কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসে বহিরাগতদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বাসের চালক ও সহকারীসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮ জন। রবিবার কুমিল্লার দৌলতপুর নামক স্থানে ক্যাম্পাস থেকে শহরমুখী বাসবহরে এই হামলা করা হয়। হামলার ঘটনায় সহকারি প্রক্টর ঘটনাস্থল থেকে হামলকারী সন্দেহে আরিফুল ইসলাম (২৪) নামে এক যুবককে আটক ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পরে তা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, রবিবার বাসের বহর ক্যাম্পাস থেকে শহরের শিক্ষার্থীদের আনতে রওয়ানা হয়। বাস শহরের অদূরে দৌলতপুর তেমাথায় পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেল পাশ কাটিয়ে (ওভারটেক) যেতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে বাসচালককে গালাগালি করে। এসময় চালক সুমন চন্দ্র দাস (৩৪) প্রতিবাদ করায় মোটরসাইকেল আরোহী শান্ত (৩০) ও জালাল (২৬) নামের স্থানীয় দুই যুবক তাকে বাস থামাতে বাধ্য করে। বাস থেকে নামিয়ে হেলমেট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে। এরপর মোটরসাইকেল চালক শান্ত তার সহযোগীদেরকে ফোন দিয়ে ডেকে আনে। এসময় বাসে থাকা অন্যান্যরা এগিয়ে এলে তাদেরকেও তারা বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে এবং গাড়ির কাঁচ ভাংচুর করে। 

খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সহকারি প্রক্টর মো: রবিউল আলম ও উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সহকারি প্রক্টর ঘটনাস্থল থেকে হামলকারী সন্দেহে আরিফুল ইসলাম (২৪) নামে এক যুবককে আটক ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পরে তা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। 

আরিফুল ইসলাম নিজে হামলার কথা অস্বীকার করে জানান, বাসে হামলার সাথে জড়িত ছিলেন জালাল (২৬), শান্ত (৩০), রাকিব (২৫), রনি (২৫)। তারা সকলেই কুমিল্লা সদরের মহিউদ্দিননগরের বাসিন্দা।

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার মো: মজিবুর রহমান মজুমদার জানান, ‘তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী তথা সরকারি কর্মচারীদের মারধর করে রক্তাক্ত করেছে, গাড়ি ভাংচুর করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ঘটনার তথ্য সংগ্রহ চলছে। এ বিষয়ে খুব দ্রুত থানায় মামলা করা হবে।’

কুমিল্লা কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাহিদুল আলম বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে জেনেছি। তবে ঘটনাস্থল কোতোয়ালী থানার অধীন। এ বিষয়ে লিখিত পেলে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিডি প্রতিদিন/১৭ ডিসেম্বর ২০১৭/হিমেল