১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ ২১:৪২

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বেরোবিতে বিজয় দিবস উদযাপন

বেরোবি প্রতিনিধি

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বেরোবিতে বিজয় দিবস উদযাপন

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহর নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মডার্ণ মোড় হয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী ইউনিয়ন, শিক্ষকদের সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ, নীল দল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগ, ড. ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেুনিং ইনস্টিটিউট, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী স্বাধীনতা স্মারক-এ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয় ।
 
পরে সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর খেলার মাঠে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের সহকারী প্রশাসক আসিফ আল মতিনের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান। 

প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. আবু কালাম মো. ফরিদ উল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ফেরদৌস রহমান ও কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ। 

এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক, বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোন্নাফ আল কিবরিয়া তুষার, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান নোবেল শেখ, আশিকুন নাহার চৌধুরী টুকটুকি প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বিজয়ের ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও বাঙালি জাতি কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। তারা আরও বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে, সে কারণে বিজয়ের এই দিনে সকলকে এক হয়ে শপথ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার ও সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে অঙ্গীকার এবং দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে কাজ করে যেতে হবে।  

আলোচনা শেষে সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া এবং খেলার মাঠে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন রকম ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

বিডি প্রতিদিন/১৬ ডিসেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর