৯ মার্চ, ২০১৮ ১৫:৫১

জাবিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে অনৈতিক সুবিধা দেয়ার অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ

জাবিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে অনৈতিক সুবিধা দেয়ার অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) লোক-প্রশাসন বিভাগের ৪১তম আবর্তনের স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় এক ছাত্রীকে অনৈতিক সুবিধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয় তুলে ধরে উপাচার্য বরাবর অভিযোগ করেছে ঐ ব্যাচটির শিক্ষার্থীরা। 

জানা যায়, ৪১তম আবর্তনের ছাত্রী আতিফা কাফি’র স্নাতকে সিজিপিএ ছিল ৩.৫৭। স্নাতকোত্তরের ফলাফলে সে লোক-প্রশাসন বিভাগের ইতিহাসে রেকর্ডসংখ্যক সিজিপিএ ৩.৯৭ পায়। 

বিভাগটির ৪১তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের করা অভিযোগপত্রটিতে বলা হয়, চকমপ্রদ ফলাফল করা আতিফা কাফিকে এগিয়ে দেয়ার জন্য অভিযুক্ত পরীক্ষা কমিটির সভাপতি তড়িঘড়ি করে ৬৯ দিনের মাথায় ১৩ই ফেব্রুয়ারি ফলাফল প্রকাশ করে। কারণ ১৫ ফেব্রুয়ারি ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে আবেদনের শেষ দিন। আতিফা কাফিকে ঐ পদে আবেদনের সুযোগ করে দেয়ার জন্যই তার দুই দিন আগে তড়িঘড়ি করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। তাছাড়া স্নাতকোত্তর থিসিস গ্রুপের মৌখিক পরীক্ষায় শুধুমাত্র কাফিকেই এ+ দেয়া হয়েছে। 

এছাড়া পিএ-৫০১ নং কোর্সের বহিঃস্থ শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন নুরুল আমিন নিজেই। ঐ কোর্সে শুধুমাত্র কাফিই এ+ পেয়েছে। থিসিস পেপার মূল্যায়নে স্বচ্ছতার জন্য থিসিস পেপারে শিক্ষার্থীর নাম লেখার নিয়ম না থাকলেও তার নাম থিসিস পেপারে উল্লেখ ছিল বলেও অভিযোগ থিসিস গ্রুপের অন্য শিক্ষার্থীদের।

অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, আতিফা কাফির শরীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে কারো সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করেই পরীক্ষা কমিটির সভাপতি নুরুল আমিন পিএ-৫০৩ নং কোর্সের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করেছিলো। ঐ কোর্সের পরীক্ষার জন্য কাফির যথেষ্ট প্রস্তুতি ছিলো না বলে শারীরিক অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়। 

মূলত ভালো ফলাফল দেখিয়ে পরবর্তিতে কাফিকে জাবির শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্যই নুরুল আমিন এসব করেছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল আমিন বলেন, “কাফি ৫০১ নং কোর্স ও ভাইভাতে ভালো করেছে তাই সে এ+ পেয়েছে। একটি চক্র আমাকে ফাঁসানোর জন্য এমন ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক অভিযোগ তুলেছে। তবে আমার জায়গায় আমি সৎ ও দক্ষতার সঙ্গে আমার দায়িত্ব পালন করেছি।” এছাড়া বহিঃস্থ শিক্ষকদের কাছে প্রেরিত থিসিস পেপারে কাফির নাম ছিল না বলেও জানান তিনি। তবে ৫০৩ নং কোর্সের পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। 

তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।

 

বিডি প্রতিদিন/৯ মার্চ ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর