৯ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১২:০৮

'রোকেয়া দিবস' উপলক্ষে পায়রাবন্দে চলছে শেষ প্রস্তুতি

সৌম্য সরকার, বেরোবি প্রতিনিধিঃ

'রোকেয়া দিবস' উপলক্ষে পায়রাবন্দে চলছে শেষ প্রস্তুতি

রোকেয়া দিবস উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে পায়রাবন্দে তিন দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলাকে ঘিরে ঐ এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। মেলা অয়োজনের সিংহভাগ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
জানা যায়, সরকারিভাবে ১৯৯৪ সাল থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বেশ ঘটা করেই দিবসটি পালন করা হয়। সেই সঙ্গে পায়রাবন্দে ৯-১১ ডিসেম্বর রোকেয়া মেলা বসে। সেখানে তিনদিনব্যাপী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। তবে এলাকাবাসীর দাবী, এখানে এ ধরণের মেলা না করে যদি রোকেয়া দিবস উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী বইমেলার আয়োজন করা যেতো তাহলে মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বইপ্রেমীদের ভিড় জমতো।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার থেকে রোকেয়ার জন্মস্থান পায়রাবন্দে ৩ দিনব্যাপী রোকেয়া মেলাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে, রোকেয়ার স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, স্বেচ্ছা রক্তদান ও রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা, পায়রাবন্দ জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিল, কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক, চিত্রাঙ্কণ ও রচনা প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী, নাটিকা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার প্রদান ও পদক বিতরণ এবং আলোচনা সভা।

৩ দিনব্যাপী আয়োজিত মেলার উদ্বোধন করবেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ। রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম, পিপিএম, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন, মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন-উর-রশীদ।

এছাড়া বেগম রোকেয়া ফোরাম, বেগম রোকেয়া স্মৃতি সংসদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া কলেজসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পৃথক পৃথক র‌্যালী, আলোচনা সভা, নারী সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, নির্ধারিত বক্তৃতা, স্বরচিত কবিতা আবৃত্তির আয়োজন করেছে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র। রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ফারুক জানান, বেগম রোকেয়া নিজের চোখে কোন স্কুল দেখেননি। তারপরেও তিনি তার যে আদর্শ আমাদের জন্য রেখে গেছেন তা বাস্তবায়ন করলে শুধুমাত্র নারীরাই যে উপকৃত হবে তা নয়, বরং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল মানুষ আলোকিত হবে, আদর্শবান হবে। এজন্য রোকেয়া চর্চা এবং তার আদর্শ বাস্তবায়নে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর