৩ এপ্রিল, ২০১৮ ২০:১২

রাবি শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটাল রামেক ছাত্রলীগ নেতা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

রাবি শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটাল রামেক ছাত্রলীগ নেতা

পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আজ দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী নগরীর বন্ধগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কামাল হোসেন। তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। কামালের দাবি, মারধরকারীদের মধ্যে একজন হলেন- রামেক শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান সাজু। সাজুর বাড়িও নেত্রকোনায়। পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে সাজু ওরফে সাজু বাঙালী ৫-৬ জন যুবককে সঙ্গে নিয়ে কামালকে মারপিট করেন।

কামালের সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা কামালের মারধরের খরব জানতে পেরে তাকে অসুস্থ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করান। এসময় কামালের পিঠ, মাথা ও পায়ে মারাত্মক রকমের জখম দেখতে পান তারা। 

ভুক্তভোগী কামাল হোসেন জানান, কয়েকদিন থেকে তার মাথা ব্যাথা করছিল। তাই তিনি মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে চড়ে রামেকে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছিলেন। দুপুর ২টার দিকে বাস থেকে নগরীর লক্ষীপুর বাসস্টান্ডে নামেন তিনি। এসময় রামেক শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজু বাঙালীসহ ৫-৬ জন যুবক তাকে জোর করে অটোতে তুলে নেয়। তারা কামালকে অটোতে করে লক্ষীপুরের বন্ধগেট এলাকার এক ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে তারা কামালকে রড ও পাইপ দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে কামালকে ব্লাকমেইল করার জন্য তার শার্ট ও প্যান্ট খুলে উলঙ্গ করে ছবি তোলেন মারধরকারীরা। অনৈতিক সম্পর্ক করতে গিয়েছে এই মর্মে কামালের কাছ থেকে জবানবন্দি রেকর্ড করেন তারা। এসময় কামালের কাছে থাকা ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় মারধরকারীরা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে কামালকে দেখতে যাই। কামালের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি- মারধরকারী ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফের সঙ্গে তাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণেই কামালকে মারধর করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। তারপর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এবিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অভিযুক্ত সাজু বাঙালীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে রাত ৭টা ৫ মিনিটে তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে ফোন দিয়ে বলেন, ‘আমি ঘুমে ছিলাম। গতকাল থেকে ঘুমাইনি। সকালে এক স্যারের সঙ্গে দেখা করে এসে ঘুমিয়েছি। এখন ঘুমের মধ্যে আছি। মারধরের বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর