১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ১৫:৫৯

হাবিপ্রবিতে ক্লাস রুম এবং শিক্ষক সংঙ্কট

দিনাজপুর প্রতিনিধি

হাবিপ্রবিতে ক্লাস রুম এবং শিক্ষক সংঙ্কট

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদ শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুম এবং শিক্ষক সংঙ্কট। প্রয়োজনে ল্যাব রুমেও ক্লাস হয়। এতে ল্যাবে গবেষণা কাজ ব্যহত হয়। এরপরেও গবেষণা কাজের প্রয়োজনীয় উপকরণেরও অভাব রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস রুম সংঙ্কটের কারণের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রুমে ক্লাস করতে হয়। এমনকি ল্যাব রুমেও ক্লাস করতে হয়। এতে ল্যাবের পরিবেশ নষ্ট হয়। ফলে ল্যাবে গবেষনা কার্য চালানো সম্ভব হয় না।
 
উল্লেখযোগ্য গবেষণা কার্য না থাকার পিছনে শিক্ষক ও রুম সংঙ্কটকেই দায়ী করলেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, এগ্রোনমিতে মাত্র তিনজন প্রফেসর সকল বর্ষের এবং মাস্টার্সের পাঠদান করে থাকেন। অন্যান্য বিষয়েও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল শিক্ষক রয়েছে। অপরদিকে ল্যাবের ঘাটতি থাকায় বছরের প্রায় সবসময়ই বিভিন্ন বর্ষের মিডটার্ম বা ফাইনাল পরীক্ষা লেগেই থাকে যার ফলে সুষ্ঠুভাবে প্র্যাকটিকাল ক্লাসও করা সম্ভব হয় না।

কৃষি অনুষদের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাসুম জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার উপকরণ অপ্রতুল এবং আর্থিক অনুদানের অভাবে গবেষণা কার্যক্রম সম্ভব হচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন গবেষণা কাজে পিছিয়ে পড়ছে, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখ্যযোগ্য গবেষণা কর্মসৃষ্টি হচ্ছে না। আর গবেষণার প্রয়োজনীয় উপকরণেরও অভাব রয়েছে।

কৃষি অনুষদের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী রাজু বলেন, শিক্ষক এবং রুম সংঙ্কটের কারণে একাডেমিক ক্লাস ভালো হয় না। ফলে ছয় মাসের সেমিষ্টার শেষ করতে ৮ থেকে ১০ মাস লেগে যায়। আর রুম সংঙ্কট থাকায় ল্যাব রুমেই ক্লাস নিতে হয়। এতে ল্যাবের পরিবেশ নষ্ট হয়। কারণ ধুলাবালির মধ্যে ল্যাবে কাজ চালানো সম্ভব নয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের মোট ৬৭ জন শিক্ষক আছে। তার মধ্যে ২৪ জন বিভিন্ন মেয়াদে ছুটিতে আছেন। প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক সংখ্যাও কম। শিক্ষক কম থাকায় গবেষণা কাজে সময় দিতে পারছেন না। কেউ গবেষনা করতে চাইলে তাকে শুধু গবেষণা করতে হবে। এক সাথে ক্লাস ও গবেষণা কাজ চালানো সম্ভব নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. সফিউল আলম বলেন, বিভিন্ন কারণে ২০টি শিক্ষকের পদ শুন্য হয়েছে। এরপরেও তো প্রয়োজনের তুলনায় প্রতিটি অনুষদেই শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। তবে অনুষদের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে কিন্তু কবে নাগাদ দেওয়া হবে তা সঠিক ভাবে এখনই বলা যাচ্ছে না।
আর রুম সংঙ্কটের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রশাসনিক ভবন এবং কৃষি অনুষদীয় একাডেমিক ভবন একসাথে থাকায় একটু সংঙ্কট হচ্ছিল। এখন প্রশাসনিক ভবন আলাদা হওয়ায় ক্লাস রুম সংঙ্কট কমে আসবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও একটি দশ তলা একাডেমিক বিল্ডিং এর বাজেট পাস হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে যার কাজ শুরু হবে।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর