কঠোর নিরাপত্তা ও পুলিশি পাহারায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চাকরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের চাপ এবং সুষ্ঠুভাবে নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশে জিরো টলারেন্স জারি করেছে। 

রবিবার ক্যাম্পাসে সব ধরনের মিছিল মিটিং, বহিরাগতের প্রবেশ ও শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র ছাড়া চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

এদিকে, চাকরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা তাদের চাকরি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন প্রকার নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হতে দেবে না বলে ঘোষণা দেন। একই দাবিতে গত শনিবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা। এসময় ক্যাম্পাসে ইবি থানা ও কুষ্টিয়া থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়োন করে কর্তৃপক্ষ। 

পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনকারীদের সরাতে পুলিশ অ্যাকশনে যাবার প্রস্তুতি নিলে সকাল ১০টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করে ফিরে যায় চাকরি প্রত্যাশীরা। 

এর আগে গত ৭ মে চাকরি প্রত্যাশীদের বাধার মুখে ওই বিভাগগুলোর নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।  

চাকরি প্রত্যাশীদের বাধা এবং সুষ্ঠুভাবে নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করাতে রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়োন করা হয়েছে। সকাল থেকে ক্যাম্পাসে সব ধরনের মিছিল মিটিং, বহিরাগতের প্রবেশ ও শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্রবিহীন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মাইকিং করা হয়েছে। নিয়োগ বোর্ড চলাকালে ক্যাম্পাসে চাকরি প্রত্যাশিদের দেখা গেলেও তারা বোর্ডে কোন প্রকার বাধা দেয়নি।

রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, রবিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি বিভাগে ৩১ জন শিক্ষক এবং আইটি সেলে সাতজন কর্মকর্তা নিয়োগ বোর্ড শুরু হচ্ছে। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড শুরু হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় ৩১ জন আবেদনকারীর মধ্যে ২৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত এ নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড অনুষ্ঠিত হবে।

ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ জানান, নিয়োগ বোর্ড সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন স্থানে পোশাকধারী এবং সাদা পোশাকে শতাধিক পুলিশ মোতায়োন করা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমান জানান, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ প্রবেশ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ক্যাম্পাসের পরিবেশ সম্পূর্ণ শান্ত রয়েছে। নিয়োগ বোর্ড সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।

বিডি প্রতিদিন/০৩ জুন ২০১৮/আরাফাত