১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৬:৫২

দিয়াজ হত্যা মামলায় চবির সহকারী প্রক্টর কারাগারে

আদালত ভবনের সামনে মিছিল ও স্লোগান

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

দিয়াজ হত্যা মামলায় চবির সহকারী প্রক্টর কারাগারে

দিয়াজ ইরফান চৌধুরী

চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেনের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। 

সোমবার শুনানি শেষে চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারক মুন্সি মশিয়ার রহমান এ আদেশ দেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী চট্টগ্রাম বারের সভাপতি রতন কুমার রায়।

এদিন, দিয়াজ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি চবি ছাত্রলীগের সদ্য বাতিল কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপুর নেতৃত্বে শুনানি চলাকালীন সময়ে আদালত ভবনের সামনে বিভিন্ন স্লোগানে মিছিলও হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। 

বাদীপক্ষের আইনজীবী রতন কুমার রায় বলেন, আসামিদের কেউ কেউ অন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়েছিল। আদালতের তাদের ৬ সপ্তাহ সময় দিয়েছিল। আসামি আনোয়ার হোসেন মুখ্য বিচারিক আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত দুই পক্ষের শুনানি শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। তিনি বলেন, একটি রেকর্ডই প্রমাণিত হয় যে ঘটনার সঙ্গে আসামি আনোয়ারের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এতে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে তাকে কারাগারে পাঠায় বলে জানান তিনি। 

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাসে নিজের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক দিয়াজের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দিয়াজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদকও ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নির্মাণ কাজের দরপত্র নিয়ে কোন্দলের সূত্র ধরে এ ঘটনাকে দিয়াজের পরিবার ও তার অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মীরা শুরু থেকেই ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলে দাবি করলেও নিহতের তিনদিন পর ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের দেওয়া প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করা হয়। তার ভিত্তিতে হাটহাজারী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলাও করে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলা করেন। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য বাতিল কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপুসহ ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক ১০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। আসামি করা তৎকালীন সহকারী প্রক্টর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকেও। দিয়াজের মায়ের আপত্তিতে আদালত সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলে। দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা। গত ৩০ জুলাই দেওয়া প্রতিবেদনে তারা বলেন, দিয়াজের শরীরে হত্যার আলামত রয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর