২৩ এপ্রিল, ২০১৮ ১৯:৪৫

রাবির অধ্যাপক রেজাউল হত্যা; সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সমাবেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

রাবির অধ্যাপক রেজাউল হত্যা; সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সমাবেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে শোক মিছিল ও সমাবেশ করেছে  শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ কলা ভবন থেকে একটি শোক মিছিল বের করা হয়।

মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে 'মুকুল প্রতিবাদ ও সংহতি মঞ্চ'র সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রাকিব সোহানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিভাগের সভাপতি ড. এএফএম মাসউদ আখতার বলেন, রেজাউল করিম একজন সাদা-সিধে মানুষ ছিলেন। তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে আসামিদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে আমদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।

বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী অধ্যাপক রেজাউল করিমের মেয়ে রিজওয়ানা হাসিন শতভি বলেন, আমরা এমন মৃত্যু আর কখনও দেখতে চাই না। এখনো সুষ্ঠু বিচার পাইনি। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দেখা মাত্রই প্রতিবাদ করতে পারলে আজ এমন মুহূর্তের মুখোমুখি হতে হতো না। আমরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার চাই।

হত্যাকাণ্ডের ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ শরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক রেজাউল করিমের মেয়ে রিজওয়ানা হাসান শতভি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শতভি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি শরিফুল বাবার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। সে এখনও গ্রেফতার হলো না। এই বিষয়টা আমাদের খুব পীড়া দেয়। আমরা তো তার বিচারই আগে দেখতে চাই।

হত্যাকাণ্ডের রায় সামনে রেখে সোমবার সন্ধ্যায় রাবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়। 

সমাবেশে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম, শহিদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক শেহনাজ ইয়াসমীন, আবদুল্লাহ আল মামুন, ড. মোমিনুল ইসলাম, প্রভাষক রিদিতা মিজানসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। 

মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের দিন ধার্য করেছেন আগামী ৮ মে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, হত্যা মামলাটিতে মোট ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালত ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার রায়ের ধার্য করেছেন।

তিনি আরও জানান, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জীবিত ও মৃত আসামিদের সম্পৃক্ততা তিনি প্রমাণ করতে পেরেছেন। রায়ে জীবিত আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা করছেন তিনি।

২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজের বাড়ির কাছে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয় রাবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে। পরদিন অধ্যাপকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে বোয়ালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর ৮ জনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক রেজাউস সাদিক।

বিডি প্রতিদিন/২৩ এপ্রিল, ২০১৮/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর