের নির্দেশনা অনুযায়ী এখানে আসলেও মনে করেছি যে, রবীন্দ্র ভবন ‘রবীন্দ্র কলাভবন’ নয়। রবীন্দ্র ভবন ভিন্ন একটি ভবন হতে পারে। এজন্য রবীন্দ্র ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে রবীন্দ্র কলাভবন কোথায় আছে, সেটা খুঁজছি। আমরা এটা নিয়ে সত্যিই বিব্রত এবং হয়রানির শিকার হয়ে আমি পরিক্ষার কেন্দ্রে মাত্র দুই মিনিট আগে ঢুকতে পেরেছি।”
 

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্যা বলেন, ‘কয়েকজন ভর্তিচ্ছু এমন অভিযোগ করতে পারে। এছাড়া হেল্প ডেস্ক আছে, সেখান থেকে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। তবে ভবনে লেখা নামটিই প্রবেশপত্রে লেখা থাকলে ভর্তিচ্ছুদের জন্য সুবিধা হতো বলে তিনি মনে করেন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার বলেন, আমাদের অনেক স্বেচ্ছাসেবক আছেন, ওখানে তারা ভর্তিচ্ছুদের সহায়তা করছেন। এ ভবনের নাম খুব শীঘ্রই ঠিক করা হবে।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর