১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৮:৪৭

বেরোবিতে নীলদলের সভাপতির উপর হামলা

সৌম্য সরকার, বেরোবি প্রতিনিধি:

বেরোবিতে নীলদলের সভাপতির উপর হামলা

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষকদের সংগঠন নীলদলের সভাপতি, বাংলা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ও সহকারি প্রক্টর ড. শফিক আশরাফকে গণিত বিভাগের শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব মশিউর রহমান হামলা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শিক্ষকদের ডরমেটরির নিচে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার ড. শফিক আশরাফ জানান, মঙ্গলবার রাতে আমি নিজ ডরমেটরিতে অবস্থান করছিলাম। এসময় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব ও গণিত বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মশিউর রহমান আমাকে ফোন করে জরুরি ভিত্তিতে আমার সাথে দেখা করতে চান। আমি আমার বাসায় দেখা করার কথা বললে তিনি আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস স্ট্যান্ড এর পিছনে দেখা করতে বলেন। বাস স্ট্যান্ড এর পিছনের কথা বললে আমার খটকা লাগে। তখন আমি ডরমেটরির নিচে আসতে বলি। ডরমেটরির নিচে নামলে আমি মশিউরের সাথে আরো তিনজন শিক্ষককে দেখতে পাই।

তিনি আরো জানান, ‘নীলদলের সভাপতি হিসেবে পত্রিকায় দেয়া একটি বিবৃতি নিয়ে মশিউর আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং একপর্যায়ে তিনি আমাকে ধাক্কা দেন। এসময় আরো ৩০থেকে ৩৫জন বহিরাগত দেখতে পাই এবং তারা আমাকে মারার জন্য তেরে আসলে আমি চিৎকার করে ডরমেটরির ভিতরে প্রবেশ করি। 

‘বিষয়টি সাথে সাথে ভিসি স্যারকে জানালে তিনি আমাকে একটি জিডি করতে বলেন এবং গত রাতেই রংপুর কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরী করি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শফিক আশরাফ’।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষক জানান, ‘শফিক আশরাফের চিৎকার শুনে ডরমেটরির নিচে আসলে আমরা মশিউর রহমানকে তার উপর চড়াও হতে দেখি এবং আমরা তাকে থামানোর চেষ্টা করি। এসময় আমাদের দেখতে পেয়ে বহিরাগত প্রায় ৩০/৪০জনের মত লোক দূরে সরে যায়।

অভিযুক্ত শিক্ষক মশিউর রহমান বলেন, এটা আসল ঘটনা নয়। আসল ঘটনা লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে প্রক্টরকে জানাবো বলে জানান তিনি।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নীল দলের সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ জানান, শিক্ষক ডরমেটরীতে অনেকগুলো পরিবার বসবাস করে। এমন একটি জায়গায় একজন সিনিয়র শিক্ষককে বাসা থেকে নামিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা-তাকে লাঞ্চিত করা শিক্ষক সমাজের জন্য কলঙ্কজনক। গভীর রাতে একজন শিক্ষকের উপর আরেক শিক্ষক তার দলবলসহ এভাবে চড়াও হবেন তা কেউই ভাবতে পারেননি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ’র সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

বিডিপ্রতিদিন/ ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর