২২ নভেম্বর, ২০১৭ ১৫:৩৫

ইবির ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ইবি প্রতিনিধি

ইবির ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও নানা কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে বুধবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। ১৯৭৯ সালের এই দিনে (২২ নভেম্বর) কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জেলার মধ্যবর্তী স্থান শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচির মধ্যে পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা এবং আলোচনাসভা উল্লেখযোগ্য। 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় সঙ্গীত বাজিয়ে পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস. এম আব্দুল লতিফ। এছাড়া একই সময়ে আবাসিক হলের প্রভোস্টগণ স্ব-স্ব হলে জাতীয় পতাকা ও হল পতাকা উত্তোলন করেন।

এরপর সকাল ১০টার দিকে প্রশাসন ভবন চত্বরে শান্তি ও আনন্দের প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে আনন্দ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করা হয়। 

উদ্বোধন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর নেতৃত্বে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বর হতে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, চিকিৎসা কেন্দ্র ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সামনে দিয়ে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় নিজ-নিজ ব্যানার, ক্যাপ, প্লাকার্ড ও ফেস্টুনসহ আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, হল, অফিসের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা।

আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরমিন খাতুনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ৩৯তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রুহুল এম কে সালেহ। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস.এম আব্দুল লতিফ প্রমুখ। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসাকরী বলেন, ‘গুহাবাস থেকে চন্দ্রগমন, মানবজাতির এই দীর্ঘ অভিযাত্রায় সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ। ২১ শতকের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে মডেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে চাই। এক্ষেত্রে ভৌগোলিক অবস্থানে কিছু যায় আসে না। এখন ভার্চুয়াল যুগ। অনেক স্বপ্ন নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবার।’

বিডি প্রতিদিন/২২ নভেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর