৩ এপ্রিল, ২০১৮ ১৪:৫৭

চবিতে আন্দোলনকারীদের হাতিয়ার শাটল ট্রেন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

চবিতে আন্দোলনকারীদের হাতিয়ার শাটল ট্রেন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একমাত্র প্রধান বাহন শাটল ট্রেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ হাজার শিক্ষার্থীদের প্রাণের স্পন্দন এই শাটল। বলা হয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়কে সজীবতাদানকারী একমাত্র অবলস্বন এই ট্রেন। এটি চলাচল বন্ধ থাকলে বন্ধ থাকে ক্লাস-পরীক্ষাও। তবে তিন যুগ ধরে বিশ্ববিদ্যালয়কে অচলের হাতিয়ার হিসেবে এই শাটল ট্রেনকে ব্যবহার করছে আন্দোলনকারীরা। 

জানা যায়, সর্ব প্রথম ১৯৯১ সাথে শাটল ট্রেন বন্ধ করে ক্যাম্পাস অচলের উপায় বের করেন তৎকালীন শিবির ক্যাডাররা। এর পর থেকে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দাবি আদায়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে আসছে শাটল ট্রেনকে। গত ৩০ বছরে শতাধিকবার শাটল ট্রেনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৪০ জনেরও বেশি চালক ও সহকারীকে অপহরণ করেছে আন্দোলনকারীরা। এতে করে প্রায় সময় অচল ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। 

অন্যদিকে, ছাত্রলীগের কমিটিতে নাম না থাকা পদ বঞ্চিতদের আন্দোলন, গ্রুপিং, মারামারি, টেন্ডারবাজি, ছাত্রলীগের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারীরা শাটল ট্রেনের চালককে অপহরণ করেছে বেশ কয়েকবার। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল প্রায় সময় বন্ধ থাকে। সর্বশেষ গত রবিবার (১ এপ্রিল, ২০১৮) বিশ্ববিদ্যালয়গামী সকাল সাড়ে দশটার ট্রেনের চালক কাউছারকে অপহরণ করে নিয়ে যায় শাখা ছাত্রলীগের ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগেরে সাবেক এক নেতাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য়ের সাথে সাক্ষাৎ করে একটি পক্ষ। কিন্তু উপাচার্য তাদের দাবি মেনে নেয়নি। যার কারণে তারা শাটল ট্রেনের চালককে আটক করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ছয় ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয় রুটে শাটল চলাচল বন্ধ ছিল। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এভাবেই আন্দোলনকারীরা শাটলকে তাদের আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। 

শাটল ট্রেন আটকে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘এখন আমরা অনেক বেশি কঠোর হব। অপহরণকারী যেই হোক না কেন, আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বলে দিয়েছি যাতে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেয়। আর যদি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে স্বল্প সময়ের মধ্যে একাডেমিক ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে।’

 

বিডি প্রতিদিন/৪ এপ্রিল ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর