২০ মার্চ, ২০১৮ ২১:০৭

প্রকৌশলীরা উন্নয়নের কারিগর: রাষ্ট্রপতি

গাজীপুর প্রতিনিধি:

প্রকৌশলীরা উন্নয়নের কারিগর: রাষ্ট্রপতি

প্রকৌশলীরা উন্নয়নের কারিগর। তাদের মেধা, মনন ও সৃজনশীল চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসে টেকসই উন্নয়নের রূপরেখা। তাই প্রকৌশলীদের চিন্তা ও চেতনায় দূরদৃষ্টির সুস্পষ্ট প্রতিফলনের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। 

তিনি বলেছেন, আমাদের রয়েছে বিপুল মানবসম্পদ, উর্বর কৃষি ভূমি এবং সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক সম্পদ। জনবহুল এ দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে প্রয়োজন পরিকল্পিত উপায়ে বিদ্যমান সম্পদের সর্বোত্তম সুষ্ঠু ব্যবহার। মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জাহিদ আহসান রাসেল, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারবৃন্দ, সচিব, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান, বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীনবৃন্দ, শিক্ষক, কর্মকর্তা প্রমুখ। 

এবারের সমাবর্তনে মোট ৩২৮৪ জনকে ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে যার মধ্যে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে আছে ১১১ জন। এর মধ্যে পুরকৌশল বিভাগের একজনকে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ৩৫ জন কৃতি গ্র্যাজুয়েটকে বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।

সমাবর্তনকে ঘিরে নবীন-প্রবীণের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল ডুয়েট প্রাঙ্গন। হ্যাট, গাউন পরিহিত গ্র্যাজুয়েটদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ডুয়েটের এনেক্স ভবন, একাডেমিক ভবন, হলসমূহ, গেটসহ চারদিক মিটিমিটি রঙিন আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছিল। 

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে ডুয়েট। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখান থেকে ডিগ্রি পেয়েছে মোট ৭৩৬২ জন শিক্ষার্থী। বর্তমানে এখানে চারটি অনুষদের অধীনে ১৩ টি বিভাগ রয়েছে। এছাড়া তিনটি ইনস্টিটিউট ও  একটি রিসার্চ সেন্টার রয়েছে। প্রতিবছর এখানে ৬৫৪ জন (কোটাসহ) শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পান। 

 

বিডি প্রতিদিন/২০ মার্চ ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর