৫ জুন, ২০১৮ ১২:৪৫

মধ্যরাতে ইবিতে দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

মধ্যরাতে ইবিতে দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণ

মধ্যরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস জুড়ে মুহুর্মূহু ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে দফায় দফায় এ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ক্যাম্পাস জুড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে এ বিস্ফোরণের ঘটনা পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। একটি পক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে এবং অপর একটি পক্ষ চাকুুরি প্রত্যাশীদের আন্দোলনকে ভন্ডুল করতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

জানা যায়, গত রবিববার থেকে ফার্মেসি বিভাগসহ ৮ টি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ এবং আইসিটি সেলের কর্মকর্তা নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড শুরু হয়েছে। এদিকে চাকুরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা তাদের চাকুরি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন প্রকার নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হতে দেবে না বলে ঘোষণা দেয়। একই দাবিতে গত শনিবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে তারা। এসময় ক্যাম্পাসে ইবি থানা ও কুষ্টিয়া থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে কর্তৃপক্ষ। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনকারীদের সরাতে পুলিশ অ্যাকশনে যাবার প্রস্তুতি নিলে সকাল ১০টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করে ফিরে যায় চাকুরি প্রত্যাশীরা। এর আগে গত ৭ মে চাকুরি প্রত্যাশীদের বাধার মুখে ওই বিভাগ গুলোর নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। 

চাকুরি প্রত্যাশীদের বাধা এবং সুষ্ঠুভাবে নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করাতে রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়োন করে ফার্মেসি বিভাগের নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড সম্পন্ন করে প্রশাসন। 

নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে সোমবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে ক্যাম্পাসে দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ক্যাম্পাসের সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। চাকুরি প্রত্যাশীরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে একটি গ্রুপ ক্যাম্পাসে গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। আবার চাকুরি প্রত্যাশীদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ নিয়োগে ফয়দা লুটতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আলোচনা সমালোচনা চলছে।

চাকুরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক এক সহ সভাপতি বলেন, ‘আমাদের দাবিকে বানচাল করতে এবং আমাদের উপর দায় চাপাতে একটি মহল এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

এদিকে এঘটনার পরে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের কার্যক্রম চলছে।

এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন শেখ বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া নিয়োগ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘বেশ কিছুদিন থেকে একটি মহল ক্যাম্পাকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা চালাচ্ছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে শান্ত রয়েছে এবং সুষ্ঠুভাবে নিয়োগ বোর্ডের কার্যক্রম চলছে।’ 

বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর