১২ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০১:০০
শিক্ষক লাঞ্ছিত

জবি ছাত্রলীগের দু'গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ৮

জবি প্রতিনিধি

জবি ছাত্রলীগের দু'গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ৮

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে ৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।  

সংঘর্ষে ছাত্রলীগের নাভিদ, মিরাজ, কবির, ইব্রাহীম ও মারুফসহ ৮ জন আহত হন। আহতদের সুমনা হাসপাতাল ও ন্যাশনাল মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। 

জানা যায়, সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়েল প্রশাসনিক ভবনের সামনে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলের কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপে ঘটনার মীমাংসা হয়। পরবর্তীতে বিকালে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই ওই দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে। এতে নাভিদ, মিরাজ, কবির আহত হন। 

পরে জবি প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে এবং ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে আবার সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের তিন কর্মী আহত হন। আহতদের সুমনা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর রাত ৯টার দিকে রাসেল গ্রুপের কর্মী মারুফ ক্যাম্পাসে ঢুকলে তরিকুল গ্রুপের কর্মীরা তার উপর হামলা করে, তাকে বাঁচাতে গিয়ে জবি ছাত্রকল্যাণের পরিচালক ও একাউন্টিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হন। 

এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে রায়সাহেব বাজার মোড়ে শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেলের কর্মী ইব্রাহিমকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় তরিকুল গ্রুপের কর্মীরা। আহত মারুফ ও ইব্রাহীমকে গুরুতর অবস্থায় ন্যাশনাল মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় জবি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্য নেয়ার সময় এক সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেয় তরিকুল ইসলামের কর্মী ১২তম ব্যাচের তানভীর চৌধুরী শাকিল। এসময় সাংবাদিক সমিতির অফিস থেকে বের হলে তাকে মারধরের ও কোপানোর হুমকিও দেয়া হয়। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল বলেন, এই ঘটনায় যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

সাংবাদিকের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে যাওয়া ও কোপানোর হুমকি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা জেনে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মদ বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/১২ ডিসেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর