২২ জুলাই, ২০১৮ ২০:২৭

'বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে'

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:

'বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে'

রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বলেছেন, বিশ্বে বাংলাদেশ আজ ‘উন্নয়ন বিস্ময়ে'র এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মুক্তিদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রেখে সরকার দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অসামান্য উন্নয়ন করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ অনুসরণ করে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে।

আজ রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭ বছর পূর্তি এবং হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলী আকবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, বাকৃবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান এমপি, সাবেক ভিসি ড. এমএ সাত্তার মন্ডল, কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশাসহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।  এসময় আ. লীগ ও সহযোগী সংগঠণের নেতৃবৃন্দ, কৃষিবিদসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন। 

দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন যুদ্ধে জয়লাভ করতে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন অপরিহার্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও স্থিতিশীলতা সংরক্ষণে কৃষির ভূমিকা আজও মুখ্য।  সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৈরিতা মোকাবেলা করে খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউট অবহেলিত হাওর অঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান যুগ বিশ্বায়নের যুগ, জ্ঞান অর্থনীতির যুগ। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই বিশ্ব ব্যবস্থায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে তার আপন বৈশিষ্ট্য নিয়ে টিকে থাকতে হলে তার স্থানিক জাতিক, বৈশ্বিক অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। এটি সুনির্দিষ্ট করা সম্ভব প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিযোগিতা, মান ও আন্তর্জাতিক চারিত্র্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, উচ্চতর কৃষি শিক্ষার পথিকৃত ও প্রধান বিদ্যাপীঠ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তার লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থেকে শিক্ষা ও গবেষণায় বরাবরই বিশেষ যত্নবান। এরই ধারাবাহিকতায় এখানকার শিক্ষাকারিকুলাম নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে এবং জনগণের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন বিষয় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দদের সাথে নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বাকৃবি’র বঙ্গবন্ধু চত্বরে হাওড় ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রায় ৪ হাজার ৩শ’ গ্রাজুয়েট অংশ নেয়। 

এদিকে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্ত্বরে নির্মিত বিশাল প্যান্ডেল ও মঞ্চ ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ময়মনসিংহ ও ত্রিশাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নিরাপত্তাবাহিনীর জরুরি বৈঠক শেষে স্থান পরিবর্তন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠানস্থল নির্ধারণ করা হয়।

ঘটনার রাতেই পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাস উদ্দিন ভুইয়াকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর রবিবার সকালে ড. ইয়াহিয়া খন্দকারকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অন্যদিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর