২০ মে, ২০১৮ ১৪:১৯

'নড়বড়ে' চবির নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বাইজিদ ইমন, চবি:

'নড়বড়ে' চবির নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ফাইল ছবি

সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩ সেমিস্টারের প্রায় ৬০০ খাতা উধাও ও পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। দুই নিরাপত্তা প্রহরী আর ছয়টি ডিজিটাল চোখকে (সিসিটিভি ক্যামেরা) ফাঁকি দিয়ে কি করে এ ঘটনা ঘটেছে এ নিয়ে ক্যাম্পাস জুড়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা 'নড়বড়ে' হওয়ায় এমনটা ঘটেছে বলে মনে করছে অনেকে।

জানা যায়, গত ১৫ মে মধ্য রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩ সেমিস্টারের ৯টি কোর্সের ১১ টি উত্তর পত্রের বান্ডিল উধাও ও পুড়িয়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা। রাতে অনুষদে দুইজন নিরাপত্তা প্রহরী ছিল। তাদের নাকের ডগায় ঘটে যাওয়া এমন ঘটনা মানতে পারছেন না সাধারণ ছাত্ররা। এছাড়াও অনুষদের নিচতলায় ও বিভাগে তিনটি করে মোট ছয়টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনায় সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়াও টানা এক মাস ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মূল ফটক দিয়ে পাচার হচ্ছে বিপুল পরিমাণ গাছ। প্রায় সময় সেখানে চার জন নিরাপত্তা প্রহরী দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তাদের সামনেই প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সম্পদ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ গাছ পাচারের সাথে নিরাপত্তা দপ্তরের প্রধান ও নিরাপত্তা কর্মীরা জড়িত থাকায় কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

অন্যদিকে বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা প্রহরী ও আনছার সদস্যরা থাকা সত্ত্বেও প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন। গত ১৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন এলাকায় ২ জন নিরাপত্তা প্রহরীর সামনেই দর্শন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের সাজ্জাত হোসেন শাওন নামের এক শিক্ষার্থীকে বেদড়ক মারধর করে তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায়ও কোন ধরনের ব্যবস্থা নেইনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

এ ছাড়াও নিরাপত্তা কর্মীদের সামনেই ক্যাম্পাসের মূল ফটক দিয়ে বহিরাগত মোটরবাইকযোগে বিশ্ববিদ্যায়ের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে মাদক দ্রব্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক  গোয়েন্দা সংস্থার এক সদস্য জানান, মাদক চালানের সাথে মূল ফটকের নিরাপত্তা প্রহরীরা জড়িত। 

তিনি বলেন, আবু মিয়া নামক এক নিরাপত্তা প্রহরী আর এক আনসার সদস্যকে প্রায় এক বছর ধরে কোন পরির্বতন ছাড়া মূল ফটকে নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য সব জায়গায় প্রহরীরা দায়িত্ব পালন করে একেক সময় একেক জায়গায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিটন মিত্র বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নিরাপত্তা কর্মীদের খেয়ালিপনা, অযোগ্যতা ও প্রশিক্ষণের অভাবের কারণে ব্যহত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। 


বিডি প্রতিদিন/২০ মে ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর